দেশ

প্রতিবাদী অ্যাকাউন্টে ১.৭ কোটি, সেবাধর্মের নামে ট্রাস্ট, ঠিকানা আর জি কর হস্টেলের ৩২ নম্বর রুম

নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: রক্তদান শিবির, বিনামূল্যে স্বাস্থ্য ও চক্ষু পরীক্ষার মতো ‘সেবাধর্মে’র উল্লেখ করে বানানো জুনিয়র ডাক্তারদের স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার (এনজিও) ট্রাস্ট টাকা তুলছে সাধারণ মানুষের কাছ থেকে। ১০ দফা দাবির মধ্যে সাতদফা নবান্ন মেনে নিলেও, সে সব ‘সেবাধর্ম’ শিকেয় তুলে দাবি আদায়ে চলছে লাগাতার অনশন এবং মঙ্গলবার থেকে ফের স্বাস্থ্য ব্যবস্থা অচল করার জন্য ধর্মঘটের হুমকি। ওয়েস্ট বেঙ্গল জুনিয়র ডক্টরস ফ্রন্ট গত ১৩ সেপ্টেম্বর রেজিস্টার অব অ্যাসিওরেন্সের দপ্তরে যে এনজিও’র রেজিস্ট্রেশন করিয়েছে, তার নামে ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট খোলা হয়েছে। বেসরকারি ব্যাঙ্ক এইচডিএফসি’র কলকাতা হাইকোর্ট শাখায় যে অ্যাকাউন্টটি (নম্বর-××××××××××৩২৫১) খোলা হয়েছে, সেখানে গত ১৬ অক্টোবরের ব্যালেন্স ১ কোটি ৭০ লক্ষ টাকা! জুনিয়র ডাক্তারদের দাবি, আন্দোলনের জন্য খরচ করা হচ্ছে এই টাকা। দেশজুড়ে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা শুভানুধ্যায়ীরাই সেখানে টাকা পাঠাচ্ছেন বলে দাবি করেছেন জুনিয়র ডাক্তার সংগঠনের নেতা আসফাকুল্লা নাইয়া। তবে তৃণমূলের অভিযোগ, ন্যায়বিচারের আন্দোলনের নামে রাজ্যে স্বাস্থ্য ব্যবস্থা বিঘ্নিত করে সরকারকে বেকায়দায় ফেলতে চাওয়া লালপার্টির কিছু ‘মাতব্বর’, কয়েকজন স্বাস্থ্য ব্যবসায়ী এবং অতিবাম বিপ্লবী তো বটেই, সঙ্গে হঠাৎ করে গজিয়ে ওঠা কিছু ‘সমাজ সংস্কারক’ এই অ্যাকাউন্টে নিয়মিত টাকা পাঠাচ্ছেন। রাজ্য সরকার যতই সহনশীলতা দেখাক না কেন, আন্দোলন থেকে জুনিয়র ডাক্তাররা যাতে কোনওমতেই সরে না আসেন, তার জন্য নিয়মিত উস্কানি দিয়ে চলেছে এই অংশটাই।
এদিকে, জুনিয়র ডাক্তাররা যে এনজিও’টি খুলেছেন, তার ইউনিক আইডি হল-ডব্লুবি/২০২৪/০৪৫২৬৮১। সদস্যরা হলেন, রাজদীপ সাউ (সম্পাদক), অর্ণব মুখোপাধ্যায় (কোষাধ্যক্ষ) এবং দেবাশিস হালদার (সহ সম্পাদক)। এনজিও’র কাজকর্ম হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে বিনামূল্যে স্বাস্থ্য ও চক্ষু পরীক্ষা শিবির এবং রক্তদানের মতো মহতী নানা পদক্ষেপের। প্রশ্ন উঠেছে এখানেই। গত ১৩ সেপ্টেম্বর এনজিও তথা ট্রাস্ট গঠনের পর ক’টা রক্তদান, চক্ষু ও স্বাস্থ্য পরীক্ষা শিবির করেছেন জুনিয়র ডাক্তাররা? জুনিয়র ডাক্তার ফ্রন্ট নেতাদের বক্তব্য, রাজ্যের বন্যা কবলিত কয়েকটি এলাকায় তাঁরা এসব করে এসেছেন। লাগাতার দুর্ভোগের কবলে দিন গুজরান করা সাধারণ মানুষের ক্ষোভ, রাজ্যের স্বাস্থ্য পরিষেবাকে শিকেয় তুলে দিয়ে এই নামমাত্র ত্রাণবিলির মানে কী?
অপরদিকে, এনজিও তথা ট্রাস্ট গঠনের পর জুনিয়র ডক্টরস ফ্রন্টের নামে যে পাবলিক নোটিস করা হয়েছে, সেখানে সংগঠনের সভাপতি হিসেবে অনিকেত মাহাত, সম্পাদক রাজদীপ সাউ ও কোষাধ্যক্ষ হিসেবে অর্ণব মুখোপাধ্যায়ের সই রয়েছে। ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টও খোলা হয়েছে এই তিনজনের নামে। ট্রাস্টের নামে টাকা তোলা হলেও, অ্যাকাউন্ট হোল্ডারের ক্ষেত্রে বাদ পড়েছেন দেবাশিস হালদার। অ্যাকাউন্ট খোলার জন্য আধার ও প্যান কার্ড তথ্য হিসেবে জমা দেওয়া হয়েছে। এবং ট্রাস্ট ডিড—তাতে নাম রয়েছে কিঞ্জল নন্দের। তবে ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট খোলার জন্য ব্যবহৃত ঠিকানা নিয়ে সবচেয়ে বেশি বিতর্ক দেখা দিয়েছে। কারণ সেটি হল আর জি কর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের ছাত্রাবাস কেবি হস্টেলের ৩২ নম্বর রুম। সরকারি ছাত্রাবাসের ঠিকানা কেন? সরকারের অনুমোদন ছাড়া সরকারি সম্পত্তিকে কি কোনও ট্রাস্টের সম্পত্তি হিসেবে ব্যবহার করা যায়? আসফাকুল্লার বক্তব্য, আইনজীবীদের সঙ্গে আলোচনা করে ট্রাস্টের ঠিকানা ধার্য করা হয়েছে।       
কলকাতা
রাজ্য
বিদেশ
খেলা
বিনোদন
ব্ল্যাকবোর্ড
শরীর ও স্বাস্থ্য
বিশেষ নিবন্ধ
সিনেমা
প্রচ্ছদ নিবন্ধ
আজকের দিনে
রাশিফল ও প্রতিকার
ভাস্কর বন্দ্যোপাধ্যায়
mesh

আইনজীবীদের কর্মের প্রসার ও ব্যস্ততা বৃদ্ধি। ব্যবসাদি পরিচালনার জন্য নতুন পরিকল্পনা রচনা।...

বিশদ...

এখনকার দর
ক্রয়মূল্যবিক্রয়মূল্য
ডলার৮৩.২৪ টাকা৮৪.৯৮ টাকা
পাউন্ড১০৭.৬৪ টাকা১১১.৪৩ টাকা
ইউরো৮৯.৪৭ টাকা৯২.৮৭ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
*১০ লক্ষ টাকা কম লেনদেনের ক্ষেত্রে
দিন পঞ্জিকা