বিদ্যার্থীদের বেশি শ্রম দিয়ে পঠন-পাঠন করা দরকার। কোনও সংস্থায় যুক্ত হলে বিদ্যায় বিস্তৃতি ঘটবে। কর্মপ্রার্থীরা ... বিশদ
এর আগের ২১ জুলাই বা জানুয়ারিতে ব্রিগেড সমাবেশেও হাওড়া স্টেশন দিয়ে প্রচুর তৃণমূল কর্মী ও সমর্থক এসেছিলেন। কিন্তু, এবারের ২১ জুলাই ধর্মতলায় শহিদ দিবসে যেভাবে প্রত্যন্ত জঙ্গলমহল থেকে শুরু করে উত্তরবঙ্গের তৃণমূল কর্মীরা হাজির হয়েছেন, তা আগে চোখে পড়েনি। শুক্রবার বিকেল থেকেই হাওড়া স্টেশনে ক্যাম্প করা হয়েছিল। এদিন সকাল থেকেই বীরভূম, বর্ধমান, হুগলি, পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুরের কর্মী ও সমর্থকরা হাওড়া স্টেশনে হাজির হয়েছেন। এদিন বিশ্বভারতী ফাস্ট প্যাসেঞ্জারে যেভাবে তৃণমূল কর্মী ও সমর্থকরা ঝুলতে ঝুলতে এসেছেন, তা যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ বলে তৃণমূল নেতৃত্ব মনে করছেন। এছাড়াও লোকাল ট্রেনগুলিতে তিল ধারণের জায়গা ছিল না। রবিবার হওয়ায় স্বাভাবিকভাবেই কিছু ট্রেনের সংখ্যা কম থাকে। তাই প্রতিটি লোকাল ব্যাপক ভিড় ছিল। সকাল ১০টা নাগাদ হাওড়া জেটি ঘাটে ভিড় সামাল দিতে পুলিসকে নাজেহাল হতে হয়। তখন বেশ কিছু তৃণমূল কর্মী সমর্থককে হাওড়া ব্রিজ দিয়ে সড়ক পথে স্ট্র্যান্ড রোড ধরে ধর্মতলায় পাঠানো হয়। কিন্তু তার ফলে হাওড়া ব্রিজে ব্যাপক যানজটের সৃষ্টি হয়। এরপর বেলা ১১টা নাগাদ জেলা তৃণমূলের সভাপতি অরূপ রায়ের নেতৃত্বে মিছিল হাওড়া ব্রিজ দিয়ে যাওয়ার ফলে হাওড়া ব্রিজ কার্যত স্তব্ধ হয়ে পড়ে। হাওড়া ও কলকাতা ট্রাফিক পুলিসকে যানজট মোকাবিলায় নাজেহাল হতে হয়।
একদিকে যখন হাওড়া স্টেশনে এই অবস্থা, তখন সড়ক পথে কোনা এক্সপ্রেসওয়ে দিয়ে আসা কর্মীদের বেলা ১১টার পর আর কলকাতায় ঢুকতে দেওয়া হয়নি। রীতিমতো দ্বিতীয় হুগলি সেতু টোলপ্লাজায় পুলিস ব্যারিকেড করে দেয়। হাওড়া সিটি পুলিসের পক্ষ থেকে জানিয়ে দেওয়া হয়, কলকাতায় গাড়ি ঢোকার আর জায়গা নেই। সেই কারণে কলকাতামুখী গাড়িগুলি ঘুরিয়ে দেওয়া হয়েছে। একমাত্র অ্যাম্বুলেন্সকে কলকাতায় ঢোকার অনুমতি দেওয়া হয়েছে। কিন্তু এক সঙ্গে অনেক গাড়ি দ্বিতীয় হুগলি সেতু টোলপ্লাজায় জমে যাওয়ায় পুলিস ক্যারি রোডের পর থেকেই গাড়িগুলি মন্দিরতলার দিকে পাঠিয়ে দেয়। তারপর সেখান থেকে ঘুরিয়ে ফের কোনা এক্সপ্রেসওয়েতে পাঠিয়ে দেয়। এর ফলে প্রচুর গাড়ি সভাস্থলে পৌঁছতে পারেনি। হাওড়ায় কোনা এক্সপ্রেসওয়ের ধারে কয়েকটি জায়গায় জায়েন্ট স্ক্রিনে মুখ্যমন্ত্রীর ভাষণ সরাসরি শোনানোর ব্যবস্থা করা হয়েছিল। দলীয় কর্মীরা রাস্তার ধারে সেখানে দলনেত্রীর ভাষণ শোনেন। কিন্তু কলকাতায় পৌঁছতে না পারার আক্ষেপ তাঁদের রয়েই গিয়েছে।