Bartaman Patrika
 

এল দিন নবীন বরণের
তরুণ চক্রবর্তী

আজ ভোরের সূর্য ডেকে তুলেছে আমাদের নতুন দিনের জন্মতিথি এল বলে। বর্ষশেষে আমরা পেলাম আজ ১৪২৬ বঙ্গাব্দের পয়লা বৈশাখ দিনটি। আর এই দিনটিকে নতুন করে পাব বলেই তো আমাদের ব্যস্ততা গত কয়েকদিন থেকে। পুরাতন বৎসরের জীর্ণ ক্লান্ত রাত্রিশেষে আমরা নববর্ষের এই প্রথম দিনটিতে জেগে উঠতে চাই নতুন অনুভবে। আর তাই নববর্ষ বরণের এত সমারোহ চারদিকে। পত্রপুষ্প-আলিঙ্গনে, নববস্ত্র পরিধানে, প্রতিদিনের চেয়ে একটু অন্যরকম, যে যার সাধ্যমতো ভালো খাদ্য সামগ্রীর আয়োজন আর গান-বাজনা, গল্পের মধ্য দিয়ে বাংলা বছরের প্রথম দিনটি আমরা ভাসিয়ে দিই উৎসবের আনন্দের জোয়ারে।
স্মরণ করি, কবি-দার্শনিক রবীন্দ্রনাথের উক্তি— ‘আজ যেখানে বর্ষশেষ, কালই সেখানে বর্ষারম্ভ— একই পাতার এ পৃষ্ঠায় সমাপ্তি, ও পৃষ্ঠায় সমারম্ভ— কেউ কাউকে পরিত্যাগ করে থাকতে পারে না। পূর্ব এবং পশ্চিম একটি অখণ্ড মণ্ডলের মধ্যে পরিপূর্ণ হয়ে রয়েছে, তাদের মধ্যে ভেদ নেই বিবাদ নেই— একদিকে যিনি শিশুর আর একদিকে তিনিই বৃদ্ধের। একদিকে তাঁর বিচিত্র রূপের দিকে তিনি আমাদের আশীর্বাদ করে পাঠিয়ে দিচ্ছেন, আর একদিকে তাঁর স্বরূপের দিকে আমাদের আশীর্বাদ করে আকর্ষণ করে নিচ্ছেন। ...সমস্তই যেখানে ফুরিয়ে যাচ্ছে সেখানে দেখছি একটি অফুরন্ত আবির্ভাব।’
সব দেশেই আছে নববর্ষবরণ, মাস বা দিনের বিভিন্নতায় এক এক নামে তার পরিচিতি। সেদিক থেকে মানবিক সংহতির এটিও একটি দিক।
বাংলায় ঠিক কবে থেকে চলে আসছে এই নববর্ষবরণ উৎসব, এর উত্তর পাওয়া কঠিন। মুঘল বাদশাদের আমলের প্রথম দিকেও বাংলায় নববর্ষ বলে কিছু ছিল না।
প্রকৃতপক্ষে বাংলা বর্ষপঞ্জির সূচনালগ্ন নিয়ে নানা মুনির নানা মত। কারও মতে, রাজা শশাঙ্কর আমল থেকেই বঙ্গাব্দ চলে আসছে, কেউ মনে করেন সম্রাট হোসেন শা’র আমলেই এর সূচনা। অন্য একটি মত অনুসারে তিব্বতি শাসক স্রংসন গাম্পোর নাম থেকেই বাংলা সন-এর উৎপত্তি। আবার অনেকের ধারণা, বাংলায় নববর্ষ উৎসব শুরু হয় অনেক পরে, ইংরেজ আমলে, ইংরেজি নববর্ষের অনুকরণেই এই উৎসব।
অধিকাংশ ঐতিহাসিক অবশ্য সন, তারিখ আর সময়ের চুলচেরা বিশ্লেষণ করে সম্রাট আকবরকেই এর প্রবর্তকের সম্মান দিয়েছেন। মহামতি ছিলেন বলেই আমরা দেখি, তাঁর শাহী দরবারে সবেবরাত, ঈদ ইত্যাদির সঙ্গে হিন্দুদের দেওয়াল, দশেরা, শিবরাত্রির মতো উৎসবও চালু করেছিলেন তিনি। আমাদের দেশে তিনিই প্রচলন করেছিলেন পারস্যের নওরোজ-এর মতো নববর্ষ উৎসব। এ উৎসবের একটি প্রেক্ষাপট আছে অবশ্যই।
যুগটা ছিল কৃষির, খাজনা হিসেবে প্রজাদের দিতে হতো ফসল এবং নির্ধারিত সময়ের মধ্যে সেই খাজনা জমা দিতে না পারলে তাদের কপালে জুটত অমানুষিক অত্যাচার। এদিকে আবার খাজনা সময়টা প্রজাদের পক্ষে উপযুক্ত ছিল না মোটেই, কারণ হিজরি মাস অনুযায়ী তা নির্ভর করত চাঁদের দেখা পাওয়ার ওপর। সম্রাট আকবর প্রজাদের এই দুর্দশার ব্যাপারটি এক সময় অনুধাবন করে সমস্যা সমাধানের ভার দেন তাঁর অর্থমন্ত্রী ও রাজজ্যোতিষী ফতেউল্লাহ সিরাজির ওপর। সিরাজি তখন চান্দ্রমাসের বদলে সৌরমাস গণনা করে ঋতুনির্ভর বাংলা সন পদ্ধতি চালু করার পরামর্শ দেন তাঁকে। সম্রাট সেইমতো ব্যবস্থা করে খাজনা আদায়ের দিনটিকে উৎসবের দিন হিসাবে ঘোষণা করেন। সেই থেকে চালু হয় বাংলা সন এবং কালক্রমে বাংলায় শুরু হয় পয়লা বৈশাখ উদ্‌যাপন পর্ব।
বাংলা নববর্ষ নিয়ে মতভেদ যাই থাকুক, আগেকার দিনে যেহেতু কৃষিই ছিল আমাদের অর্থনীতির মূল স্তম্ভ, রাজা-মহারাজাদের রাজস্বের প্রধান অংশই যেহেতু আসত কৃষি থেকে, তাই কৃষকের ঘরে ফসল ওঠার পরই নতুন বছর শুরু করা হয়েছিল। তাই অর্থবর্ষ আর বঙ্গাব্দের প্রবর্তন এদেশে যে পিঠোপিঠি সময়ে— এমন ভাবনা বোধ হয় অযৌক্তিক হবে না। যে হিন্দু সৌর পঞ্জিকা মতে বাংলায় বারো মাসের চল, সেই সৌরপঞ্জিকা শুরু হতো গ্রেগরীয় পঞ্জিকার এপ্রিল মাসের মাঝামাঝি সময় থেকে। হিন্দু সৌর বছরের প্রথম দিনটি অসম, বাংলা, কেরালা, তামিলনাড়ু, ওড়িশা, মণিপুর, ত্রিপুরা, পাঞ্জাব ও নেপালের সংস্কৃতির অবিচ্ছেদ্য অঙ্গ হিসাবে বহু আগে থেকেই উদ্‌যাপিত হয়ে আসছে।
বাংলা নববর্ষ উদ্‌যাপন আজ যেমন সর্বজনীন উৎসব, এমনটি আগে ছিল না। যেকালে নববর্ষ বা পহেলা বৈশাখের উৎসব ঋতুধর্মী উৎসব হিসেবেই উদ্‌যাপিত হতো। তখন এর মূল তাৎপর্যই ছিল কৃষি, কারণ, প্রযুক্তির প্রয়োগ শুরু না হওয়া পর্যন্ত কৃষককুলকে নির্ভর করতে হতো ঋতুর ওপরই। যে ঋতুতে যে ফসল ফলে এই হিসেবে।
পারস্য দেশে ‘নওরোজ’ ছিল আকর্ষণীয় সমারোহের বারো দিনের জাতীয় উৎসব। সেই মেজাজকেই হিন্দুস্তানে এনে আকবর বাদশা তার রূপ দিয়েছিলেন নববর্ষের উৎসবে, প্রথমদিকে যা ছিল টানা সাত দিন বা ন’দিনের এবং পরে উনিশ দিনের। আজ সে উৎসব একদিনের হলেও তা যথেষ্টই বর্ণবহুল। একদিন যা ছিল শুধুই হিসাব রক্ষার নীরস, কাঠখোট্টা দিন, বাঙালির উৎসবপ্রিয়তা তার সঙ্গে জড়িয়ে নিল রামধনুর বর্ণচ্ছটা। আজকের নববর্ষ বরণকালে তাই আমরা দেখি এর নানা ছবি। মাত্র একটি দিনকে ঘিরে কত না আয়োজন, উৎসাহ আর উদ্দীপনা!
নববর্ষবরণ প্রসঙ্গে আর একটি অধ্যায়ও ইতিহাসের পাতায় সমুদ্ভাসিত। এই অধ্যায়টিতে যে উৎসবের ছবি দেখি আমরা সেখানে অবশ্য রাজা-জমিদাররাই সব, জনসাধারণের যোগ তেমন ছিল না। বর্ষারম্ভের প্রথম দিনটি তখন খাজনা আদায়ের দিন হলেও তা পুণ্য দিন হয়েছিল কোন বিবেচনায়, ভাবতে গেলে ধন্দ লাগে। মনে হয়, যেন নিদারুণ রঙ্গভরা এক সমাজবীক্ষণ। দিনটির নাম দেওয়া হল কিনা ‘পুণ্যাহ’। পরে লোকমুখে তা হয়ে গেল ‘পুণ্যো’। জমিদারদের নববর্ষের প্রথম দিন, যেদিন খাজনা আদায় শুরু হতো সেদিনটি ‘পুণ্যাহ’ এবং প্রায়শই তা হতো আষাঢ় মাসে। দাশরথি রায় (১৮০৬-১৮৫৭)-এর পাঁচালি গানে উল্লেখ আছে এর— ‘মহাপুণ্যের ‘পুণ্যে’ করেন জমিদার মেহমান।’ ‘পুণ্যে’ এখানে পুণ্যাহ আর ‘মেহমান’ হলেন জমিদার। তাঁদের মতো পুণ্যবান মানুষরাই এমন উৎসব করতে পারেন।
প্রসঙ্গত, আমাদের প্রাচীন গান, লোকসাহিত্য, মঙ্গলকাব্য, গীতিকা এমনকী ঈশ্বর গুপ্তের কবিতাতেও অনেক উৎসবের কথা থাকলেও পয়লা বৈশাখের উৎসবের চিত্র বুঝি অমিল। পুণ্যাহ’র কথা আছে রবীন্দ্ররচনায়, তাঁর কবিতায়, গানে বাংলা নববর্ষের কতই না বিভঙ্গ।
এই প্রথাটি কিন্তু চালু করেছিলেন মুর্শিদকুলি খাঁ এবং তিনিই নাকি পয়লা বৈশাখ দিনটিকে পুণ্যাহের দিন হিসেবে মান্যতা দিয়ে প্রতিবছর এই দিনটিতে জাঁকজমক সহকারে উৎসবের আয়োজন করতেন। তাঁর আমন্ত্রণে সেদিন সারা বাংলার জমিদাররা অভিজাত পোশাক পরে বজরা সাজিয়ে নদীপথে মুখসুদাবাদ বা মুর্শিদাবাদে এসে যোগ দিতেন এই উৎসবে। নবাব মুর্শিদকুলি সে উৎসবে যেমন খানাপিনার এলাহি আয়োজন করতেন, খেতাব আর খিলাতও বিলোতেন দরাজ হস্তে। তারপর নবাব আলিবর্দিও এই উৎসবের ঐতিহ্য ও ধারা অব্যাহত রেখেছিলেন। আবার দিল্লি থেকে দেওয়ানি পাওয়ার পর লর্ড ক্লাইভও কোম্পানির রাজস্ব সংগ্রহের জন্য এই দিনটিকেই বেছে নিয়েছিলেন। তিনিও খুব ধুমধামের সঙ্গেই পুণ্যাহ উদ্‌যাপন করতেন, এক্ষেত্রে কোনও কার্পণ্য ছিল না তাঁরও।
তবে এ দেশীয় হিন্দু রাজা ও জমিদারদের মধ্যে বাংলা নববর্ষের উৎসবটি প্রথম উদ্‌যাপন করেছিলেন বাদশা জাহাঙ্গিরের সমসাময়িক, নদীয়ার মহারাজা কৃষ্ণচন্দ্রের পূর্বপুরুষ ভবানন্দ মজুমদার। চৈত্রের কিস্তির টাকা নবাবকে মিটিয়ে দিয়ে তিনি তাঁর পছন্দমতো অগ্রহায়ণ মাসের প্রথম দিনটিতে মহাসমারোহে এই নতুন বর্ষবরণ বা পুণ্যাহ উদ্‌যাপন করতেন। পরে সব জমিদারদের কাছারি বাড়িতেই আয়োজিত হতে থাকে এই উৎসব। এর পাশাপাশি ব্যবসাদার, দোকানদার, মহাজন, পাওনাদাররাও ক্রমে শামিল হয়ে যান এই উৎসবে।
নববর্ষের ভোরে লাল খেরোর খাতা আর পুজোর ডালি নিয়ে মন্দিরে মন্দিরে দোকানিদের পুজো দিয়ে হিসেবের নতুন খাতা খোলার ট্র্যাডিশন আজও চলেছে সমানে।
সম্ভবত বণিক সম্প্রদায়েরই দৌলতে এই হালখাতার উদ্ভব হলেও, ঠিক কবে আর কোথায়, সে খবর দিতে পারবেন হয়তো ইতিহাসবিদরা।
কিন্তু নাম কেন ‘হালখাতা’? হাল শব্দের একটি অর্থ, বর্তমান কাল, তাই বর্তমান সনের দোকানের হিসেবের খাতা হল হালখাতা। তোশক, বালিশের খোল হয় যে ধরনের মোটা সুতোর কাপড়ে, তাকে বলে খেরুয়া, খেরেয়া বা খেরো। লাল শালু দিয়ে এমন কাপড়ে মোড়া আটপৌরে যে খেরোর খাতা, সেটিকেই হালখাতা বা নতুন খাতা করে পয়লা বৈশাখ তার গায়ে সিঁদুর লেপে দিয়ে সিদ্ধিদাতা গণেশ, লক্ষ্মী, কালী ইত্যাদির পুজো করে দোকানিরা নিয়ে আসেন দোকানে। সারা বছরের হিসেবনিকেশ তুলে রাখা হয় তাতেই। হালখাতা উপলক্ষে চলে মিষ্টিমুখ।
নববর্ষবর঩ণে সেই ১৯৩৮-৩৯ সাল থেকেই আকাশবাণী পরিবেশন করে আসছে নববর্ষের আড্ডা, গান, গীতি-আলেখ্যর অনুষ্ঠান। চল্লিশের দশকের শেষের দিকে কলকাতার বিখ্যাত কয়েকটি দোকান হালখাতা উপলক্ষে সন্ধ্যায় বসাত গানের আসর। মাইক্রোফোনের চল না থাকায় খালি গলাতেই গাইতেন তখনকার জনপ্রিয় শিল্পীরা। পাঁচ ও ছয়ের দশকে শুরু হয় বিচিত্রানুষ্ঠান পুরাতনী, বৈঠকি বা শাস্ত্রীয়সঙ্গীত ছাড়াও রবীন্দ্রসঙ্গীত, নজরুলগীতি, আধুনিক গান আর কৌতুক পরিবেশন। দিন বদলায়, কিন্তু আজও এই পয়লা বৈশাখ আমাদের বাজায়। আসলে এক একটা দিন কেমন যেন পাল্টে দেয় আমাদের, ভিতরে ভিতরে একটু যেন অন্যরকম হয়ে পড়ি। কে যেন কানে কানে শুভ বুদ্ধির মন্ত্র দিয়ে পরস্পরকে বলতে শেখায় ‘ভালো থেকো’, ‘ভালো রেখো’। তাই অফুরান শুভেচ্ছা দিয়ে গানে গানে ভরিয়ে তুলে দিনটিকে গড়ে তুলি উৎসবেরই দিন হিসেবে।
প্রকৃতি যখন নতুন হয়ে উঠছে, তখনই যে এই উৎসব। আমরাও আজ তাই নতুন করে বাঁচার শপথ নিই মনে মনে। নববর্ষ তো প্রতীক্ষা আর প্রতীক্ষাই সবচেয়ে সম্ভাবনার, সবচেয়ে নবীন। তাই একে ঘিরেই আমাদের উৎসব, নবীনকে বরণ করবার উৎসব। সার্থকতার এক একটি শীর্ষ ছুঁয়ে ছুঁয়েই আমরা এগিয়ে যেতে চাই নতুন পথে, নতুন উদ্যমে।
15th  April, 2019
বাঙালির উৎসব মানেই স্বর্ণালঙ্কার
শ্যামলী বসু

 সেকালে মেয়েদের নিজস্ব সম্পত্তি বা স্ত্রীধন বলতে বোঝাত পরিবারের গিন্নি, মেয়ে, বউদের গয়নাপত্র। তাই সচ্ছল সম্পন্ন পরিবার থেকে সাধারণ মধ্যবিত্ত পরিবারেও বিয়ের সময় বউ-মেয়েদের সাধ্যমতো গয়না দেওয়া হত। বিশেষ করে মেয়েদের। গা ভরা সোনা-জড়োয়ার গয়নায় মেয়ে-বউদের রূপের জৌলুস বাড়বে।
বিশদ

15th  April, 2019
 হাওড়া-হুগলির মন্দিরে আজ লম্বা লাইন

  একটা সময় ছিল নববর্ষ মানেই দোকানে দোকানে হালখাতা। সারা বছরের ক্রেতাদের ওইদিন দোকানে আমন্ত্রণ করে খাওয়ানোর রীতি ছিল। সেই রীতিতে এখন অনেক পরিবর্তন এসেছে। কিন্তু, নববর্ষের সকালে লাল শালুতে মোড়া খাতা নিয়ে মন্দিরে মন্দিরে পুজো দেওয়ার চল এখনও আছে।
বিশদ

15th  April, 2019
দক্ষিণেশ্বর থেকে আমডাঙা ঢল নামবে ভক্তদের

  ‘এসো হে বৈশাখ এসো’। চৈত্রের পাতাঝরা দিন পেরিয়ে পয়লা বৈশাখের শুভ আগমন। বাঙালির নববর্ষ। আর পয়লা বৈশাখ মানেই মায়ের পায়ের সিঁদুর ছোয়ানো স্বস্তিক আঁকা চিহ্নের লাল মলাটের খাতা। মায়ের মন্দিরে পুজো দিয়ে বছরের প্রথমদিনে যে খাতার সূচনা করেন ব্যবসায়ীরা। আপামোর বাঙালির কাছে যা ‘হালখাতা’ নামেই পরিচিত।
বিশদ

15th  April, 2019
হাতিবাগান জমজমাট!
স্বস্তিনাথ শাস্ত্রী

 হাতিবাগান আজ জমজমাট। আজ পয়লা বৈশাখ। স্টার থিয়েটারে শুরু হতে চলেছে নতুন নাটক ‘আদর্শ হিন্দু হোটেল’। হাজারি ঠাকুরের ভূমিকায় অভিনয় করছেন প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়, পদ্ম ঝি করছেন ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত। পরিচালনায় বিভাস চক্রবর্তী। প্রথম শো উপলক্ষে সুন্দর করে সাজানো হয়েছে স্টার থিয়েটার। হু হু করে টিকিট বিক্রি হয়েছে।
বিশদ

15th  April, 2019
নববর্ষে ময়দানে বারপুজোর অতীত গরিমা প্রায় বিলীন
রাতুল ঘোষ

পয়লা বৈশাখের দিন বারপুজোয় স্রেফ মজিদ বাসকারকে দেখার জন্য ইস্ট বেঙ্গল মাঠ সদস্য সমর্থকে ভরে গিয়েছিল।
বিশদ

15th  April, 2019
এক নববর্ষের দিনে
অহনা বিশ্বাস

 ঘণ্টা বাজছিল। মন্দিরে গিয়ে সিঁড়ি দিয়ে উঠে কলকে গাছের ছায়ায় মেয়েকে নিয়ে বসে পড়লাম। পিছনে আরও পাঁচ বন্ধু তড়বড় করে ছেলেমেয়ের হাত ধরে এসে এখানে-ওখানে চটের ওপর বসে পড়ল। পৃথা তো তার গায়ক ছেলেকে একেবারে মন্দিরের দরজার পাশে বসিয়ে দিয়ে এল। ভেতরে সাদা পোশাকের পাঠভবনের বাচ্চারা। এস্রাজ বাজছে।
বিশদ

15th  April, 2019
পয়লা বৈশাখ মানেই আড্ডার ছবি
রূপা মজুমদার

 দেব সাহিত্য কটীর-এ পয়লা বৈশাখ পালন বলতে প্রথমেই ভেসে ওঠে ‘আড্ডার’ ছবি। আপাতদৃষ্টিতে ‘আড্ডা’কে কেউ কেউ ভালো চোখে দেখেন না, নিন্দুকেরা তো আড্ডাবাজ বলে বাঙালি জাতটাকেই কুখ্যাত করেছে। প্রকৃতপক্ষে ‘আড্ডা’ দেওয়া একটা আদিম ও অনাদি জীবধর্ম, বাঙালির মতো এ সত্যকে কেউ আর জীবনে এত বেশি স্বীকার করতে পারেনি।
বিশদ

15th  April, 2019
পুরনো কলকাতার পঞ্চব্যঞ্জন
সাধনা মুখোপাধ্যায়

নববর্ষ মানে হারানো বাঙালিয়ানা ফিরে পাওয়া। পয়লা বৈশাখ মানে পুরনোকে বিদায় জানিয়ে নতুনের আবাহন। আরও একটা বছর এগিয়ে গেলাম আমরা। নতুন বছরে সুখ-সমৃদ্ধিতে ভরে উঠুক সকলের জীবন। পরম করুণাময় ঈশ্বরের আশীর্বাদে দূরীভূত হোক সকল গ্লানি, আনন্দে মুখরিত হোক আকাশ-বাতাস। স্বাগত ১৪২৬।
বিশদ

15th  April, 2019
বাঙালির ফেসবুক লেখালিখি
সুমন সরকার

সিরিয়ালে যেমন দেখায় আর কী! বেশ ধুপের ধোঁয়া , পেছনে পুউউউ করে শঙ্খ বাজছে। আবির্ভাব হচ্ছে এক ন্যাড়া প্রভুর। সেইরকম এক ন্যাড়াপ্রভুর মতন ফেসবুক বাঙালির জীবনে আবির্ভূত হয়ে বললেন, ‘ওঠো, জাগো, পোস্ট করো। নিজে পোস্ট করে আর অন্যকে ট্যাগ করো।’ বাবাজিদের ব্যাপারে বাঙালিরা চিরকালই একটু বেশী চাপ নেয় ।
বিশদ

15th  April, 2019
সেকালের বইপাড়ায় নববর্ষের আড্ডা
সবিতেন্দ্রনাথ রায়

বইপাড়ায় আমি আজ থেকে প্রায় সত্তর বছর আগে কাজে ঢুকেছিলাম। তখন নামী বইয়ের দোকান বেশিরভাগ ছিল কলেজ স্ট্রিটে ট্রাম লাইনের রাস্তায়— দাশগুপ্ত, এস. কে. লাহিড়ী, সেন ব্রাদার্স, সেন রায়, ইউ. এন. ধর প্রভৃতি।
বিশদ

15th  April, 2019
আমার জন্যে এক মিনিট
জয়ন্ত দে

আসুন, আমার জন্য এক মিনিট শোক পালন করুন। মাত্র এক মিনিট!
কিছুদিন ধরে এই কথাটা আমি আমার বন্ধুবান্ধব, আত্মীয় স্বজন সবাইকে বলেছি।
বিশদ

15th  April, 2019
স্টুডিওপাড়ার মহরত এখন শুধু স্মৃতি
গুঞ্জন ঘোষ

 বাংলা ছায়াছবির জগতে পয়লা বৈশাখের মহরৎ কবে থেকে চালু হয়েছে তার সঠিক হিসেব নেই। শুভ মুহূর্তে শুভ উদ্যোগের সাফল্য কামনায়এই মাঙ্গলিক উপাচার। সঙ্গে লক্ষ্মী-গণেশের আরাধনা। সিনেমা যে বানিজ্যেরই অংশ।
বিশদ

15th  April, 2019
নতুন বছরে বাঙালির বিত্তচিন্তা
শংকর

 জয় হোক বিশ্বসংসারের মানুষের, সেই সঙ্গে সুখে থাকুক আসমুদ্রহিমাচলে বহুযুগ ধরে জর্জরিত ভারতীয়রা এবং একই সঙ্গে সুখে থাকুক পৃথিবীর সেইসব পুরুষ ও নারী, যাঁরা নিজেদের বাঙালি বলে ভাবতে আজও ভালোবাসেন। পয়লা বৈশাখ, নববর্ষের শুভারম্ভে মানুষ হিসেবে যা প্রাপ্য তার থেকে তাঁরা যেন কোনও অজুহাতেই বঞ্চিত না হন।
বিশদ

15th  April, 2019
বাগবাজারে মায়ের বাড়ি গিয়ে আপনমনে গান গাইতেন বাবা
শ্রীকুমার চট্টোপাধ্যায়

সকালে চা দিয়ে শুরু। একটু বেলা গড়ালে শরবৎ, তারপর দুপুরলো বিশাল খাওয়া দাওয়া— শুক্তো, মাছের মাথা দিয়ে ডাল, মাছভাজা, মাছের ঝোল, টক সব মা রান্না করতেন। বিশদ

15th  April, 2019

Pages: 12345

একনজরে
 নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: সম্পত্তি নিয়ে দুই ভাইয়ের মধ্যে মারপিট চলার সময় ভাইয়ের ধাক্কায় রাস্তায় পড়ে যান দাদা। যোধপুর পার্কের তালতলার একটি বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে সেখানেই তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিৎসকরা। ...

সংবাদদাতা, মালবাজার: চিতাবাঘের আতঙ্কে রাত জাগছে ধূপগুড়ি ব্লকের বানারহাটের ডুডুমারি, জ্বালাপাড়া ও আলে এই তিনটি গ্রামের বাসিন্দারা। এছাড়াও ওই তিনটি গ্রামের ছয়টি স্কুলের পড়ুয়াদের মধ্যেও ...

সংবাদদাতা, রামপুরহাট: সোমবার ভোরে সকলের নজর এড়িয়ে তারাপীঠে তারা মায়ের মন্দিরে পুজো দিলেন অভিনেতা মিঠুন চক্রবর্তী। সম্ভবত গুণগ্রাহীদের নজর এড়াতে টুপি পরে, চাদরে মুখ ...

নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: চলতি লোকসভা ভোটে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রিগিং করতে পারছেন না। জাতীয় নির্বাচন কমিশনের নিরপেক্ষ ও সুদৃঢ পদক্ষেপ দিদির রিগিং প্রক্রিয়ায় বড়সড় আঘাত হেনেছে। ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

উপার্জন বেশ ভালো হলেও ব্যয়বৃদ্ধি পাওয়ার কারণে সঞ্চয় তেমন একটা হবে না। শরীর খুব একটা ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

বিশ্ব বই দিবস
১৬১৬ -ইংরেজী সাহিত্য তথা বিশ্বসাহিত্যের প্রথম সারির নাট্যকার ও সাহিত্যিক উইলিয়াম শেক্সপীয়রের জন্ম
১৯৪১ - বিশ্বের প্রথম ই-মেইল প্রবর্তনকারী রে টমলিনসনের জন্ম
১৯৬৯: অভিনেতা মনোজ বাজপেয়ির জন্ম
১৯৯২: সত্যজিৎ রায়ের মৃত্যু



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৬৮.৯৫ টাকা ৭০.৬৪ টাকা
পাউন্ড ৮৯.০৮ টাকা ৯২.৩৬ টাকা
ইউরো ৭৬.৯৮ টাকা ৭৯.৯৩ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৩১, ৯৯৫ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৩০, ৩৫৫ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৩০, ৮১০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৩৭, ৪৫০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৩৭, ৫৫০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]
21st  April, 2019

দিন পঞ্জিকা

৯ বৈশাখ ১৪২৬, ২৩ এপ্রিল ২০১৯, মঙ্গলবার, চতুর্থী ১৪/৩৫ দিবা ১১/৪। জ্যেষ্ঠা ৩০/৫ অপঃ ৫/১৬। সূ উ ৫/১৪/২০, অ ৫/৫৫/৫৪, অমৃতযোগ দিবা ৭/৪৫ গতে ১০/১৮ মধ্যে পুনঃ ১২/৫১ গতে ২/৩২ মধ্যে পুনঃ ৩/২৩ গতে ৫/৫ মধ্যে। রাত্রি ৬/৪১ মধ্যে পুনঃ ৮/৫৬ গতে ১১/১২ মধ্যে পুনঃ ১/২৭ গতে ২/৭ মধ্যে, বারবেলা ৬/৪৯ গতে ৮/২৪ মধ্যে পুনঃ ১/১০ গতে ২/৪৫ মধ্যে, কালরাত্রি ৭/২০ গতে ৮/৪৫ মধ্যে।
৯ বৈশাখ ১৪২৬, ২৩ এপ্রিল ২০১৯, মঙ্গলবার, চতুর্থী ২০/১৭/২৩ দিবা ১/২১/৪৫। জ্যেষ্ঠানক্ষত্র ৩৫/৫৫/৫৪ রাত্রি ৭/৩৭/১০, সূ উ ৫/১৪/৪৮, অ ৫/৫৭/১২, অমৃতযোগ দিবা ৭/৪০ গতে ১০/১৫ মধ্যে ও ১২/৫১ গতে ২/৩৫ মধ্যে ও ৩/২৭ গতে ৫/১১ মধ্যে এবং রাত্রি ৬/৪৭ মধ্যে ও ৯/০ গতে ১১/১১ মধ্যে ও ১/২৩ গতে ২/৫১ মধ্যে, বারবেলা ৬/৫০/৬ গতে ৮/২৫/২৪ মধ্যে, কালবেলা ১/১১/১৮ গতে ২/৪৬/৩৬ মধ্যে, কালরাত্রি ৭/২১/৫৪ গতে ৮/৪৬/৩৬ মধ্যে।
১৭ শাবান
এই মুহূর্তে
আজকের রাশিফল  
মেষ: শত্রু বশ মানতে বাধ্য হবে। বৃষ: কর্মক্ষেত্রে স্বীকৃতি লাভ। ...বিশদ

07:11:04 PM

ইতিহাসে আজকের দিনে

বিশ্ব বই দিবস১৬১৬ -ইংরেজী সাহিত্য তথা বিশ্বসাহিত্যের প্রথম সারির নাট্যকার ...বিশদ

07:03:20 PM

আইপিএল: সিএসকের সামনে ১৭৬ রানের টার্গেট খাড়া করল সানরাইজার্স হায়দরাবাদ  

09:37:59 PM

 আইপিএল: হায়দরাবাদ ৯১/১ (১০ ওভার)

08:50:51 PM

গুরদাসপুরে সানি দেওলকে প্রার্থী করল বিজেপি 

08:08:03 PM

টসে জিতে সানরাইজার্স হায়দরাবাদকে ব্যাট করতে পাঠাল সিএসকে 

07:36:29 PM