বিদ্যার্থীদের বেশি শ্রম দিয়ে পঠন-পাঠন করা দরকার। কোনও সংস্থায় যুক্ত হলে বিদ্যায় বিস্তৃতি ঘটবে। কর্মপ্রার্থীরা ... বিশদ
‘ন্যাশনাল অ্যারোনটিক্স অ্যান্ড স্পেস অ্যাক্ট’-এ সই করলেন তৎকালীন মার্কিন প্রেসিডেন্ট আইজেনহাওয়ার। আনুষ্ঠানিকভাবে নাসার জন্ম হল আরও দু’মাস পর। অক্টোবরের ১ তারিখে। জন্ম হল মানবসভ্যতার আধুনিক ইতিহাসের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায়ের। ‘নাসা’র জন্মের জন্য মার্কিন কংগ্রেসে পাশ হল বিল। বলা হল, ‘পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলের ভিতর ও বাইরে বিমান চালনার সমস্যা দূর করার লক্ষ্যে গবেষণার জন্যই গড়া হচ্ছে নাসা।’ ভাবনাটা অবশ্য অনেক আগে থেকেই ছিল। মানুষ পাঠানো হবে চাঁদে। কিন্তু দুম করে তো আর মানুষ পাঠিয়ে দেওয়া যায় না চাঁদে! তার পিঠটা (সারফেস) ঠিক কেমন, কতটা এবড়োখেবড়ো, তা বুঝতে ১৯৬৪ সালে চাঁদে প্রথম একটি ‘ল্যান্ডার’ মহাকাশযান পাঠাল নাসা। এই সেই ‘ল্যান্ডার’ মহাকাশযানের নাম ‘রেঞ্জার-৭’। চাঁদের মাটি ছোঁয়ার আগেই মার্কিন মহাকাশযানের পিঠে চেপে চাঁদের পিঠের মোট ৪ হাজার ৩১৬টি ছবি তুলেছিল ‘রেঞ্জার-৭’। সেই সব ছবি বিশ্লেষণ করে নাসা সিদ্ধান্ত নিয়েছিল চাঁদের পিঠের কোন দিকটায় নামানো হবে মানুষ। কোন দিকে মানুষ নামালে বিপদের আশঙ্কা কম।
ঐতিহাসিক অধ্যায়ের শুরু ১৯৬১ সালে। আমেরিকার তৎকালীন প্রেসিডেন্ট জন এফ কেনেডি একদিন তাঁর ভাইস প্রেসিডেন্ট লিন্ডন জনসনকে ডাকলেন। বললেন, ‘সোভিয়েত ইউনিয়নের কাছে মহাকাশ জয়ের প্রতিযোগিতায় আমরা হেরে যাচ্ছি। পৃথিবীকে প্রদক্ষিণ করা প্রথম কৃত্রিম উপগ্রহ স্পুটনিক। মহাকাশে যাওয়া প্রথম জীবিত প্রাণী লাইকা। চন্দ্রাভিযানে যাওয়া প্রথম রকেটে ছিল লাল পতাকা। চাঁদের দূরপ্রান্তের ছবি যে ক্যামেরায় তোলা হয়েছে, তা-ও সোভিয়েতের। আগে সমুদ্র নিয়ন্ত্রণকারীরা পৃথিবী নিয়ন্ত্রণ করত। আগামী দশকে মহাকাশ হয়ে উঠবে গুরুত্বপূর্ণ। যার নিয়ন্ত্রণে মহাকাশ, পৃথিবী তার নিয়ন্ত্রণে থাকবে। এই গুরুত্বপূর্ণ প্রতিযোগিতায় আমরা পিছিয়ে থাকতে পারি না।’ কেনেডির এই কথায় লিন্ডন জনসন উপযুক্ত মানুষ খোঁজা শুরু করলেন। একপর্যায়ে পেয়েও গেলেন। তিনি বিজ্ঞানী ভের্নার ফন ব্রাউন। তাঁকে আমেরিকার মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসার মহাকাশ কর্মসূচির ‘গডফাদার’ বলে অভিহিত করা হয়। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় নাৎসি বাহিনীর জন্য তিনি রকেট বানিয়ে দিয়েছিলেন। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ শেষে তিনি মিত্র বাহিনীর কাছে আত্মসমর্পণ করেন। পরে যোগ দেন নাসায়। তিনি প্রেসিডেন্ট কেনেডিকে বলেছিলেন, মহাকাশ জয়ের লড়াইয়ে আমেরিকা তখনই বিজয়ী হতে পারবে, যখন তারা চাঁদে মানুষ পাঠাতে পারবে। মূলত এরপরই শুরু হয় চন্দ্রজয়ের প্রস্তুতি।
১৯৬৯ সালের ১৬ জুলাই। আমেরিকার ফ্লোরিডায় কেনেডি স্পেস সেন্টারে সেদিন দমবন্ধ করা উত্তেজনা। অজানার পথে যাত্রা শুরু করলেন তিন দুঃসাহসী অভিযাত্রী নিল আর্মস্ট্রং, এডউইন (বাজ) অলড্রিন ও মাইকেল কলিন্স। লক্ষ্য চন্দ্রজয়। ‘স্যাটার্ন ৫’ রকেটে চেপে তাঁদের বাহন মহাকাশযান অ্যাপোলো–১১। যাত্রা শুরুর পর প্রথম চারদিন পরিকল্পনা অনুযায়ীই চলছিল সবকিছু। কিন্তু চাঁদের বুকে পা রাখার মিনিট বিশেক আগে হঠাৎই পৃথিবীতে নিয়ন্ত্রণকক্ষের সঙ্গে রেডিও যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায় নভোচারীদের। এরপর একের পর এক আসতে থাকে আরও বিপত্তি। তিন মহাকাশচারীর চন্দ্রজয়ের সাক্ষী হতে গোটা দুনিয়ার নজর তখন টেলিভিশন ও রেডিওতে আটকে। এমন মুহূর্তে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হওয়ায় বিজ্ঞানীদের মধ্যে যেন আতঙ্কের স্রোত বইয়ে দেয়। নিয়ন্ত্রণকক্ষ বুঝতে পারে, মহাকাশ যান ইগলের কম্পিউটার–ব্যবস্থায় অতিরিক্ত চাপ পড়েছে। কম্পিউটারটি ঠিক সময়ে সাড়া দিতে পারছে না।
এদিকে নিয়ন্ত্রণকক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করতে না পারায় ঈগলের গতিও কমাতে পারছিলেন না আর্মস্ট্রং। তিনি বুঝতে পারেন, চাঁদের বুকে যে জায়গায় তাঁদের অবতরণের কথা, সেখান থেকে কয়েক মাইল দূরে ছিটকে পড়তে চলেছেন। বাধ্য হয়েই স্বয়ংক্রিয় ব্যবস্থা বন্ধ করে ইগলের নিয়ন্ত্রণ নিজের হাতে তুলে নেন আর্মস্ট্রং। এরপর অবতরণের নতুন জায়গা খুঁজতে শুরু করেন। কিন্তু চাঁদের পাথুরে পৃষ্ঠে তেমন কোনও জায়গাও পাচ্ছিলেন না। এদিকে ইগলের জ্বালানিও ফুরিয়ে আসছিল। এই পরিস্থিতির মধ্যেই মাথা ঠান্ডা রেখে কাজ করে যান স্বল্পভাষী আর্মস্ট্রং। অলড্রিন হঠাৎ বলে উঠলেন, ‘কন্ট্যাক্ট লাইট’। অর্থাৎ চাঁদের বুকে অবতরণ করেছে ইগল। এরপরই
আর্মস্ট্রং বার্তা পাঠান হিউস্টনে। নিয়ন্ত্রণকক্ষে তখন খুশির জোয়ার। ফিরতি বার্তায় নিয়ন্ত্রণকক্ষের কর্তা চার্লি ডিউক বলেন, ‘আমাদের দম বন্ধ হয়ে আসছিল। ধন্যবাদ তোমাদের, আমরা আবার শ্বাস নিতে পারছি।’
১৯৬৯ সালের ২০ জুলাই দুই মার্কিন নভোচারী নিল আর্মস্ট্রং ও এডউইন অলড্রিন পৃথিবীর একমাত্র উপগ্রহ চাঁদের বুকে পা রাখেন। এই অভিযানের কমান্ডার ছিলেন আর্মস্ট্রং। অভিযানের ছবি তোলার দায়িত্বেও ছিলেন তিনি। এডউইন অলড্রিন ছিলেন মহাকাশযানের পাইলট। চাঁদের কক্ষপথে পৌঁছে এই দু’জন অ্যাপোলো–১১ মহাকাশযানের লুনার মডিউল ঈগলে চেপে রওনা হন। মূল মহাকাশযানে থেকে যান আরেক নভোচারী মাইকেল কলিন্স। ১৯৫৮-এ প্রাক্তন মার্কিন প্রেসিডেন্ট আইজেনহাওয়ার যে দিন সই করেছিলেন ‘ন্যাশনাল অ্যারোনটিক্স অ্যাক্ট’-এ, তার ১৮ বছর পর চাঁদের মাটিতে প্রথম পা পড়ল মানুষের। ঐতিহাসিক সেই ‘অ্যাপোলো মোমেন্ট’। যা নিয়ে বিতর্কেরও শেষ নেই। নাসার দাবি, ১৬ জুলাই যাত্রা শুরু করে ২৪-এ চাঁদের মাটিতে পা রেখেছিলেন আর্মস্ট্রংরা। কিন্তু আদৌ এমনটা ঘটেছিল, নাকি পুরোটাই স্টুডিয়োয় সাজানো? গোড়া থেকেই তা নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করে এসেছে রাশিয়া। এখনও তারা প্রশ্ন তোলে— চাঁদে পতাকা ওড়ে কীভাবে? ছবিতে এত ছায়াপাত কীসের? চাঁদের মাটিতে ভারী বুটের ছাপই বা পড়ল কীভাবে? মহাকাশ নিয়ে দুই দেশের প্রতিযোগিতা কোন পর্যায়ে উঠেছিল, এ থেকেই তা স্পষ্ট হয়ে যায়। শুধু তাই-ই নয়, অ্যাপোলো-১১ মিশনের উৎক্ষেপের দিন তিনেক আগে, ১৩ জুলাই সোভিয়েত চাঁদের বিভিন্ন এলাকার মাটি খুঁড়ে সংগ্রহ করার ও পৃথিবীতে নিয়ে আসার জন্য পাঠায় লুনা-১৫। লুনা-১৫ কিন্তু ঈগলের আগেই চাঁদের কক্ষপথে প্রবেশ করে। তবে বৃহত্তর স্বার্থে এবং ঈগলের সঙ্গে সংঘর্ষ এড়ানোর জন্য সোভিয়েত লুনা ১৫-এর পরিকল্পনা আমেরিকাকে আগাম জানিয়ে দেয়। সোভিয়েতের কপাল মন্দ ছিল। চাঁদে অবতরণের সময় যান্ত্রিক গোলযোগের কারণে লুনার শেষপর্যন্ত আর চাঁদে অবতরণ করা হয়নি, তা বিধ্বস্ত হয়ে চাঁদের জমিতে ছড়িয়ে পড়ে। লুনার এই ধ্বংস হয়ে যাওয়া ইংল্যান্ডের মানমন্দিরের রেডিও-টেলিস্কোপটি রের্কড করেছিল। ২০০৯ সালে অ্যাপোলো ১১-র ৪০তম বার্ষিকীর সময় তা প্রকাশ করা হয়। সোভিয়েত যাই প্রচার করুক না কেন, অ্যাপোলো ১১-র সাফল্য আমেরিকাকে মহাশূন্য প্রতিযোগিতায় প্রথম সারিতে নিয়ে আসে। সোভিয়েত ইউনিয়নের পাঠানো ইউরি গ্যাগারিনের প্রথম মহাকাশ পরিভ্রমণ যে আত্মশ্লাঘার সৃষ্টি করেছিল, আর্মস্ট্রংয়ের চাঁদের বুকের প্রথম ছাপটি তার অনেকখানিই মসৃণ করে দেয়।
মই বেয়ে লুনার মডিউল ঈগল থেকে চাঁদের বুকে নামতে নামতে নিল আর্মস্ট্রং বলেছিলেন, ‘একজন মানুষের এই একটি পদক্ষেপ হবে মানবজাতির জন্য এক বিরাট অগ্রযাত্রা।’ সেই ছিল চাঁদের বুকে মানুষের প্রথম পদচিহ্ন আর মানবজাতির সেদিনের প্রমিথিউস ছিলেন নিল আর্মস্ট্রং। চাঁদের বুকে নিলের পা ফেলার মাধ্যমে মানুষ চাঁদকে জয় করেছিল। রূপকথার চাঁদ এসেছিল মানবজাতির পদতলে। ঠাণ্ডা যুদ্ধের সেই সময় চাঁদের বুকে মার্কিন পতাকার ছবিটি ছিল সোভিয়েত ইউনিয়ন থেকে তাদের এগিয়ে যাওয়ার প্রতীক। আমেরিকা চাঁদে তাদের পতাকা উড়িয়ে জানান দিয়েছিল সামনের দিনগুলোতে শুধু দুনিয়া নয়, মহাশূন্যের নিয়ন্ত্রণও তারা নিতে চলেছে। চন্দ্র বিজয়ের পিছনের কারিগরদের অন্যতম নাসার বিজ্ঞানী ক্রিস ক্রাফট বলেছিলেন, ‘১৯৬১ সালে প্রেসিডেন্ট কেনেডি যখন আমাদের চাঁদকে জয় করার কথা বলেছিলেন, তখন সেটা ছিল একেবারে অসম্ভব। কিন্তু আমরা সেটা সম্ভব করেছি, আমেরিকা সেটা সম্ভব করেছে।’ পৃথিবী থেকে উৎক্ষেপণ এবং ফের পৃথিবীতে অবতরণ— এই মিশনটা সম্পূর্ণ হতে মোট সময় লেগেছিল ৮ দিন ৩ ঘণ্টা এবং ১৮ মিনিট। মানুষের চন্দ্রজয়ের সেই ঐতিহাসিক মুহূর্তের ৫০ বছর পূর্তি হচ্ছে এই বছর। আক্ষেপ একটাই, বছর সাতেক আগেই মারা গিয়েছেন মিশন কমান্ডার নিল আর্মস্ট্রং। ২০ জুলাই আমেরিকাসহ বিভিন্ন দেশেই নানা আয়োজনে উদ্যাপন করা হবে মুহূর্তটিকে। কেনেডি স্পেস সেন্টারও উৎসবের মেজাজে।
চাঁদের বাতাস নেই, কিন্তু সেখানে নাকি একটা ঘ্রাণ আছে। মডিউলে ফেরার পর নিজের হেলমেট খুলে নিল আর্মস্ট্রং বলেছিলেন, ‘আমরা কেবিনে একটা নতুন ঘ্রাণ পাচ্ছিলাম। পরিষ্কারভাবেই বুঝতে পারছিলাম, এটা আমাদের পোশাকে লেগে থাকা এবং নিয়ে আসা চাঁদের ধূলিকণার ঘ্রাণ।’ তাঁর কথায় এটা ‘ভেজা ছাইয়ের গন্ধ’। আর তার সহযাত্রী বাজ অলড্রিনের মনে হয়েছিল এটা ‘বাজি পোড়ানোর পর বাতাসে যে গন্ধ পাওয়া যায় সে রকম’। গত বছর চাঁদে মানুষের প্রথম পা রাখা, সেই অভিযানের ১৯ হাজার ঘণ্টার অডিও টেপ প্রকাশ করেছিল নাসা। মোট ১৯,০০০ ঘণ্টার এই কথোপকথন-কে ডিজিটালাইজড করে নিজেদের অনলাইন আর্কাইভে রেখেছে নাসা। যে কেউ সেই কথোপকথনের রেকর্ড শুনতে পারবেন। তাছাড়া চাঁদ থেকে যা কিছুই পৃথিবীতে আনা হয়েছিল তার সবই আমেরিকা সবাইকে গবেষণা করার সুযোগ করে দিয়েছে। একটি ব্যাগে নমুনা হিসেবে ২১.৫ কিলোগ্রাম চাঁদের মাটি এবং পাথর ভরে ফিরে এসেছিলেন তিন মহাকাশচারী। পরে জানা গিয়েছিল, সেই ব্যাগটি হারিয়ে ফেলেছিল নাসা। তবে ২০১৩ সালে সেটির খোঁজ মেলে।
চন্দ্র বিজয়ের সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপন করতে নাসা অ্যাপোলো মিশনের কন্ট্রোল সেন্টারটিকে সংস্কারের উদ্যোগ নিয়েছে। এই সেন্টার থেকেই অ্যাপোলো ১১-এর অভিযান নিয়ন্ত্রণ করা হয়েছিল। ১৯৯২ সালে এই সেন্টারটিকে নাসা পরিত্যক্ত ঘোষণা করেছিল। তারপর থেকে এখানে আর কোনও কাজ হয়নি। নাসার উদ্যোগে পাঁচ বছর ধরে এই সেন্টারটি সংস্কারের জন্য অর্থ সংগ্রহ করা হয়েছে। দুই বছরের সংস্কার শেষে সাধারণ মানুষের জন্য সেন্টারটি উন্মুক্ত করে দেওয়া হয়েছে। কেনেডি স্পেস সেন্টারে ১৭ মিনিটের শো। দেখানো হচ্ছে সে দিনের কাউন্ট ডাউন, ‘স্যাটার্ন ৫’-এর উৎক্ষেপণ, ‘অ্যাপোলো ১১’-এর দুষ্প্রাপ্য সব ছবি। মিউজ়িয়ামের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, গোটা উৎসব বিনামূল্যে দেখতে পাবেন সবাই। অনুষ্ঠানের নাম রাখা হয়েছে, ‘অ্যাপোলো ৫০: গো ফর দ্য মুন’। জনসন স্পেস সেন্টারের পরিচালক মার্ক গেয়ার বলেছেন, ‘৫০ বছর আগে আমাদের লক্ষ্য ছিল মানুষ চাঁদে যেতে পারে এবং নিরাপদে দুনিয়ায় ফিরতে পারে সেটা প্রমাণ করা। আর এখন আমাদের লক্ষ্য বসবাসের জন্য চাঁদে ফিরে যাওয়া।’
আমেরিকার ভাইস প্রেসিডেন্ট মাইক পেন্স গত মার্চেই নতুন চন্দ্রাভিযানের ঘোষণা করেছেন। আগামী পাঁচ বছরের মধ্যেই মার্কিন মহাকাশচারীরা নতুন এই অভিযান সফল করে দেখাবেন বলে ঘোষণা করেছেন তিনি। অনেকেই বলছেন, চাঁদ আসলে এখানে একটা উপলক্ষ্য। মূল লক্ষ্য, মহাকাশে আধিপত্য বিস্তার। পেন্সের কথাতেই এর প্রমাণ পাওয়া যায়। গত ২৬ জানুয়ারি নতুন চন্দ্রাভিযানের কথা ঘোষণা করার সময় চীন ও রাশিয়াকে ‘প্রতিপক্ষ’ আখ্যা দিয়ে পেন্স বলেছিলেন, ‘কোনও ভুল হওয়ার কথা নয় যে, আমরা মহাকাশে আজ লড়াইয়ে অবতীর্ণ, ঠিক যেমনটা ছিল ১৯৬০-এর দশকে।’
লড়াইটা এবার শুধু আমেরিকা-রাশিয়ার মধ্যেই নয়, চীনের সঙ্গেও!