বিদ্যার্থীদের বেশি শ্রম দিয়ে পঠন-পাঠন করা দরকার। কোনও সংস্থায় যুক্ত হলে বিদ্যায় বিস্তৃতি ঘটবে। কর্মপ্রার্থীরা ... বিশদ
গত ২৬ বছরের ইতিহাসে এই প্রথম কোনও রবিবার পালিত হল জোড়াফুল শিবিরের ২১ জুলাইয়ের শহিদ দিবস। লোকসভা নির্বাচনের ফলাফল ইস্তক গেরুয়া শিবিরের তৎপরতা বৃদ্ধির মধ্যেও ধর্মতলায় মানুষের ঢল তৃণমূলের ভিত পোক্ত করার পক্ষে সহায়ক ভূমিকা নেবে, তা মানছেন সবাই। এহেন উপলব্ধির বাইরে ছিলেন না মমতা নিজেও। জনতার আবেগ আর উচ্ছ্বাসকে যোগ্য সঙ্গত দিতে গেরুয়া শিবিরের প্রতি তাঁর কটাক্ষ— বিজেপিকে ভোট দিলে কী হয়? জবাবও দিয়েছেন তিনি নিজেই, ভাটপাড়া হয়। দু’মাস ধরে জনজীবন স্তব্ধ। স্কুল, কলেজ বন্ধ। কই তৃণমূল যখন ছিল, এসব তো হতো না! ১৮টা সিট পেয়ে এত চিৎকার, পার্টি অফিস দখল করছে, ভাঙচুর করছে। কই, আমরাও তো ২০০৯ সালে ২৬টি আসন জিতেছিলাম, বিরোধী দলের একটা পার্টি অফিসেও তো হাত দিইনি।
তৃণমূল সুপ্রিমোর কথায়, বিজেপি আগে ৩৪ বছর লড়াই করো, তারপর বাংলায় আসার কথা ভেব। বাইরে থেকে নেতা এবং আরএসএস-এর গুন্ডা এনে গোলমাল পাকানো হচ্ছে। মমতার কটাক্ষ, বিহারে তো বিজেপির জোট সরকার। সেখানেও তো আরএসএসের উপর নজরদারি চলছে। আমরা তো এসব করছি না! লোকসভায় ইভিএম প্রতারণা করে জিতেছে ওরা। লোকসভার পর যেখানে যত ভোট ব্যালটে হচ্ছে, সেখানেই হারছে ওরা। কাল এখানেও ভোট হবে, দেখবে সব উল্টে গিয়েছে। ইভিএম চাই না, ব্যালট চাই এবার।
বিজেপিকে ঠেকাতে সিপিএম ও কংগ্রেসের সঙ্গে সখ্য বাড়াচ্ছে তৃণমূল, রাজনৈতিক মহলে ওঠা এহেন বিতর্কেও এদিন জল ঢেলে দিয়েছেন স্বয়ং মমতাই। গেরুয়া শিবিরের বিরুদ্ধে তাঁর অভিযোগ, কখনও সিপিএমের কানে, আবার কখনও কংগ্রেসের কানে ফিসফিস করে দিন চালাচ্ছে। কখনও কখনও আবার তিনটি দল এক হয়ে আক্রমণ শানাচ্ছে। রাজনীতির এই জটিল আবর্তে বাম-কংগ্রেসকে মমতার পরামর্শ, যে ডালে বসে আছেন, সেটা কাটবেন না। সেটা না কেটে বিজেপির বিরুদ্ধে লড়ুন। তৃণমূল নেত্রীর স্পষ্ট রাজনৈতিক বার্তা— তোমাদের (বাম-কংগ্রেস) সাহায্য বা সমর্থন কোনওটাই দরকার নেই তৃণমূলের। নেত্রীর ঘোষণাকে সোল্লাসে সায় দিল সভাস্থল।