দক্ষিণবঙ্গ

কালীপুজোয় শব্দদানবের দাপাদাপি আটকাতে রানাঘাটে কড়া পদক্ষেপ

নিজস্ব প্রতিনিধি, রানাঘাট: শব্দদানবের দাপাদাপি নিয়ে বড়ই তিক্ত অভিজ্ঞতা রয়েছে রানাঘাট শহরবাসীর। পুজো এলেই শব্দবাজি আর তারস্বরে ডিজে এই শহরের যেন সংক্রামক ব্যাধি হয়ে উঠেছে। সামনেই কালীপুজো। জোড়া দৈত্যের প্রভাবে কতটা অতিষ্ঠ হতে হবে সাধারণ মানুষকে? লক্ষ্মীপুজো মিটতেই ফের শঙ্কায় আম জনতা।
দুর্গাপুজো এবং কালীপুজোর উল্লেখযোগ্য আধিক্য রয়েছে রানাঘাটে। শ’খানেকের কাছাকাছি ছোটবড় পুজো হয় শহর এবং শহরের উপকণ্ঠে। এমতাবস্থায় প্রতিবছর এই পূজা চলাকালীন এবং বিসর্জনে দেদার শব্দবাজির তাণ্ডব চলে। সেইসঙ্গে পাল্লা দিয়ে থাকে তারস্বরে ডিজের দাপট। যদিও বেশ কিছুটা পরিবর্তিত অবস্থা দেখা গিয়েছে সদ্যসমাপ্ত দুর্গাপুজোয়। এক্ষেত্রে পুলিসের ভূমিকায় কিছুটা সন্তোষ ব্যক্ত করেছেন সাধারণ মানুষ। তাদের দাবি, বিসর্জনে উচ্চৈস্বরে ডিজে বাজিয়ে প্রতিমা নিরঞ্জনের ছবি এবার সেভাবে দেখা যায়নি। কিন্তু একইসঙ্গে আশঙ্কাও ব্যক্ত করেছেন তারা। কারণ পুলিসকে সবচেয়ে বেশি পরীক্ষার মুখে ফেলবে কালীপুজো। তাই সেই পরীক্ষায় তারা আদেও উত্তীর্ণ হয় কি না সেটা নিয়েই আশঙ্কা ব্যক্ত করেছেন সামাজিক সংগঠনগুলির সদস্যরা। যেমন রানাঘাট নাগরিক সুরক্ষা সমিতির তরফে জয়দেব মুখোপাধ্যায় বলেন, প্রতি বছর আমরা বিষয়টি নিয়ে আন্দোলন করি। পুলিস এবং মহকুমা শাসকের কাছে ডেপুটেশন দিই। কিন্তু প্রতি বছর অবস্থার কোনও পরিবর্তন হয় না। তারস্বরে ডিজে আর সেইসঙ্গে পাল্লা দিয়ে শব্দবাজির যন্ত্রণায় জর্জরিত হতে হয় রানাঘাটের মানুষকে। পুলিসের নজর এড়িয়ে কীভাবে নিষিদ্ধ শব্দবাজি বিক্রি হয়? বারবার বিষয়টি নিয়ে প্রশ্ন তুলেছি আমরা। প্রশাসনকে অনুরোধ করব, যেন তারা কড়া হাতে বিষয়টি দমন করেন।
এদিকে, জোড়া শব্দদৈত্য ঠেকাতে কী পদক্ষেপ নিচ্ছে পুলিস? একটি সূত্রের দাবি, নির্দিষ্ট বেশ কয়েকটি পথ অনুসরণ করে সাফল্য এসেছে দুর্গাপুজোয়। পুলিসের এক কর্তা বলেন, যারা সাউন্ড বক্স এবং ডিজে বক্স ভাড়া দেন তাদের চিহ্নিত করছি। সাউন্ড বক্সগুলিতে সাউন্ড লিমিটার বসানো হচ্ছে কি না তা পর্যবেক্ষণ করছে আমাদের টিম। না থাকলে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে। সেই সঙ্গে পুজো কমিটিগুলিকে সরাসরি নির্দেশিকা দেওয়া হচ্ছে, যেন তারা বেআইনি পন্থা অবলম্বন করে শব্দদূষণ তৈরি করতে পারে এমন বক্স না ব্যবহার করেন। শব্দবাজির ক্ষেত্রে লাগাতার অভিযান চলছে। চোরাগুপ্তা কেউ শব্দবাজি বিক্রি করছে কি না তা আমরা খোঁজ খবর রাখছি। ধরপাকড় এবং গ্রেপ্তারি চলবে। এমনকী, কেউ শব্দবাজি ফাটালে, পুলিস তার বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নিতে পারে। 
প্রসঙ্গত, রানাঘাট শহরে একসময় শব্দবাজির আমদানি হতো গাংনাপুর এলাকা থেকে। বেশ কয়েক বছর আগে সেখানে একটি বাজি কারখানায় বিস্ফোরণ হয়। তাতে একজনের মৃত্যুও হয়। তারপর থেকেই সেখানে বাজি তৈরির প্রবণতা কমেছে। ফলে রানাঘাটে চাহিদা থাকলেও আমদানির অভাবে অনেকটা দাপট কমেছে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত কালীপুজোয় জোড়া শব্দদানবের দৌরাত্ম্যে কি লাগাম পড়াতে পারবে পুলিস? নাগরিক সংগঠনগুলির তরফে তোলা এই প্রশ্নের উত্তর দেবে সময়। - প্রতীকী চিত্র
কলকাতা
রাজ্য
দেশ
বিদেশ
খেলা
বিনোদন
ব্ল্যাকবোর্ড
শরীর ও স্বাস্থ্য
বিশেষ নিবন্ধ
সিনেমা
প্রচ্ছদ নিবন্ধ
আজকের দিনে
রাশিফল ও প্রতিকার
ভাস্কর বন্দ্যোপাধ্যায়
mesh

আইনজীবীদের কর্মের প্রসার ও ব্যস্ততা বৃদ্ধি। ব্যবসাদি পরিচালনার জন্য নতুন পরিকল্পনা রচনা।...

বিশদ...

এখনকার দর
ক্রয়মূল্যবিক্রয়মূল্য
ডলার৮৩.২৪ টাকা৮৪.৯৮ টাকা
পাউন্ড১০৭.৬৪ টাকা১১১.৪৩ টাকা
ইউরো৮৯.৪৭ টাকা৯২.৮৭ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
*১০ লক্ষ টাকা কম লেনদেনের ক্ষেত্রে
দিন পঞ্জিকা