উপার্জন বেশ ভালো হলেও ব্যয়বৃদ্ধি পাওয়ার কারণে সঞ্চয় তেমন একটা হবে না। শরীর খুব একটা ... বিশদ
প্রত্যেক বছর যাঁরা আসতেন— আশাপূর্ণো দেবী, অচিন্ত্যকুমার সেনগুপ্ত, তারাশঙ্কর বন্দ্যোপাধ্যায়, সজনীকান্ত দাস, শৈলজানন্দ মুখোপাধ্যায়, বনফুল, কাজি নজরুল ইসলাম, শিবরাম চক্রবর্তী, পি সি সরকার, বুদ্ধদেব বসু, গিরিজাকুমার বসু, প্রতুল বন্দ্যোপাধ্যায়, নরেন্দ্র দেব, রাধারাণী দেবী, প্রতিভা বসু, সুবিনয় রায়চৌধুরী, নারায়ণ গঙ্গোপাধ্যায়, সমরেশ বসু, হেমেন্দ্রকুমার রায়, সুধীন্দ্রনাথ রাহা, নৃপেন্দ্রকৃষ্ণ চট্টোপাধ্যায়, প্রবোধকুমার সান্যাল, সৌরীন্দ্রমোহন মুখোপাধ্যায়, প্রেমেন্দ্র মিত্র, বিধায়ক ভট্টাচার্য, অখিল নিয়োগী, পরিমল গোস্বামী, খগেন্দ্রনাথ মিত্র, প্রমথনাথ বিশী, সমর দে, শৈল চক্রবর্তী, নারায়ণ দেবনাথ, বলাই রায়, বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়, প্রভাতী দেবী সরস্বতী, সুনির্মল বসু প্রমুখ। বেশ কিছু নাম হয়তো বাদ পড়ে গেল, পাঠক বন্ধুরা নিজগুণে ক্ষমা করে দেবেন আমাকে। আড্ডার সঙ্গে সমানতালে চলত গান, বাজনা, কবিতা ও ম্যাজিক। এইসবের মধ্যেও প্রেসে কিন্তু অবিরাম কাজ চলত। সেদিন ছ’টার পর প্রেস বন্ধ হয়ে যেত। শুরু হতো প্রতিষ্ঠানের কর্মীবৃন্দদের আপ্যায়ন করা। যাঁদের বাড়ি কাছাকাছি ছিল, তাঁরা বাড়ির লোকেদের নিয়ে আসতেন। শুরু হতো মন-প্রাণ খুলে গল্প, আড্ডা। সেই দিন মালিক-কর্মচারী ভেদাভেদ ভুলে সকলেই মেতে উঠতেন বর্ষবরণে। বর্ষবরণের আড্ডার এই ইতিহাস আমি সংগ্রহ করেছি বাড়ির প্রবীণদের কাছে এবং রামানন্দ চট্টোপাধ্যায়ের আমাদের পরিবার নিয়ে লেখা গ্রন্থ ‘বই ব্যবসা ও পাঁচ-পুরুষের বাঙালি পরিবার’ থেকে। সেকালে সাহিত্য ও সংস্কৃতি জগতে বর্ষবরণের কত ইতিহাস হয়তো অলিখিত রয়ে গেছে, কিন্তু অনুসন্ধান করলে দেখা যাবে বহু বিষয়ে ‘আড্ডা’ বাঙালির শ্রেষ্ঠত্বের সূতিকাগার, বহু স্বনামধন্যরা বেরিয়ে এসেছেন এইসব আড্ডাকোণ থেকেই।
নতুন বছরে সবাই সবাই সুস্থ ও সুন্দর থাকুন, ভালো থাকুন।