বিদ্যার্থীদের বেশি শ্রম দিয়ে পঠন-পাঠন করা দরকার। কোনও সংস্থায় যুক্ত হলে বিদ্যায় বিস্তৃতি ঘটবে। কর্মপ্রার্থীরা ... বিশদ
এদিকে, অভিযুক্ত ব্যক্তির ফাঁসির দাবিতে রবিবার খেয়াদহ-১-এ সরব হয়েছেন সাধারণ মানুষ। পুলিস সুপার রশিদ মুনির খান বলেন, ঘটনাটি মর্মান্তিক। অভিযুক্তর যাতে ফাঁসি হয়, সেইভাবে আইনি পথে এগচ্ছে পুলিস। আসগরের বিরুদ্ধে ৩৭৬, ৩০২ ধারা এবং পকসো আইনে কেস রুজু করা হয়েছে। আগামী একমাসের মধ্যে তার বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট জমা দেওয়া হবে বলে সুপার জানান।
এদিন পুলিস সুপার বলেন, ওই নাবালিকার বাড়ি খেয়াদহ-১ পঞ্চায়েতের হাসপাতাল ও স্কুল সংলগ্ন এলাকায়। গত ১৫ জুলাই বিকেলের পর থেকে সে বেপাত্তা হয়ে যায়। এ নিয়ে হইচই হয়। নাবালিকার পরিবার ও স্থানীয় বাসিন্দারা আন্দোলনে নামে। আন্দোলনকারীরা শুরু থেকেই আসগরের দিকে অভিযোগের আঙুল তুলেছিল। তবে তাদের অভিযোগ ছিল, মেয়েকে অপহরণ করে বিহারে নিয়ে বিক্রি করে দেওয়া হয়েছে। বিষয়টি নিয়ে তদন্তে নামে পুলিস। জানতে পারে নিখোঁজের দিন বিকেলে শেষবারের মতো আসগরের সঙ্গে নাবালিকাকে যেতে দেখা গিয়েছিল। এরপর আসগরের খোঁজ শুরু হয়। কিন্তু সে ও তার পরিবারের লোকজন ঘটনার পর থেকে বেপাত্তা হয়ে যায়। জানা যায়, আসগর লরির হেল্পার হিসেবে কাজ করত। প্রায় সময় তাকে মদ্যপ অবস্থায় দেখা যেত। ওই নাবালিকার বাড়ির পাশে থাকার জন্য সকলের সঙ্গে পরিচিত ছিল। নাবালিকা তাকে কাকা বলে ডাকত। স্বাভাবিকভাবে সে এমন একটি নৃশংস ও অমানবিক কাজ করতে পারে কেউ ভাবতে পারেনি। তবে পুলিসের সন্দেহ হয় নাবালিকা নিখোঁজের ঘটনার পিছনে আসগরের যোগাযোগ রয়েছে। পাশাপাশি পুলিস এও বুঝতে পারে, নাবালিকাকে খুন করে খেয়াদহ-১ এর জলাশয় কিংবা আশপাশ কোনও জায়গাতে ফেলে দেওয়া হয়েছে। কিন্তু তা বের করতে হিমশিম খেতে হচ্ছিল তদন্তকারীদের। অভিযুক্তকে ধরার ব্যাপারে পুলিসের অসুবিধা হওয়ার কারণ হল, তার কাছে কোনও মোবাইল ছিল না। শেষ পর্যন্ত কলকাতা পুলিসের কাছ থেকে স্নিপার ডগ নিয়ে আসা হয়। চারপাশ তল্লাশি চালিয়ে স্নিপার দেহটি বার করতে পারেনি। এরপর আকাশ থেকে তল্লাশি চালাতে কলকাতা পুলিসের দেওয়া ড্রোন নামানো হয়। কিন্তু তাতেও সুবিধা হয়নি। এরমধ্যে ভাঙড় ও হাওড়া থেকে অভিযুক্তের বাবা ও ভাইকে ধরে আনা হয়। তাদের জেরা করে বেশ কিছু তথ্য পাওয়া যায়। তার ভিত্তিতে এসওজিকে সঙ্গে নিয়ে তিনটি আলাদা দল করে শিয়ালদহ ও হাওড়াসহ বিভিন্ন স্টেশন এলাকায় তল্লাশি শুরু হয়। শনিবার রাতে আসগরকে শিয়ালদহ থেকে পাওয়া যায়। তাকে জেরার পর সে ভেঙে পড়ে। স্বীকার করে নাবলিকাকে ধর্ষণের পর খুন করেছে সে।