সঞ্জয় গঙ্গোপাধ্যায়, কলকাতা: ১৯৯৩ সালের ২১ জুলাই তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ডাক ছিল, নো আইডেনটিটি, নো ভোট। সেই দাবিতে মহাকরণ ঘেরাও আন্দোলনে পুলিসের গুলিতে ১৩ জন শহিদ হয়েছিলেন। সেই শহিদ দিবসের এবার ২৬ বছর। রবিবার ধর্মতলার সমাবেশ মঞ্চ থেকে এবার তিনি দাবি তুললেন, ইভিএম নয়, ব্যালটে ভোট চাই। ইভিএমে ভোটগ্রহণের স্বচ্ছতা নিয়ে আমাদের প্রশ্ন আছে।
বিদ্যার্থীদের বেশি শ্রম দিয়ে পঠন-পাঠন করা দরকার। কোনও সংস্থায় যুক্ত হলে বিদ্যায় বিস্তৃতি ঘটবে। কর্মপ্রার্থীরা ... বিশদ
রাজু চক্রবর্তী, কলকাতা: তৃণমূলের ২১ জুলাইয়ের সভাকে ‘মেগা ফ্লপ শো’ বলে কটাক্ষ করলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। তাঁর কথায়, তৃণমূল নেত্রী তাঁর ৫০ মিনিটের ভাষণে ৪০ মিনিট জুড়েই বিজেপিকে নিয়ে সময় ব্যয় করেছেন। যার অর্থ, উনি ভয় পেয়েছেন। এদিন মুখ্যমন্ত্রীর বক্তব্যে কেবলই হতাশার সুর ছিল বলে দাবি দিলীপবাবুর। সেই অর্থে কর্মীদের স্পষ্ট রাজনৈতিক দিশা না দিয়ে কীভাবে নেতাদের দলত্যাগ আটকানো যায়, তা নিয়েই মমতা সাবধানী বক্তব্য রেখেছেন বলেও উল্লেখ করেন মেদিনীপুরের এই বিজেপি এমপি। ২৬ বছরের মধ্যে এবারই ২১ জুলাইয়ের সভায় সবচেয়ে কম লোক হয়েছে বলে দাবি করেন তিনি। ট্রেন আটকানো, বিধায়ক কেনাবেচা সম্পর্কিত মমতার অভিযোগকে উড়িয়ে এ রাজ্যের বিজেপির ‘মুখ’ দিলীপ ঘোষের জবাব, রেলের তরফে এদিন বাড়তি ট্রেন এবং বগি জোড়া হয়েছিল। কিন্তু তাতে লোক ছিল না। শহরের বিভিন্ন জায়গায় ডিম-ভাত উদ্বৃত্ত হয়েছিল। খাওয়ার লোক ছিল না। কাউকে তো আবার দু’টোর জায়গায় চারটে ডিম খেতে হয়েছে। বিধায়ক কেনা প্রসঙ্গে দিলীপবাবুর ব্যাখ্যা, ওদের কে কিনবে? মার্কেটে ওদের ভ্যালু কমে গিয়েছে। যত অঙ্কের টাকার কথা তৃণমূল নেত্রী প্রকাশ্যে জানিয়েছেন, মমতারও এখন সেই দাম নেই। উল্টে তৃণমূল নেতাদের বাড়িতে পুলিসি পাহারা বসিয়েছেন নেত্রী। সুরক্ষার জন্য নয়, যাতে তাঁরা দল ছেড়ে বিজেপিতে যেতে না পারেন সেজন্য।
এদিন ২১শের মূল সুর ছিল— ইভিএম নয়, ব্যালট চাই। এ প্রসঙ্গে বিজেপির রাজ্য সভাপতির প্রতিক্রিয়া, ২০১১ এবং ২০১৬-তে উনি ইভিএমেই জিতে ক্ষমতায় এসেছিলেন। কিন্তু যেই ভোটে হারতে শুরু করেছেন, তখনই ইভিএম খারাপ হয়ে গিয়েছে ওনার কাছে। তাই রাজ্যে বিরাট অংশের পুরসভায় ভোট করাতে দিচ্ছেন না নেত্রী। কাটমানির পাল্টা হিসেবে বিজেপির বিরুদ্ধে ‘ব্ল্যাক মানি’ ফেরতের আন্দোলনকে আরও তীব্রতর করার যে ডাক মমতা দিয়েছেন, সেই প্রসঙ্গে দিলীপবাবু বলেন, লোকসভা ভোটে মানুষ এর জবাব দিয়ে দিয়েছে। মমতাকে ‘গদ্দার’ আখ্যা দিয়ে তিনি আরও বলেন, উনি তো কংগ্রেস থেকে বেরিয়ে এসে এখন কংগ্রেসকেই ভাঙছেন। ওঁর থেকে বড় গদ্দার কে আছে! সাদা শাড়ি আর হাওয়াই চটির ব্যবসা বেশি দিন চলবে না বলেও প্রচ্ছন্ন হুমকি দিয়েছেন তিনি। দিলীপবাবু আরও বলেন, রাজ্যজুড়ে কাটমানি-সিন্ডিকেট-তোলাবাজি সবটাই মুখ্যমন্ত্রীর অনুপ্রেরণায় হয়েছে। স্বভাবতই এ নিয়ে সব দায়ই তাঁকে নিতে হবে।
অন্যদিকে, এদিনই রাজ্য দপ্তরে আয়োজিত এই সাংবাদিক সম্মেলনের পর টলিউডের জনপ্রিয় অভিনেত্রী রিমঝিম মিত্র বিজেপিতে আনুষ্ঠানিকভাবে যোগ দেন। রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ তাঁর হাতে গেরুয়া পতাকা তুলে দেন।
এদিন ২১শের মূল সুর ছিল— ইভিএম নয়, ব্যালট চাই। এ প্রসঙ্গে বিজেপির রাজ্য সভাপতির প্রতিক্রিয়া, ২০১১ এবং ২০১৬-তে উনি ইভিএমেই জিতে ক্ষমতায় এসেছিলেন। কিন্তু যেই ভোটে হারতে শুরু করেছেন, তখনই ইভিএম খারাপ হয়ে গিয়েছে ওনার কাছে। তাই রাজ্যে বিরাট অংশের পুরসভায় ভোট করাতে দিচ্ছেন না নেত্রী। কাটমানির পাল্টা হিসেবে বিজেপির বিরুদ্ধে ‘ব্ল্যাক মানি’ ফেরতের আন্দোলনকে আরও তীব্রতর করার যে ডাক মমতা দিয়েছেন, সেই প্রসঙ্গে দিলীপবাবু বলেন, লোকসভা ভোটে মানুষ এর জবাব দিয়ে দিয়েছে। মমতাকে ‘গদ্দার’ আখ্যা দিয়ে তিনি আরও বলেন, উনি তো কংগ্রেস থেকে বেরিয়ে এসে এখন কংগ্রেসকেই ভাঙছেন। ওঁর থেকে বড় গদ্দার কে আছে! সাদা শাড়ি আর হাওয়াই চটির ব্যবসা বেশি দিন চলবে না বলেও প্রচ্ছন্ন হুমকি দিয়েছেন তিনি। দিলীপবাবু আরও বলেন, রাজ্যজুড়ে কাটমানি-সিন্ডিকেট-তোলাবাজি সবটাই মুখ্যমন্ত্রীর অনুপ্রেরণায় হয়েছে। স্বভাবতই এ নিয়ে সব দায়ই তাঁকে নিতে হবে।
অন্যদিকে, এদিনই রাজ্য দপ্তরে আয়োজিত এই সাংবাদিক সম্মেলনের পর টলিউডের জনপ্রিয় অভিনেত্রী রিমঝিম মিত্র বিজেপিতে আনুষ্ঠানিকভাবে যোগ দেন। রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ তাঁর হাতে গেরুয়া পতাকা তুলে দেন।
