বিদ্যার্থীদের বেশি শ্রম দিয়ে পঠন-পাঠন করা দরকার। কোনও সংস্থায় যুক্ত হলে বিদ্যায় বিস্তৃতি ঘটবে। কর্মপ্রার্থীরা ... বিশদ
এদিকে, ইমরান মার্কিন সফরের আগেই বিস্ফোরক মন্তব্য করে ইসলামাবাদকে অস্বস্তিতে ফেললেন প্রাক্তন পাক রাষ্ট্রদূত। এই সফরে পাক প্রধানমন্ত্রী নতুন কোনও প্রতিশ্রুতি জনগণকে দিতে পারবেন না বলেই দাবি করেছেন আমেরিকায় নিযুক্ত প্রাক্তন রাষ্ট্রদূত হুসেন হাক্কানি। সংবাদসংস্থাকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তিনি বলেছেন, ‘পাক প্রধানমন্ত্রী পুরনো পণ্যই বিক্রি করতে এসেছেন নতুন মার্কিন প্রেসিডেন্টকে। এমন কোনও নতুন প্রতিশ্রুতি ইমরান দিতে পারবেন না, যেটা অতীতে হয়নি।’ তাঁর আরও সংযোজন, ‘প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নির্বাচিত হওয়ার পর প্রথম মার্কিন সফরে ইমরানের সঙ্গে আইএসআই এবং সেনাবাহিনীর প্রধানকে সঙ্গে নিয়ে এসেছেন। এর থেকে স্পষ্ট যে, নেতৃত্ব দেওয়ার মতো জায়গায় নেই প্রধানমন্ত্রী। তাঁকে পাশে সরিয়ে পাক সেনা কর্তৃপক্ষই সরাসরি আমেরিকার সঙ্গে কথা বলে তাদের ভরসা ফিরে পাওয়ার চেষ্টা করবে বলে আমার মনে হয়।’
শেষবার ২০১৫ সালে পাক প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নওয়াজ শরিফ সরকারিভাবে মার্কিন সফরে এসেছিলেন। তার প্রায় চার বছর পর গত শনিবার দুপুরে কাতার এয়ারওয়েজের বাণিজ্যিক বিমানে ওয়াশিংটনে পৌঁছন বর্তমান প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। আমেরিকায় পাকিস্তানের রাষ্ট্রদূত আসাদ মাজিদ খানের সরকারি বাসভবনে থাকার ব্যবস্থা করা হয়েছে তাঁর। এই সফরে ইমরানের সঙ্গে এসেছেন পাক সেনাপ্রধান কামার জাভেদ বাজওয়া এবং পাক গোয়েন্দা সংস্থা আইএসআইয়ের প্রধান লেফটেন্যান্ট জেনারেল ফৈজ হামিদ। ইসলাবাদের কূটনৈতিক মহল সূত্রে জানা গিয়েছে, এই মার্কিন সফরে আফগানদের সঙ্গে শান্তি আলোচনা, সন্ত্রাসবাদ দমন এবং জঙ্গিগোষ্ঠীদের অর্থসাহায্যে রাশ টানতে পাক সরকারের উদ্যোগ এবং মার্কিন সামরিক সাহায্য ফের চালু করার বিষয়গুলি নিয়েই মূলত দু’পক্ষের কথাবার্তা হবে।
জানা গিয়েছে, ওভাল অফিসে একান্ত বৈঠকে অংশ নেওয়ার পাশাপাশি ইমরান সহ গোটা পাক প্রতিনিধি দলের সঙ্গে মধ্যহ্নভোজেও যোগ দেবেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। তিনদিনের সফরসূচিতে সোমবার ট্রাম্পের পাশাপাশি আন্তর্জাতিক অর্থ ভাণ্ডারের (আইএমএফ) কার্যনির্বাহী প্রধান ডেভিড লিপটন এবং বিশ্ব ব্যাঙ্কের প্রেসিডেন্ট ডেভিড মালপাসের সঙ্গেও বৈঠক করবেন পাক প্রধানমন্ত্রী। মঙ্গলবার মার্কিন বিদেশ সচিব মাইক পম্পেওর সঙ্গে বৈঠকে বসবেন ইমরান। পরে ক্যাপিটল হিলে মার্কিন সাংসদদের সঙ্গেও দেখা করার কথা রয়েছে তাঁর। এছাড়াও রবিবার রবিবার ওয়াশিংটন ডিসিতে পাকিস্তানি বংশোদ্ভূত মার্কিন অভিবাসীদের সামনে বক্তব্য রাখবেন পাক প্রেসিডেন্ট। আবার ২৩ জুলাই ইউএস ইনস্টিটিউট অব পিস থিঙ্ক ট্যাঙ্ক-এ বক্তৃতা দেবেন ইমরা।
এদিকে, প্রথম মার্কিন সফরে এসেই বিক্ষোভের মুখে পড়তে হয়েছে পাক প্রধানমন্ত্রীকে। বিক্ষোভকারীদের মধ্যে পাকিস্তানের ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের পাশাপাশি বালুচ, সিন্ধি এবং মুহাজিরদের মতো আদি জনগোষ্ঠীর সদস্যরাও রয়েছেন। শনিবার বালোচ গোষ্ঠীর তরফে ওয়াশিংটন ডিসিতে ভ্রাম্যমাণ বিলবোর্ড ক্যাম্পেনের আয়োজন করা হয়। বিলবোর্ডের উপর প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পকে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার আর্জি জানানো হয়েছে। এছাড়াও আমেরিকার ১০ জন প্রভাবশালী আইনপ্রণেতাদের দু’টি গোষ্ঠী ট্রাম্পের কাছে আর্জি জানিয়েছে, ইমরানের সঙ্গে বৈঠকে তিনি যেন সিন্ধু প্রদেশের মানবাধিকার লঙ্ঘনের ইস্যুগুলি তুলে ধরেন। আগামী কয়েকদিন হোয়াইট হাউস এবং ক্যাপিটল হিল চত্বরে একাধিক গোষ্ঠীর তরফে প্রতিবাদ-বিক্ষোভের আয়োজন করা হয়েছে বলে খবর।