Bartaman Patrika
গল্পের পাতা
 

এমনি বরষা ছিল সেদিন
ছন্দা বিশ্বাস

 দশ দিন হতে চলল অর্ণব ঠাকুরপোকে পাওয়া যাচ্ছে না। অনিকেতের ছেলেবেলার বন্ধু অর্ণব। আমার বিয়ের পরে বেশ কয়েকবার আমাদের বাড়িতে এসেছে। তারপর বহুদিন আর দেখা হয়নি। মাঝখানে হঠাৎ একদিন এসেছিল আমাদের বাড়িতে। সেও বেশ কিছুদিন হতে চলল। অনিকেত শুনলাম থানায় একটা মিসিং ডায়েরি করেছে।
সকাল থেকেই যুদ্ধের দামামা বেজে উঠেছে আজ। দিবালোকের শেষ আলোকবিন্দুটুকু শুষে নিয়েছে শ্রাবণের আকাশ। ঘন কাল মেঘে ছেয়েছে চতুর্দিক। মুহুর্মুহু মেঘ গর্জন আর সেই সাথে চলছে বিদ্যুতের ঝলকানি। গাছেরা আগাম বিপদের আশঙ্কায় সবাই যেন ব্যতিক্রমী চুপ। পাখিরাও প্রকৃতির হঠাৎ এই রূপ পরিবর্তনে চিন্তিত এবং কোলাহল বিমুখ শান্ত হয়ে যে যেখানে পেরেছে আশ্রয় নিয়েছে। দূরাগত পথিক উদ্বিগ্ন, ভয়ার্ত এবং দ্রুতগামী তার চলন।
অনিকেত আজ অফিস যায়নি। যাবে বলে মনে হচ্ছে না। অফিস যাওয়ার থাকলে সকাল থেকেই তার প্রস্তুতিপর্ব চলে।
অনিকেতের সঙ্গে আমার বিবাহিত জীবন পাঁচ পেরিয়ে ছয়ে পা দিল। এই কয়েক বছরে আমি মাতৃত্বের আশায় দিন দিন ক্রমশঃ ক্ষয়ে গেলেও অনিকেতের ভিতরে এই জাতীয় কোনও মানসিক যন্ত্রণা লক্ষ্য করি না।
বিয়ের পর থেকেই দেখেছি জেদি, একগুয়ে, বেপরোয়া এই মানুষটা দিনরাত্রি টাকার পিছনে কীভাবে ছুটে মরছে। মাত্রাতিরিক্ত লোভ ওকে একটা প্রাণহীন রোবটে পরিণত করেছে। পয়সার জন্যে এমন কাজ নেই, যা ও করতে পারে না। ও যে কতগুলো ব্যবসার সঙ্গে জড়িত, বিভিন্ন কোম্পানির শেয়ার কেনা বেচা, কোথায় কীভাবে টাকা খাটিয়ে দ্রুত লাভবান হওয়া যায় সে একমাত্র অনিকেতই জানে। অনিকেত যেটুকু সময়ের জন্যে বাড়িতে থাকে চেনা ছকের বাইরে ওকে যেতে দেখিনি। সকালে প্রাতঃরাশ ছাড়া কোনওদিন বাড়িতে দুপুরে কিম্বা রাতের খাবার খায় না। বাড়িতে যেটুকু সময় থাকে নিজেকে নিয়েই ব্যস্ত থাকে। নিজের যা কিছু শখ, আহ্লাদ সেটা বাইরে মিটিয়ে প্রতিদিন ঠিক রাত বারোটায় অনিকেতের গাড়িটা আমাদের গেটের সামনে এসে যখন হর্ণ বাজায় ঠিক তার পরপরেই টাউন স্টেশন থেকে অসমগামী মালবাহী ট্রেনটা ঝিক ঝিক ঝিক ঝিক শব্দ তুলে শহর ছেড়ে দূরে বহুদূরে কোথায় চলে যায়। একদিন নয় দু’দিন নয় বেশ কয়েক বছর ধরে এই আশ্চর্য সমাপতন আমি দেখে আসছি। একেবারে ঘড়ির কাঁটা ধরে চলেছে অনিকেত। কোথায় একচুল এদিক ওদিক হবার জো নেই।
আমাকে পছন্দ করে এ বাড়ির পুত্রবধূ করে এনেছিলেন আমার শাশুড়িমা। তাঁর ধারণা ছিল সুন্দরী বউ ঘরে থাকলে বিপথু ছেলেটা হয়তো ঘরমুখো হতে বাধ্য। অনিকেত মায়ের সেই স্বপ্ন এবং সম্ভবনাকে তুড়ি মেরে উড়িয়ে দিয়ে সেই সময়ে প্রায় রাতে ঘরে ফিরত না। আমি পোষা পাখিটার মতোই সারাটাদিন এই বাড়িটার চারটে দেওয়ালের ভিতরে ডানা ঝাপটাতাম।
সেদিন চুপচাপ ব্যালকনিতে দাড়িয়ে ভাবছি অর্ণব ঠাকুরপোর কথা। বছর খানেক হল শাশুড়িমা গত হয়েছেন। তার পরেই পরেই হঠাৎ একদিন অর্ণব ঠাকুরপো এলেন আমাদের বাড়িতে। সেটাও বেশ কয়েকমাস আগের কথা। শৈশবে মাতৃহারা ছেলেটার প্রতি অনিকেতের মায়ের এক অপার সন্তানস্নেহ ছিল। অর্ণবের কাছের মানুষ বলতে ওরাই ছিল। আমার বিয়ের পরে বেশ কয়েকবার এ বাড়িতে আসতে দেখেছি। তারপর বহুদিন তার দেখা পাইনি।
সেদিন হঠাৎ দুপুরে ডোর বেলটা বাজতে দরজা খুলে দেখি অর্ণব ঠাকুরপো। এ কয় বছরে একেবারে পাল্টে গেছে তার চেহারা ছবি। দারিদ্র্য কীভাবে মানুষের লালিত্য হরণ করে নেয় ভাবছিলাম।
ঠাকুরপোর হাতে চা আর মিষ্টির প্লেটটা তুলে দিতে দিতে জিজ্ঞাসা করি, ‘বিয়ে থা করছ?’
ঠাকুরপো সেই গালভরা হাসির পরিবর্তে শুষ্ক হেসে জানায়, ‘আর বিয়ে, নিজেরটাই জোটাতে পারছি না, তো,-’
‘তোমার মতো সৎ মানুষের এই পৃথিবীতে কাজ পাওয়া সত্যি মুশকিল। এই পৃথিবীটা এখন ঠগ, লুটেরা, লম্পট আর জোচ্চোরদের হাতের পুতুল হয়ে গেছে।’
‘তা যা বলেছ, বৌঠান।’
ঠাকুরপো এক বাক্যে আমার কথাটাকে সমর্থন করে বলে, ‘এ কয় বছরে বেশ কয়েকটা সুযোগ পেয়েও ছেড়ে দিলাম শুধুমাত্র দুর্নীতির জন্য। এত কোরাপশন সত্যি মেনে নেওয়া যায় না।’
কথাপ্রসঙ্গে জানিতে পারি অর্ণব ঠাকুরপো কিছুদিন হল অনিকেতের কোম্পানিতে জয়েন করেছে।
কথাটা শোনামাত্র আমি ঠাকুরপোর মুখের দিকে তাকাই। ঠাকুরপো আমার মনের কথাটা বুঝতে পেরে বলে, ‘আসলে পয়সা কড়ি তো সেরকম কিছুই নেই যে নিজে থেকে ব্যবসা করব, তাই অনিকেত যখন প্রস্তাব দিল তখন এক বাক্যেই রাজি হয়ে গেলাম।’
সুন্দরবনে মধু আর মোমের ব্যবসার কাজে লাগানো হয়েছে অর্ণব ঠাকুরপোকে। এখান থেকে চা, কমলালেবু নিয়ে যাবে বাংলাদেশে আর ফিরতি পথে সেখান থেকে মধু আর মোম নিয়ে আসবে। খুব ভালো প্রস্তাব। ঠাকুরপো এক কথায় রাজি হয়ে গেল। এদিকে কী একটা কাজে এসেছিল তাই আমার সাথে একবারটি দেখা করে গেল। চা খেয়ে ‘আসি, বৌঠান’ বলে চলে গেল।
বেশ কিছুদিন ধরে শহরে তীব্র দাবদাহ চলছে। মাস দুয়েক হল বৃষ্টির দেখা নেই। আকাশে গর্ভবতী মেঘ সঞ্চারের কোনও লক্ষণ চোখে পড়ছে না। মাঠ ঘাট গাছ পালা সব শুকিয়ে বিবর্ণ পাংশুটে হয়ে আছে। শুকনো পাতাগুলো ফরফর করে উড়ছে। পিচ ঢালা রাস্তা পিপাসার্ত পথিককে মরীচিকার মায়ায় প্রলুব্ধ করছে। আকাশ জুড়ে ছড়ানো আছে এক অদ্ভুত শূন্যতা। এক বিন্দু জলের জন্যে হাহাকার করছে প্রকৃতি। কাকেরা ক্লান্তস্বরে কা কা করছে। কুকুরগুলো এক চিলতে ছায়ার খোঁজে জিভ বের করে হাঁফাচ্ছে। নিতান্ত প্রয়োজন না হলে কেউই বাড়ির বাইরে বের হচ্ছে না। তার সাথে পাল্লা দিয়ে চলছে লোডশেডিং।
শাশুড়ি মারা যাওয়ার পরে আজকাল ঘরে বাইরের সকল কাজ আমাকে একা হাতেই সামাল দিয়ে হয়। সেদিন বাজারে দেখা হয়ে গেল রিপনদার মিসেসের সঙ্গে। রিপনদা অনিকেতের ব্যবসার পার্টনার ছিল একটা সময়ে। এখন স্বাধীন ব্যবসা করছে বেশ কিছুদিন হল। অর্ণব ঠাকুরপোর সঙ্গে রিপনদার আবার ভালো সম্পর্ক। সেদিন কথায় কথায় জানতে পারি অর্ণব ঠাকুরপোকে নাকি খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। বউদির মুখে শুনলাম সুন্দরবনে গিয়েছিল ব্যবসার কাজে তারপর আর ফেরেনি ঠাকুরপো। বেশ চিন্তিত দেখাল বউদিকে। ইদানীং নাকি সুন্দরবনের দিকে জলদস্যুদের দাপট বেড়েছে। বেশ কিছু ব্যবাসায়ী জলদস্যুর কবলে পড়েছে। জলদস্যুদের হিংস্রতার কথা এর আগেও শুনেছি। তাদের হাতে একবার কেউ ধরা পড়লে তাদের আর রেহাই নেই। জিনিসপত্র কেড়ে নিয়ে নৃশংসভাবে তাদের খুন করে জলে ফেলে দেয়। হাঙ্গর, কুমিরের খাদ্য হয় তারা। আর কোনওদিন তাদের কেউ খুঁজেও পায় না। বউদির দাদা গোয়েন্দা বিভাগের একজন অফিসার। তিনি নাকি এই কেসটা হাতে নিয়েছেন।
ঠাকুরপোর সংবাদটা শোনামাত্র আমার বুকের ভিতরটা কেঁপে উঠল। আমি ফলের দোকানের ফলওয়ালাকে দাম না দিয়ে হা করে ভাবতে লাগলাম। কয়েকদিন আগের ঘটনা মনে পড়ে গেল। রাত একটার কাছাকাছি হবে। অনিকেত তখনও বিছনায় আসেনি। কী সব হিসাব নিকাশ করছিল। আমি সেদিন জেগেই ছিলাম। ঘুম আসছিল না কিছুতেই। এক সময়ে মনে হল অনিকেত কারও সঙ্গে বেশ উত্তেজিত হয়ে কথা বলছে। বাড়িতে অনিকেতকে কখনও জোরে কথা বলতে শুনিনি। বুঝতে পারছিলাম অনিকেতের গলার স্বর ক্রমশঃ চড়ছে। আস্তে আস্তে সেটা কথা কাটিরকাটির পর্যায়ে চলে গেল। অনিকেতকে বেশ উত্তেজিত মনে হচ্ছে।
ব্যাপারটা কী বোঝার জন্যে আমি আস্তে আস্তে বিছানা ছেড়ে দরজার কাছে গিয়ে দাঁড়াই। শুনতে পেলাম অনিকেত বলছে, ‘যা করতে পারিস করিস, কী বলবি তোর বৌঠানকে? আমি যা খুশি তাই করব, তুই বলার কে রে? কীভাবে আমার জীবন কাটাব, পয়সা ইনকাম করব সেটা সম্পূর্ণ আমার ব্যাপার। তোর ইচ্ছা হলে থাকবি, না হলে সরে যাবি।’
আজ সেইদিনের কথা ভেবে মনটা বিষণ্ণতায় ভরে গেল। বেচারা অর্ণব ঠাকুরপো আজও তার বন্ধুটিকে ঠিকমতো চিনতেই পারল না।
বেশ কয়েকদিন অনিকেত বাড়িতে ছিল না। ব্যবসার কাজে বাইরে গেছিল। সাত আটদিন বাদে অনিকেত বাড়িতে ফিরেছে। বেশ অস্থির লাগছিল অনিকেতকে। এক জায়গায় সুস্থির হয়ে কিছুতেই বসে থাকতে পারছিল না। ড্রয়িংরুমে সোফার উপরে বসে একের পর এক স্কচ সাবাড় করছে। দুইদিন দেখলাম বাড়ি থেকে বের হল না। মনে মনে ভাবি ঠাকুরপোকে পাওয়া যাচ্ছে না বলেই হয়তো অনিকেতের এমন বিবেক দংশন হচ্ছে। সেদিন কথা কাটাকাটির পরে ঠাকুরপো নাকি অনিকেতের সঙ্গে আর থাকবে না বলে চলে যায়। হাজার হোক ছোটোবেলার বন্ধু বলে কথা। একটা সময়ে তো অনিকেত অর্ণব বলতে পাগল ছিল। অবস্থা বৈগুণ্যে আজ হয়তো অনিকেতের অনেক পয়সা হয়েছে, অনেক বিত্তবানেদের সঙ্গে মেলামেশা করছে কিন্তু পুরনো বন্ধুকে কি আর ভুলতে পেরেছে?
আজকাল খবরের কাগজ পড়তেই কেমন যেন টেনশন হয়। পাতায় পাতায় খুন, ধর্ষণ, চুরি, ডাকাতি, ছিনতাই নয়তো বিস্ফোরণের সংবাদ। সন্ধ্যাবেলায় দেখি টিভিতে একটি নৃশংস হত্যার মনস্তাত্ত্বিক বিশ্লেষণ চলছে। কয়েকদিন আগে খড়্গপুর শাখার একটি লোকাল ট্রেনের সিটের নীচে পরিত্যক্ত একটা ব্যাগ থেকে একটা কাটা পা উদ্ধার করা হয়েছে। যাত্রীরা রেল পুলিশকে খবর দিলে স্নিফার ডগ নিয়ে বম্ব স্কোয়াডের লোকজন হাজির হন।
এই জাতীয় খবর পড়লে বা শুনলে সারাটা দিন আমার মনের ভিতরে একটা অস্বস্তি হয়। হাউজ কিপিংয়ের মেয়েরা সন্ধ্যার পর চলে গেলে আমার কেন জানি আজকাল অর্ণব ঠাকুরপোর কথা মনে পড়ে। মনকে সান্ত্বনা দিই, স্নেহের স্বভাব বুঝি এমনি। খারাপ কিছু শুনলে প্রিয়জনের কথাটাই আগে মনে পড়ে। তবু কেন জানি গভীর রাতের দিকে মনে হয় কে যেন ‘বৌঠান’ বলে আমায় ডাকছে। ডাকটা যেন আমার ঘরের চারিপাশে ধ্বনিত প্রতিধ্বনিত হয়ে ঘুরে ঘুরে কানে আসে। গভীর রাতে সবাই যখন ঘুমিয়ে পড়ে, পাড়াটা নিস্তব্ধ হয়ে আসে, আমাদের বেড রুমের জানালার পাশে ল্যাংড়া আমগাছটার উঁচু ডালে বসে একটা কালো পেঁচা তীক্ষ্ণ স্বরে ডাকতে থাকে। মনে হয় কোনও অশরীরী আত্মা বুঝি আমাদের বাড়িটার চারপাশে ঘুরে বেড়াচ্ছে। কোনও ছায়ামূর্তি নয়, কোনও পদশব্দ নয়, তবু কেন জানি আমার মনে হয় কেউ বুঝি এসেছে আজ রাতে। ঠিক সেই সময়ে আমাদের গেটের বাইরে শুয়ে থাকা টমিটা গলা উচু করে ‘উ-উ-উ হু-হু-হু’ করে মরা কান্না কাঁদে। তার সঙ্গে গলা মেলায় অন্য সারমেয় বাহিনী। বাতাস ভারী হয়ে আসে। কৃষ্ণপক্ষের চাঁদ অপসৃত হয় মেঘের অন্তরালে। একটা ধূসর চাদর নেমে আসে পৃথিবীর বুকে।
সকালে খবরের কাগজটা পরে চমকে উঠি। অসমগামী একটা মালগাড়ির ভিতরে সিলমোহরহীন প্যাকিং বাক্স থেকে একটা কাটা মুণ্ড উদ্ধার করা হয়েছে। পুলিস ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে।
আজ আকাশ কাঁপানো মেঘ গর্জন শোনা যাচ্ছে। সঙ্গে মুহুর্মুহু বিদ্যুতের ঝলকানি। খানিক বাদেই তোড়ে বৃষ্টি নামল। ড্রয়িংরুমের পর্দা উড়িয়ে বৃষ্টির ছাটে সোফা ভিজে যাচ্ছে দেখে আমি জানালা বন্ধ করতে গেলে অনিকেত বাধা দিয়ে বলে, ‘খোলা থাকুক, সরিয়ে দাও পর্দাগুলো।’
ভাবলাম অনেকদিন বাদে বৃষ্টি নামল, অনিকেত বৃষ্টিটাকে উপভোগ করতে চাইছে। কথাটা বলে ও আরও এক পেগ চড়াল। গাছেরাও আজ মাতাল হয়েছে। জানালার পাশে নারকেল গাছের পাতাগুলো হাওয়ায় দুলছিল। অনিকেত সোফার উপরে বুঁদ হয়ে বসেছিল। আমি ওর কাছে গিয়ে বলি, ‘অর্ণব ঠাকুরপোর কোনও খবর পেলে?’
অনিকেত জানালার বাইরে অশান্ত প্রকৃতির দিকে তাকিয়েছিল। হঠাৎ নিস্তব্ধ বনভূমি কাঁপানো হায়নার মতো খিক খিক হাসিতে ফেটে পড়ল। তীক্ষ্ণ, কুটিল, ভয়ংকর সেই হাসি। অনিকেতের চোখে হিংস্র শ্বাপদের ছায়া।
অনিকেত আজ বড্ড বেসামাল হয়ে পড়েছে। একটু শান্ত হয়ে বলল, ‘বসো, আমার পাশে। শোনো , তোমার অর্ণব ঠাকুরপোকে না আর কোনওদিন কোত্থাও খুঁজে পাওয়া যাবে না। আমি নিজের হাতে তাকে এই দুনিয়া থেকে সরিয়ে দিয়েছি। বেচারা! বলে কিনা ওর মৃত্যুর একজন সাক্ষী নাকি ও রেখে যাচ্ছে। জানো কে সেই সাক্ষী? এই বর্ষা!’
সেদিনও এমনি ভাবে বৃষ্টি হচ্ছিল। চারিদিকে কেউ কোত্থাও নেই। রিসর্টের জানালার পাশে এইরকমই একটা নারকেল গাছ ছিল। নারকেল পাতা বেয়ে এমনভাবেই জল ঝরছিল মনে হচ্ছিল কান্না ভেজা কোনো মেয়ের চোখের পাতা। অর্ণব সেই দিকে তাকিয়ে বলেছিল আজ যদি আমি খুন হই, জানবি এরাই আমার খুনের সাক্ষী রইল, বুঝলি?’
অনিকেত যে ড্রাগ পাচারচক্রের সঙ্গে জড়িত এবং আরও অনেক অসামাজিক কাজের সঙ্গে লিপ্ত সেকথা অর্ণব জেনে যায় এবং তার প্রতিবাদ করায় ওকে পথের কাঁটা ভেবে চিরতরে সরিয়ে দেওয়া হয় একজন সুপারি কিলারের সহায়তায়।
নৃশংসভাবে খুন করা হয় অর্ণবকে। দেহটাকে কয়েক টুকরো করে বিভিন্ন জায়গায় ছড়িয়ে দেওয়া হয়। অনিকেত কথাগুলো বলতে বলতে ঘুমিয়ে পড়ল।
বেচারা অনিকেত! বুঝতে পারছে না এমন বর্ষাই শোনাতে পারে ওর মৃত্যুর পরোয়ানা। এছাড়া আরও দুইজন সাক্ষী তো রইলই, আমি এবং আমার কাছে লুকিয়ে রাখা এই ডিক্টোফোন। রিপন বউদির দাদার দেওয়া।
অলংকরণ : সুব্রত মাজী
14th  July, 2019
পুণ্য ভূমির পুণ্য ধূলোয়
মরুতীর্থের দেবী, পর্ব ২০
ষষ্ঠীপদ চট্টোপাধ্যায়

 আমার বারো বছর বয়সের সময় বাবা-মায়ের সঙ্গে তীর্থযাত্রায় গিয়ে দ্বারকা থেকে ফেরার পথে ভাটিয়া স্টেশনে নেমে সমুদ্রের খাড়ি পার হতে হয়েছিল। ওখান থেকে গন্তব্য ছিল সুদামাপুরী (পোরবন্দর)। পথে যেতে যেতে এক জায়গায় বাসযাত্রীরা সবাই নেমে পড়লেন এক জাগ্রতা দেবীকে দর্শন করবার জন্য।
বিশদ

21st  July, 2019
ছায়া আছে কায়া নেই
অপূর্ব চট্টোপাধ্যায়

 একদিন মিউগেন্স সাহেবকে বললাম, আমি বাড়িতে মাঝে মাঝে মিডিয়াম হয়ে ‘স্পিরিটের’ সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা করেছি। কিন্তু খুব ভালো পারছি বলে মনে হচ্ছে না। মিউগেন্স সাহেবের গম্ভীর মুখের দিকে তাকিয়ে আবার বললাম, — অথচ বিলেতের কাগজে পড়েছি, এফিসিয়েন্ট মিডিয়ামের সাহায্যে তারা একান্ত আপনজনের স্পিরিট নিয়ে আসছে....
বিশদ

21st  July, 2019
পুণ্য ভূমির পুণ্য ধূলোয় 
গিরিতীর্থ হিংলাজ, পর্ব-১৯

 এবার গিরিতীর্থ হিংলাজে যাওয়া যাক। ভারতের বিভিন্ন স্থানে বিশেষ করে গুজরাত প্রদেশে হিংলাজ মাতার মন্দির আছে। তবে সে সবের সন্ধান আমার জানা নেই। দৈবকৃপায় আমি যে দুটি স্থানে গিয়ে পড়েছিলাম তারই বর্ণনা দেব। বিশদ

14th  July, 2019
ছায়া আছে কায়া নেই
অপূর্ব চট্টোপাধ্যায়

 প্যারীচাঁদ মিত্র সেইসময় কলিকাতার বেঙ্গল লাইব্রেরির (বর্তমানে জাতীয় গ্রন্থাগার) সম্পাদক ছিলেন। স্ত্রীর মৃত্যুর পর তিনি পরলোক চর্চা নিয়ে অতিশয় মেতে উঠলেন। লাইব্রেরির সংগ্রহশালায় থাকা পরলোকতত্ত্ব সম্বন্ধীয় বিভিন্ন পুস্তক ও প্রবন্ধাদি পাঠ করতে শুরু করলেন। বিশদ

14th  July, 2019
ছায়া আছে কায়া নেই

অপূর্ব চট্টোপাধ্যায়: জোড়াবাগান থানার বিপরীতে নিমতলার বিখ্যাত মিত্র বাড়ির এই দুপুরের সময়টা বউদের বড়ই ব্যস্ততার মধ্যে কাটে। এই বাড়ির প্রখ্যাত, রাশভারী শ্বশুরমশাই পুজো সেরে এখনই খেতে বসবেন।   বিশদ

07th  July, 2019
পুণ্য ভূমির পুণ্য ধুলোয়
অমরকণ্টক  পর্ব-১৮

ষষ্ঠীপদ চট্টোপাধ্যায়: বিন্ধ্যপর্বতের যে অংশটির নাম মেকল বা মৈকল, তীর্থভূমি নর্মদার সেই স্থানই অমরকণ্টক। শুধু তীর্থভূমি নয়, অমরকণ্টক হল সৌন্দর্যের খনি। এখানকার প্রাকৃতিক সৌন্দর্য বর্ণনাতীত।  বিশদ

07th  July, 2019
শাল-পিয়ালের চুপকথা 

সুপর্ণা সেনগুপ্ত: পুরুলিয়ার প্রত্যন্ত অঞ্চল বাগমুণ্ডি। আকাশ যেখানে গল্প করে মেঘের সঙ্গে। ঘন জঙ্গল, পাহাড় আর ঝর্ণা ঘেরা ছোট ছোট গ্রাম, আঁকা থাকে নীল আকাশের ক্যানভাসে। বর্ষায় সেখানে নদীর জল ছাপিয়ে যায়।   বিশদ

07th  July, 2019
পুণ্য ভূমির পুণ্য ধুলোয় 

ষষ্ঠীপদ চট্টোপাধ্যায়: মধ্যপ্রদেশের গুণা জেলায় সুন্দরী চান্দেরিতে এক বনময় পর্বতের গুহায় দেবী জাগেশ্বরীর অধিষ্ঠান। ইনি শুধু দেবী নন, মহাদেবী। মাত্র ২০০ মিটার উঁচু এই দুর্গ শহরের আকর্ষণ ঐতিহাসিক গুরুত্ব, দেবী মহিমা ও লোভনীয় চান্দেরি শাড়ির জন্য।  বিশদ

30th  June, 2019
ছায়া আছে কায়া নেই 

অপূর্ব চট্টোপাধ্যায়: ঋষি এবং তাঁর স্ত্রী খুব ভালো মিডিয়াম— এই কথাটা শুনে শরৎচন্দ্র হাসতে হাসতে ভাইয়ের কাছে জানতে চাইলেন, তুমি কী করে জানলে তাঁরা খুব ভালো মিডিয়াম?
গিরীন্দ্রনাথ বললেন, আমি এবং আমার বন্ধু রায়সাহেব হরিসাধন মুখোপাধ্যায় তাঁদের সঙ্গে প্ল্যানচেটে বসেছিলাম। বিশদ

30th  June, 2019
মোম জোছনা 

সঞ্জয় রায়: ‘হেই, হ্যাট্‌-হ্যাট্‌-হ্যাট্‌, যাঃ যাঃ-যাঃ। উঃ, দ্যাকো দিকিনি উঠোনটা খালি খালি নোংরা করে। অ্যাই, যাঃ-যাঃ-যাঃ।’ কুসুম সক্কালবেলায় হাঁসের দলটাকে উঠোন থেকে তাড়াচ্ছিল। দীননাথ দাওয়ায় বসে কুসুমের ছলকে পড়া যৌবনটাকে জরিপ করছিল।  বিশদ

30th  June, 2019
পুণ্য ভূমির পুণ্য ধুলোয়
সিদ্ধপীঠ জলপা, পর্ব-১৬
ষষ্ঠীপদ চট্টোপাধ্যায়

 মৈহরপীঠ দর্শনের পর সে রাতটা মৈহরেই কাটালাম। পরদিন সকাল সাড়ে সাতটার ইন্টারসিটি এক্সপ্রেসে ঘণ্টাখানেকের মধ্যেই কাটনিতে। মধ্য রেলওয়ের কাটনি একটি গুরুত্বপূর্ণ জংশন স্টেশন। এ যাত্রায় আমি ঘরমুখো হব বলেই কাটনিতে এলাম। কেন না এখানে ট্রেন একটু বেশিক্ষণ দাঁড়ায় তাই।
বিশদ

23rd  June, 2019
ছায়া আছে কায়া নেই
১৬
অপূর্ব চট্টোপাধ্যায়

 গিরীন্দ্রনাথ সরকার। সাহিত্যিক হিসেবে তেমন খ্যাতি অর্জন করতে না পারলেও, তিনি ছিলেন একজন প্রখ্যাত ভূপর্যটক। পৃথিবীর প্রায় সব দেশই তাঁর ঘোরা ছিল। বহুকাল তিনি সরকারি কন্ট্রাক্টর হিসেবে ব্রহ্মদেশে কাজ করেছিলেন। আর এইসময়ই তাঁর সঙ্গে পরিচয় হয় শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের।
বিশদ

23rd  June, 2019
ছায়া আছে কায়া নেই
অপূর্ব চট্টোপাধ্যায় 

১৫
নিস্তব্ধ নির্জন ঘর, দেবতা বিশ্রাম করছেন খাটে। ঘরের এককোণে চুপ করে বসে আছেন মতিলাল। প্রদীপটা তখনও মিটমিট করে জ্বলছে। সময় যেন আর কাটতেই চাইছে না। মাঝে একটু তন্দ্রাচ্ছন্ন মতো হয়ে পড়েছিলেন মতিলাল। সেই রেশ কাটাতে তিনি ঘরের ভেতর পায়চারি করতে শুরু করলেন।  
বিশদ

16th  June, 2019
পুন্য ভূমির পুন্য ধুলোয়
ষষ্ঠীপদ চট্টোপাধ্যায় 

মৈহর পীঠ, পর্ব-১৫
মৈহর হল মধ্যপ্রদেশের সাতনা জেলা তহশিলের এক প্রসিদ্ধ দেবীস্থান। একান্ন পীঠের অন্তর্গত পীঠ না হলেও উপপীঠ। এখানে সতীর দেহাংশ নয় কণ্ঠহার পড়েছিল। এই পুণ্যভূমিতেই ত্রিকূট পর্বতের চূড়ায়। সতীমাঈ কি হার। তাই থেকেই মাঈহার, মৈহার ও বর্তমানে মৈহর।  
বিশদ

16th  June, 2019
একনজরে
 নয়াদিল্লি, ২১ জুলাই (পিটিআই): বাজেট বরাদ্দের ক্ষেত্রে সংবেদনশীল হওয়ার ইঙ্গিত দিয়েছিল স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক। সেই অনুযায়ী নজিরবিহীন সিদ্ধান্ত নিল তারা। এই প্রথম সিআরপিএফের মহিলাকর্মীদের জন্য কর্মক্ষেত্রে স্যানিটারি প্যাড ভেন্ডিং মেশিন বসতে চলেছে। ...

সংবাদদাতা, কালনা: নবম শ্রেণীর এক ছাত্রীর বিয়ে রুখলেন স্কুলের শিক্ষিকারা। ঘটনা ঘটেছে কালনার বৈদ্যপুর রাজরাজেশ্বর বালিকা বিদ্যালয়ে। নাবালিকাকে পুলিসের সহযোগিতায় উদ্ধার করা হয়। নাবালিকার পরিবার মেয়ের ১৮বছর বয়স না হওয়া পর্যন্ত বিয়ে দেবে না বলে মুচলেকা দেয়।  ...

 নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: রবিবার ছুটির দিন, রাস্তায় যানবাহনও কম। তাই ২১ জুলাইয়ে যান সামলাতে তেমন চ্যালেঞ্জের মুখে পড়তে হল না কলকাতা পুলিসকে। উত্তর থেকে দক্ষিণ, ...

সংবাদদাতা, রায়গঞ্জ: রায়গঞ্জ ব্লকের ৯ নম্বর গৌরী গ্রাম পঞ্চায়েতের বাংলা-বিহার সীমান্তে অবস্থিত কয়েকটি গ্রাম এবারও বর্ষা আসতেই বিচ্ছিন্ন দ্বীপের মতো হয়ে গিয়েছে। ফলে প্রতিবারের মতো ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

বিদ্যার্থীদের বেশি শ্রম দিয়ে পঠন-পাঠন করা দরকার। কোনও সংস্থায় যুক্ত হলে বিদ্যায় বিস্তৃতি ঘটবে। কর্মপ্রার্থীরা ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

১৮১৪: সাহিত্যিক প্যারীচাঁদ মিত্রের জন্ম
১৮৪৭: সাহিত্যিক ত্রৈলোক্যনাথ মুখোপাধ্যায়ের জন্ম
১৯১৮: ভারতের প্রথম যুদ্ধবিমানের পাইলট ইন্দ্রলাল রায়ের মৃত্যু প্রথম বিশ্বযুদ্ধে
১৯২৩: সঙ্গীতশিল্পী মুকেশের জন্ম
১৯৪৮: চিত্রশিল্পী হেমেন্দ্র মজুমদারের মৃত্যু



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৬৭.৯৫ টাকা ৬৯.৬৪ টাকা
পাউন্ড ৮৪.৭৭ টাকা ৮৭.৯২ টাকা
ইউরো ৭৬.১০ টাকা ৭৯.০৪ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
20th  July, 2019
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৩৫,৫২৫ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৩৩,৭০৫ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৩৪,২১০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৪০,৫৫০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৪০,৬৫০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]
21st  July, 2019

দিন পঞ্জিকা

৫ শ্রাবণ ১৪২৬, ২২ জুলাই ২০১৯, সোমবার, পঞ্চমী ২২/২২ দিবা ২/৪। পূর্বভাদ্রপদ ১৩/১৩ দিবা ১০/২৪। সূ উ ৫/৭/১৮, অ ৬/১৮/৩৬, অমৃতযোগ দিবা ৬/৫৩ মধ্যে পুনঃ ১০/২৪ গতে ১/২ মধ্যে। রাত্রি ৭/১ গতে ৯/১১ মধ্যে পুনঃ ১১/২১ গতে ২/১৪ মধ্যে, বারবেলা ৬/৪৬ গতে ৮/২৫ মধ্যে পুনঃ ৩/১ গতে ৪/৪০ মধ্যে, কালরাত্রি ১০/২২ গতে ১১/৪৩ মধ্যে। 
৫ শ্রাবণ ১৪২৬, ২২ জুলাই ২০১৯, সোমবার, পঞ্চমী ১৪/২০/৫৯ দিবা ১০/৫০/২১। পূর্বভাদ্রপদনক্ষত্র ৮/২৮/৩৩ দিবা ৮/২৯/২২, সূ উ ৫/৫/৫৭, অ ৬/২১/৩৯, অমৃতযোগ দিবা ৬/৫৬ মধ্যে ও ১০/২৪ গতে ১/০ মধ্যে এবং রাত্রি ৬/৫৬ গতে ৯/৮ মধ্যে ও ১১/২০ গতে ২/১৬ মধ্যে, বারবেলা ৩/২/৪৩ গতে ৪/৪২/১১ মধ্যে, কালবেলা ৬/৪৫/২৫ গতে ৮/২৪/৫২ মধ্যে, কালরাত্রি ১০/২৩/১৬ গতে ১১/৪৩/৪৮ মধ্যে। 
১৮ জেল্কদ 

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
আজকের রাশিফল 
মেষ: কর্মপ্রার্থীরা কোনও শুভ সংবাদ পেতে পারেন। বৃষ: বিবাহের সম্ভাবনা আছে। মিথুন: ব্যবসায় ...বিশদ

07:11:04 PM

ইতিহাসে আজকের দিনে
১৮১৪: সাহিত্যিক প্যারীচাঁদ মিত্রের জন্ম১৮৪৭: সাহিত্যিক ত্রৈলোক্যনাথ মুখোপাধ্যায়ের জন্ম১৯১৮: ভারতের ...বিশদ

07:03:20 PM

  সল্টলেকের বিএসএনএল-এর অফিসে আগুন
সল্টলেকের ১৩ নম্বর ট্যাঙ্কের বিএসএন এল-এর নোভাল সেন্টারে আগুন লেগেছে। ...বিশদ

09:50:50 PM

বরানগর জুট মিলে আগুন, অকুস্থলে দমকলের ৪টি ইঞ্জিন 

07:18:32 PM

কালিকাপুরে সোনার গয়না চুরির অভিযোগে গ্রেপ্তার পরিচারিকা 

06:20:00 PM

মহেশতলায় দুটি গাড়ির সংঘর্ষ, আহত ৬ 
অটো এবং ৪০৭ গাড়ির মুখোমুখি সংঘর্ষে আহত ছ’জন। জানা গিয়েছে, ...বিশদ

06:18:00 PM