বিদ্যার্থীদের বেশি শ্রম দিয়ে পঠন-পাঠন করা দরকার। কোনও সংস্থায় যুক্ত হলে বিদ্যায় বিস্তৃতি ঘটবে। কর্মপ্রার্থীরা ... বিশদ
বিজেপির শিলিগুড়ি সাংগঠনিক জেলা কমিটির সভাপতি অভিজিৎ রায়চৌধুরী অবশ্য বলেন, সংঘের নেতা-কর্মীরা সংঘের কাজ করছেন। সে ব্যাপারে কিছু বলতে পারব না। তবে, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির উন্নয়নমূলক কাজের নিরিখেই উত্তরবঙ্গে দলের শক্তি দিনকে দিন বাড়ছে। আগামী বিধান সভা নির্বাচনে এখানকার মাটি থেকে ঘাসফুল বাহিনীকে সাফ করে দেব।
রাজ্যের অন্যান্য প্রান্তের মতো উত্তরবঙ্গের মাটিতেও অনেকদিন আগেই ঝান্ডা পুঁতেছে আরএসএস। তবে, গত দেড় থেকে দু’বছরের মধ্যে তাদের পালে হাওয়া লেগেছে। সংঘ পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, একদা গ্রামে গ্রামে শাখা করার জন্য যুবকদের খুঁজে পাওয়া যেত না। বাড়ি বাড়ি গিয়েও শাখা করার জন্য যুবকদের রাজি করা যেত না। এখন শাখা সহ সংঘের কাজকর্ম নিয়ে যুবক থেকে মাঝ বয়সি লোকদের আগ্রহ ক্রমশ বাড়ছে। গত মে মাসে শিলিগুড়িতে ২০দিন ব্যাপী একটি প্রশিক্ষণ শিবির করা হয়। তাতে কোচবিহার থেকে শিলিগুড়ি, দুই দিনাজপুর ও মালদহ থেকে ৩৩১ জন শামিল হয়ে ছিলেন। যারমধ্যে যুবকের সংখ্যা ছিল বেশি, ২৩১জন। এঁদের বয়স ১৫-৪০ বছরের মধ্যে। তাঁদের মধ্যে বেশকিছু কলেজ পড়ুয়া ছিলেন। বাকি ১০০ জনের মধ্যে কেউ ব্যবসায়ী, কেউ চাকরিজীবী ছিলেন।
শিলিগুড়িতে আরএসএসের এক নেতা বলেন, ২০ দিনের ওই আবাসিক প্রশিক্ষণ শিবিরে সকাল ও বিকালে শরীর চর্চা, যোগব্যায়াম, কবাডি, খো খো প্রভৃতি শেখানো হয়। পাশাপাশি আত্মরক্ষার জন্য ক্যারাটে ও লাঠি খেলাও শেখানো হয়েছে। একই সঙ্গে দেশাত্মবোধ জাগ্রত করতে শিবিরে মণীষীদের জীবনী, বিপ্লবীদের সংগ্রামের কাহিনী নিয়ে আলোচনা হয়। শিবিরে মালদহ জেলা থেকে শিক্ষার্থীরা বেশি এসে ছিলেন। এবার তাঁরা নিজেদের এলাকায় একই ভাবে নতুন টিম তৈরি করবে এবং সংঘের কাজ পরিচলনা করবেন।
আরএসএসের এমন কর্মকাণ্ড নিয়ে রাজনৈতিক মহলে জোর গুঞ্জন উঠেছে। রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের বক্তব্য, গত লোকসভা ভোটের আগ থেকেই উত্তরবঙ্গে পাহাড়, জঙ্গলে ঘেরা ডুয়ার্স ও সমতলে জাল বিস্তার করেছে আরএসএস। লোকসভা ভোটে যার ফায়দা তুলেছে বিজেপি। এই এলাকার মাটি থেকে তারা ঘাসফুল বাহিনীকে কার্যত সাফ করে দিয়েছে। আসন্ন বিধানসভাকে টার্গেট করে তারা উত্তরবঙ্গের যুব সমাজের মধ্যে জাল বিস্তারের কাজ শুরু করেছে।
বিজেপির শিলিগুড়ি সাংগঠনিক জেলা নেতাদের অবশ্য দাবি, প্রধানমন্ত্রী নেতৃত্বে কেন্দ্রীয় সরকারের উন্নয়নমূলক কাজের জেরেই শিলিগুড়ি সহ উত্তরবঙ্গের মাটিতে বিজেপির শক্তি বৃদ্ধি হচ্ছে। এরসঙ্গে আরএসএসের কোনও সম্পর্ক নেই। আবার নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক বিজেপি নেতা বলেন, সংঘ পরিবারের বাইরে নয় বিজেপি। কাজেই আরএসএসের শক্তি বৃদ্ধি মানেই বিজেপির শক্তি বৃদ্ধি। এদিকে, তৃণমূলের ডাবগ্রাম-ফুলবাড়ি সাংগঠনিক ব্লক কমিটির সভাপতি দেবাশিস প্রামাণিক বলেন, বিজেপি বিভাজনের রাজনীতির মাধ্যমে উত্তরবঙ্গের মাটিতে জাল বিস্তার করছে। এতে ওরা খুব বেশি সুবিধা করতে পারবে না। বিধানসভা নির্বাচনের আগেই আমরা ঘুরে দাঁড়াব।