দক্ষিণবঙ্গ

কমেছে নাব্যতা, কুনুর নদী ছাপিয়ে ভাসল গুসকরা শহর 

সংবাদদাতা, কাটোয়া: দু’ দিনের বৃষ্টিতে বেড়েছে কুনুর নদীর জলস্তর। আউশগ্রামের বেশ কিছু অংশ কুনুরের জল উপচে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে গিয়েছে। আউশগ্রাম থেকে কালীদহ, সিলুট, বসন্তপুর রাস্তা জলমগ্ন হয়েছে। এতে প্রমাদ গুনছে গুসকরা শহরও। কুনুরের নাব্যতা কমেছে। তাই কুনুরের ড্রেজিং করাতে রাজ্য সরকারের দ্বারস্থ হবে গুসকরা পুরসভা। 
চেয়ারম্যান কুশল মুখোপাধ্যায় বলেন, কুনুরের জল উপচে ২০০০ সালে বন্যা হয়েছিল। এবার আবার সেই বন্যা পরিস্থিতি দেখলেন শহরের বাসিন্দারা। কুনুরের জলবহন ক্ষমতা কমে গিয়েছে। আমরা রাজ্য সরকারকে জানাব যাতে কুনুরে ড্রেজিং করানো যায়। অন্তত বর্ষা এলে গুসকরা শহরের বাসিন্দাদের যাতে না চিন্তা করতে হয়। 
শুক্রবার সকাল থেকেই কুনুর নদীর জলস্তর বাড়তে থাকে। আউশগ্রামের শ্মশানের পাশ দিয়ে কালীদহ যাওয়ার রাস্তা কুনুরের জন্য জলমগ্ন হয়ে গিয়েছে। এদিন একটি মোটর ভ্যান ওই রাস্তা দিয়ে যেতে গিয়ে জলে আটকে পড়েছিল। স্থানীয় বাসিন্দাদের চেষ্টায় সেটিকে আবার উদ্ধার করা হয়েছে। দুপুরের দিকে বেড়েণ্ডা অঞ্চলের কালীদহ, সিলুট, বসন্তপুর যাওয়ার রাস্তা পুরোপুরি বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। বসন্তপুর গ্রামের বাসিন্দা সাগির মোল্লা বলেন, কুনুরের জল যেভাবে বেড়েছে তাতে প্রাণ হাতে করে যাতায়াত করতে হবে। ওই রাস্তা দিয়েই নবগ্রাম, মল্লিকপুর, বেলুটি নিয়ে প্রায় ১০টি গ্রামের বাসিন্দাদের যাতায়াত করতে হয়।
প্রাকৃতিক দুর্যোগ যেন পিছু ছাড়ছে না। দু’ বার প্রবল বৃষ্টিতে কুনুর ছাপিয়ে প্লাবিত হয়েছিল গুসকরা। বিঘার পর বিঘা কৃষিজমি প্লাবিত হয়েছে। ঘর বাড়ি জলমগ্ন হয়েছে। অনেকেই ত্রাণ শিবিরে আশ্রয় নিয়েছেন। পুজোর মুখে দু’ বার প্লাবিত হয়েছিল। শহরের ১, ২, ৪, ৫, ১২ নম্বর ওয়ার্ড সহ বেশকিছু ওয়ার্ড প্লাবিত হয়েছিল। বহু বাসিন্দাকে ত্রাণ শিবিরে আনতে হয়েছিল। ৫ নম্বর ওয়ার্ডের কৃষকদের একাংশ জানান, একে কুনুরের নাব্যতা কমে গিয়েছে। তার উপর ভাতারের মাহাতা গ্রামে সেচদপ্তর একটি লকগেট করেছে। সেটা পরিকল্পনাহীন ভাবেই করেছে। ঝাড়খণ্ড ও পশ্চিম বর্ধমানের জল গুসকরা, আউশগ্রাম দিয়েই পাশ হয়। এবার এমন লকগেট তৈরি করা হয়েছে যে, সেখানে জল পাশ হচ্ছেই না। তাই আমাদের এলাকায়ও জল আটকে গিয়েছে। ওই লকগেট ঠিকমতো সংস্কার করার জন্য আমরা পুরসভাকে জানিয়েছি। 
গুসকরা শহরের বেশ কয়েক জায়গায় কুনুরের ভাঙন শুরু হয়েছে। নদী ক্রমশ সরু হয়ে পড়ছে। ফলে জলের চাপ বাড়লেই কুনুর নদীর দু’ পারের মাটি ধসে ভাঙন হচ্ছে। পশ্চিম বর্ধমানের উখড়ার কাছে কুনুরের উৎপত্তি। তারপর কাঁকসা, লাউদোহা, আউশগ্রাম, গুসকরা হয়ে মঙ্গলকোটে প্রবেশ করছে। ব্লকের সারঙ্গপুর গ্রাম দিয়ে ঢুকে কোগ্রামে অজয়ের সঙ্গে মিশছে। এই নদী আয়তনে ছোট। তাছাড়া এর নাব্যতা কমে যাওয়ায় জল ধারণ ক্ষমতাও অনেক কম। তাই নদীর জল পাড়ে ধাক্কা খায়। তাতেই ভাঙন হচ্ছে বলে জানান স্থানীয়রা।   
১৯৯৩-৯৪ আর্থিক বছরে কুনুর সংস্কারের কিছুটা কাজ হয়। নাব্যতা  বাড়ানোর জন্য সে সময়ে প্রায় ৩০ লক্ষ টাকায় নদীর মাটি কাটা হয়েছিল। কিন্তু তাতেও কাজ হয়নি।
কলকাতা
রাজ্য
দেশ
বিদেশ
খেলা
বিনোদন
ব্ল্যাকবোর্ড
শরীর ও স্বাস্থ্য
বিশেষ নিবন্ধ
সিনেমা
প্রচ্ছদ নিবন্ধ
আজকের দিনে
রাশিফল ও প্রতিকার
ভাস্কর বন্দ্যোপাধ্যায়
mesh

আইনজীবীদের কর্মের প্রসার ও ব্যস্ততা বৃদ্ধি। ব্যবসাদি পরিচালনার জন্য নতুন পরিকল্পনা রচনা।...

বিশদ...

এখনকার দর
ক্রয়মূল্যবিক্রয়মূল্য
ডলার৮৩.২৪ টাকা৮৪.৯৮ টাকা
পাউন্ড১০৭.৬৪ টাকা১১১.৪৩ টাকা
ইউরো৮৯.৪৭ টাকা৯২.৮৭ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
*১০ লক্ষ টাকা কম লেনদেনের ক্ষেত্রে
দিন পঞ্জিকা