বিদ্যার্থীদের বেশি শ্রম দিয়ে পঠন-পাঠন করা দরকার। কোনও সংস্থায় যুক্ত হলে বিদ্যায় বিস্তৃতি ঘটবে। কর্মপ্রার্থীরা ... বিশদ
প্রসঙ্গত, ১৯১০ সালে খণ্ডঘোষের ওঁয়াড়ি গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন বিপ্লবী বটুকেশ্বর দত্ত। কর্মসূত্রে তাঁর বাবা উত্তরপ্রদেশের কানপুরে বদলি হয়ে যাওয়ায় সেখানেই তিনি পড়াশুনা শুরু করেন। ছাত্রাবস্থাতেই তিনি স্বাধীনতা আন্দোলনে জড়িয়ে পড়েন। ১৯২৮ সালের ১৭ ডিসেম্বর উত্তরপ্রদেশের অত্যাচারী পুলিস অ্যাসিস্ট্যান্ট কমিশনার চার্লস থান্ডারসনকে হত্যা করেন। এরপর ভগত্ সিংকে সঙ্গে নিয়ে তিনি দেশের বিভিন্ন প্রান্তে পালিয়ে বেড়ান। খণ্ডঘোষে ওঁয়াড়ি গ্রামে তাঁর বসতবাড়ির পাশে পাতালঘরে দিন পনেরো লুকিয়েও ছিলেন। এরপর ১৯২৯ সালে ন্যাশনাল অ্যাসেম্বলিতে বোমা নিক্ষেপের ঘটনায় তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়। ১৯৬৫ সালে ১৯ জুলাই দিল্লির ইন্সস্টিটিউট অব মেডিক্যাল সায়েন্সে তিনি মারা যান। মহান এই বিপ্লবীর কর্মকাণ্ড স্বীকৃতি হিসাবে ওঁয়াড়ি গ্রামে কয়েকজন বাসিন্দা বটুকেশ্বর দত্ত স্মৃতি রক্ষা কমিটি নামে একটি সংস্থা গড়ে তোলেন। তাঁর জন্মভিটে ও আত্মগোপন করে থাকা বাড়িটিকে হেরিটেজ ঘোষণা সহ ৯ দফা দাবি নিয়ে আন্দোলন শুরু করেছিলেন। সংগঠনের সম্পাদক মধুসূদন চন্দ বলেন, তাঁদের দাবি মেনে রাজ্য পর্যটনদপ্তর বাড়ি দু’টিকে ২০১৩ সালে ২২ ফেব্রুয়ারি হেরিটেজ হিসাবে ঘোষণা করেন। তত্কালীন জেলাশাসক ওঙ্কার সিং মিনা রাজ্য সরকারের এই সিদ্ধান্তের কথা ঘোষণা করেছিলেন। বর্তমানে বাড়ি দু’টির সংস্কারের কাজ চলছে। ৯ দফা দাবির মধ্যে বর্ধমান স্টেশনকে বটুকেশ্বর দত্তের নামে নামাঙ্কিত করার দাবিও ছিল। তাই কেন্দ্রের সিদ্ধান্তে খুশি ওঁয়াড়ি গ্রামের মানুষ।
তবে, এই সিদ্ধান্তে নিত্যযাত্রীরা ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। নারায়ণ চক্রবর্তী, অরূপ ঘর, মানিক দত্ত প্রমুখ কয়েকজন নিত্যযাত্রীরা বলেন, বর্ধমান ষ্টেশনের একটা প্রাচীন ঐতিহ্য আছে। এই স্টেশন বহু ইতিহাসেরও সাক্ষী বহন করছে। হঠাৎ করে এই স্টেশনের নাম বদলের সিদ্ধান্ত আমরা মানতে নারাজ। আমরা চাই, এই প্রাচীন স্টেশনের নাম অপরিবর্তই থাকুক। অন্য কোনও নতুন স্টেশন অথবা দক্ষিণ দামোদরের যে কোনও স্টেশনের নামকরণ করা হোক এই বিপ্লবীর নামে।