দক্ষিণবঙ্গ

ঝাড়গ্রাম জুলজিক্যাল পার্কে এবার আসছে বাঘ ও সিংহ

নিজস্ব প্রতিনিধি, ঝাড়গ্রাম: ঝাড়গ্রাম জুলজিক্যাল পার্কে নতুন অতিথি আসছে। চিতা, নেকড়ে, হায়নার সঙ্গে এবার রয়্যাল বেঙ্গল টাইগার ও সিংহের দেখা মিলবে। শাল পিয়ালের জঙ্গলের মধ্যে পার্কটি তৈরি করা হয়েছে। নিস্তব্ধ পার্কের ভিতর বন্য প্রাণীদের ডাক শিহরণ জাগায়। 
ঝাড়গ্ৰাম একসময় জঙ্গলে পরিপূর্ণ ছিল। জঙ্গলে হিংস্র জন্তুর দেখা মিলত। বনভূমি ক্রমে ছোট হয়ে এসেছে। জঙ্গলে হাতি ও স্থানীয় কিছু বন্যপ্রাণী ছাড়া অন্য জন্তুদের আর দেখা মেলে না। অরণ্যভূমী ঝাড়গ্ৰামের আকর্ষণ তবু কমেনি। প্রকৃতির অপার সৌন্দর্য জেলাজুড়ে ছড়িয়ে আছে। জঙ্গল, পাহাড়, নদীর সঙ্গেই জঙ্গলমহল জুলজিক্যাল পার্ক পর্যটকদের অন্যতম দ্রষ্টব্য। পার্কে সম্বর হরিণ, নীলগাই, চিতা, হায়না, নেকড়ে, হনুমান, তারা কচ্ছপ, সজারু, ময়ূর, কালিজ, গোল্ডেন ফ্রিজেন্ট ছাড়াও নানা জাতের পাখির দেখা পাওয়া যায়। অভাব ছিল বাঘ ও সিংহের। এবার সেই অভাব মিটতে চলেছে। প্রথমে একটি রয়্যাল বেঙ্গল টাইগার আনা হবে। পরবর্তী ধাপে সিংহ আনা হবে। শুক্রবার বন বিভাগের উচ্চপর্যায়ের আধিকারিকরা পার্কটি পরিদর্শন করেন। পার্কের উল্টোদিকের বন এলাকায় টাইগার সাফারি প্রকল্পের প্রাথমিক পর্যায়ের কাজ শুরু হয়ে গিয়েছে। আগামী বছর থেকে পুরোদমে কাজ শুরু হয়ে যাবে। ঝাড়গ্ৰাম বনবিভাগের এক আধিকারিক বলেন, পর্যটকদের আকর্ষণ করতে জেলা বনবিভাগের তরফে একাধিক পদক্ষেপ করা হয়েছে। পার্কটি সাজিয়ে তোলার কাজ চলছে। পার্ক পরিদর্শনে এদিন বন বিভাগের উচ্চ আধিকারিকরা এসেছিলেন। সকাল ছ’টা থেকে দুপুর দুটো পর্যন্ত পরিদর্শনের কাজ চলে। বনমন্ত্রী বীরবাহা হাঁসদা বলেন, জঙ্গলমহল জুলজিক্যাল পার্কে রয়্যাল বেঙ্গল টাইগার ও সিংহ আনার প্রক্রিয়া চলছে। প্রথম পর্যায়ে একটি মাত্র বাঘ আনা হচ্ছে। দ্বিতীয় পর্যায়ে সিংহ আনা হবে। কতগুলি সিংহ আনা হবে তা এখনও ঠিক হয়নি। তবে বাঘ ও সিংহ রাখার এনক্লোজার তৈরির প্রাথমিক প্রস্তুতি শুরু হয়ে গিয়েছে। এছাড়াও মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এখানে টাইগার সাফারি তৈরির ঘোষণা করেছেন। সেই কাজের টেন্ডার প্রক্রিয়া ইতিমধ্যেই শুরু হয়ে গিয়েছে। আগামী বছর থেকে কাজ শুরু হয়ে যাবে। আমরা আশাবাদী, আগামী দিনে এই পার্ক রাজ্যের অন্যতম পর্যটনস্থল হয়ে উঠবে। অবসরপ্রাপ্ত প্রাক্তন বন আধিকারিক সমীর মজুমদার বলেন, ঝাড়গ্ৰাম পর্যটনের প্রাণকেন্দ্র এই পার্ক। ঝাড়গ্ৰাম হোটেল ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক শিবাশিস চট্টোপাধ্যায় বলেন, ঝাড়গ্ৰামে পর্যটকের সংখ্যা বাড়ছে। বাঘ, সিংহ এলে পার্কের আকর্ষণ আরও বাড়বে। জেলার পর্যটন শিল্প লাভবান হবে। শহর লাগোয়া ধবনি বিটে ২২ হাজার হেক্টর জায়গাজুড়ে পার্কটি গড়ে তোলা হয়েছে। আগে এটি শুধু ডিয়ার পার্ক ছিল। পরবর্তীতে পার্কটির সম্প্রসারণ ঘটনা হয়। পার্কে নানা প্রজাতির বন্য জন্তু রয়েছে। বন্য প্রাণী সংরক্ষণেও গুরুত্বপূর্ণ কাজ করা সচ্ছে। পার্কে বাঘ ও সিংহের অভাব ছিল। সেটাও এবার পূরণ হচ্ছে। ঝাড়গ্ৰামের বাসিন্দাদের কাছে এর চেয়ে বড় খুশির খবর আর কিছু হয় না।  
কলকাতা
রাজ্য
দেশ
বিদেশ
খেলা
বিনোদন
ব্ল্যাকবোর্ড
শরীর ও স্বাস্থ্য
বিশেষ নিবন্ধ
সিনেমা
প্রচ্ছদ নিবন্ধ
আজকের দিনে
রাশিফল ও প্রতিকার
ভাস্কর বন্দ্যোপাধ্যায়
mesh

আইনজীবীদের কর্মের প্রসার ও ব্যস্ততা বৃদ্ধি। ব্যবসাদি পরিচালনার জন্য নতুন পরিকল্পনা রচনা।...

বিশদ...

এখনকার দর
ক্রয়মূল্যবিক্রয়মূল্য
ডলার৮৩.২৪ টাকা৮৪.৯৮ টাকা
পাউন্ড১০৭.৬৪ টাকা১১১.৪৩ টাকা
ইউরো৮৯.৪৭ টাকা৯২.৮৭ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
*১০ লক্ষ টাকা কম লেনদেনের ক্ষেত্রে
দিন পঞ্জিকা