বিদ্যার্থীদের বেশি শ্রম দিয়ে পঠন-পাঠন করা দরকার। কোনও সংস্থায় যুক্ত হলে বিদ্যায় বিস্তৃতি ঘটবে। কর্মপ্রার্থীরা ... বিশদ
বেশ কিছুদিন ধরেই এখন মুম্বইতে থাকছেন সুমন। হিন্দি ছবির জন্যই কি বাংলার থেকে সামায়িক বিরতি? সুমনের কথায়, ‘শুধু হিন্দি ছবি করব এরকম কোনও সিদ্ধান্ত নিইনি। বাংলাতেও করতে পারি। অন্য ভাষাতেও করতে পারি। যে গল্পের যেমন ভাষা দরকার সেই ভাষাতেই কাজ করব।’ এখন দু-তিনটি বিষয় নিয়ে চিন্তা ভাবনা করছেন তিনি। তবে চিন্তাভাবনা বাস্তবায়িত করতে হলে অর্থের কথাটাও ভাবতে হয়। ‘শুধু তো আর ভাবনার উপরে নির্ভর করে না। প্রযোজক পাওয়াটাই মূল কথা। কাজেই যা ভাবব, সেটাই যে করে উঠতে পারব, তার কোনও মানে নেই,’ বলছিলেন তিনি। তাহলে এই মুহূর্তে কি সুমন ওয়েব প্ল্যাটফর্মকেই পাখির চোখ করতে চাইছেন? তাঁর কথায়, ‘এভাবে বলা যায় না। ওয়েবে অনেক ধরনের ছবি হচ্ছে। একটা ছবি করলে সেটা যদি সাধারণ প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পায়, সেই মুক্তি পাওয়া তো একজন পরিচালকের সবচেয়ে বড় পাওনা। এখন যা পরিস্থিতি, আমি যে ধরনের ছবি করি, সেই ছবি মুক্তি পাওয়ার বড় খরচ এবং নানা দিক থেকে বেশ মুশকিল। সেক্ষেত্রে যাঁরা স্বতন্ত্র চলচ্চিত্রকার তাঁদের জন্য ওয়েব একটা ভালো প্ল্যাটফর্ম। মনের মতো কাজ করা যায়। এটা বলছি তার কারণ এখানেও চ্যানেল আছে, প্রযোজক আছে।’ তাঁর ‘নজরবন্দ’ ছবিটি এখন কি ওয়েবেই মুক্তি পাবে, সেই নিয়েও চলছে জল্পনা।
এখন মুম্বইতে কাজ করছেন। বাংলার সঙ্গে কোনও পার্থক্য কি চোখে পড়ে? সুমনের কথায়, ‘আকাশ-পাতাল তফাত নেই। পশ্চিমবঙ্গে সংস্কৃতির ক্ষেত্রে একটা খোলামেলা জায়গা ছিল, সেখানে নানা রকমের ছবি হতো। কলকাতায় একটা গণতান্ত্রিক পরিবেশ ছিল। সংস্কৃতির উপর রাজনীতির প্রভাব তো ছিলই। কিন্তু সেটা ক্রমশ একটা খেলো জায়গায় চলে এসেছে। সেটা আমায় বড্ড বিরক্ত করেছে। তা বলে কি মুম্বইয়ে রাজনৈতিক প্রভাব নেই? নিশ্চয়ই আছে। যেহেতু অনেক ধরনের কাজ হচ্ছে তাই ফাঁক দিয়ে বেরিয়ে যাওয়া যায়। ওখানে একটা প্রযোজক পুরো ইন্ডাস্ট্রিকে চালনা করছে। কিন্তু এখানে বড় হাউজের সংখ্যা অনেক। শিল্পী, টেকনিশিয়ান কলকাতায় অনেক ভালো রয়েছে। পশ্চিমবঙ্গে সংস্কৃতির সঙ্গে রাজনীতি মিশে যাওয়াটাই সমস্যার।’ ‘পোশাম পা’ আগামী ২১ আগস্ট থেকে জি ফাইভ প্ল্যাটফর্মে দেখা যাবে।