Bartaman Patrika
বিশেষ নিবন্ধ
 

সাত শতাংশ বৃদ্ধির ফাঁদে
পি চিদম্বরম

কেন্দ্রীয় সরকারের বাজেটগুলির মধ্যে ২০১৯-২০ সালের বাজেট স্বাভাবিকের তুলনায় দ্রুত জট খুলল। মানুষের মধ্যে এই বাজেট নিয়ে কিংবা আগের বাজেট প্রস্তাবটি নিয়ে কোনও আলোচনা নেই। অতিশয় ধনীরা (সুপার রিচ ৬৪৬৭) বিরক্ত, তবুও ভয়ে স্পিকটি নট। ধনীদের স্বস্তি এখানেই যে তাঁদের রেয়াত করা হয়ে থাকে। শুধু কিছু নতুন বোঝা চাপিয়ে দেওয়ায় মধ্যবিত্ত শ্রেণীর মোহভঙ্গ হয়েছে। গরিবরা ভাগ্যের হাতে নিজেদের সঁপে দিয়েছে। অন্যদিকে, তাদের দিকে ছুঁড়ে দেওয়া টুকরোটাকরা সুবিধা গুনে যাচ্ছে মাঝারি আকারের কর্পোরেটরা (৪০০০)।
বাজেট নিয়ে সক্রিয়ভাবে আলোচনা করে চলেছেন শুধু অর্থনীতিবিদগণ এবং সম্পাদকীয় নিবন্ধকারগণ—কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে এই দুই শ্রেণীই অবজ্ঞাত হচ্ছেন। (আগাম অনুমতি ছাড়া সাংবাদিকদের অর্থমন্ত্রকে প্রবেশাধিকার কেড়ে নিয়েছেন অর্থমন্ত্রী)

কোন ইঞ্জিন চালানো হচ্ছে?
২০১৯-২০ অর্থবর্ষে জিডিপির ৭ অথবা ৮ শতাংশ বৃদ্ধির প্রতিশ্রুতি দিয়েছে সরকার। এটা মাত্র ১ শতাংশ তফাতের বিষয় নয়। এখানে তফাতটা ধারাবাহিক ভদ্রস্থ বৃদ্ধি (কনটিনিউড মডারেট গ্রোথ) এবং সম্ভাবনাময়রূপে ত্বরান্বিত বৃদ্ধির (পোটেনশিয়ালি অ্যাকসিলারেটেড গ্রোথ) মধ্যে দেখতে হবে। এটাও একটা লক্ষণ যে প্রধান অর্থনৈতিক উপদেষ্টার অধীন ইকনমিক ডিভিশনটি অর্থসচিবের অধীন বাজেট ডিভিশনের সঙ্গে কথাবার্তা বলে না। বেশিরভাগ পর্যবেক্ষণ লক্ষ করেছেন যে সরকার ভদ্রস্থ বৃদ্ধি (৭ শতাংশ) নিয়ে সন্তুষ্ট নাকি উচ্চ এবং ত্বরান্বিত বৃদ্ধির (৮+ শতাংশ) লক্ষ্য স্থির করছে—ভাষণের মধ্যে তার কোনও ইঙ্গিত ছিল না। আমার মনে হচ্ছে, সরকার প্রথমটা চাইছে।
উচ্চ এবং ত্বরান্বিত বৃদ্ধির জন্য প্রয়োজন বৃদ্ধির চারটি যন্ত্রের সবক’টিকে একসঙ্গে পুরোদস্তুর কাজে লাগানো। ২০১৩-১৪ সালে পণ্যসামগ্রী রপ্তানির যে দৃষ্টান্ত (৩১৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার) স্থাপিত হয়েছিল সেটা অতিক্রম করা গিয়েছে মাত্র এই ২০১৮-১৯ সালে এসে। এবং, তার পর বৃদ্ধির হারটা পূর্ববর্তী বছরের সাপেক্ষে ছিল পরিমিত ৯ শতাংশ। ২০১৮-১৯ সালে রাজস্ব হিসাবের উপর (সুদ প্রদান এবং অনুদানের নিটফল) সরকারি ব্যয় ছিল জিডিপির ৭.১৮ শতাংশ। ব্যক্তিগত উপভোগ কতকগুলি অনির্ণেয় বিষয়ের উপর নির্ভর করে—তার মধ্যে রাখতে হবে মুদ্রাস্ফীতি, কর্মসংস্থান, অর্থনৈতিক ওঠানামা, নিরাপত্তা প্রভৃতিকে। গৃহস্থের সামনে দোটানার বারোমাস্যাও চলে—‘‘আমার এখন সঞ্চয় করা উচিত, না কি খরচাটা করেই ফেলব?’’ উদাহরণ হিসেবে উল্লেখ করা যায় যে ব্যক্তিগত উপভোগ হ্রাসের রামধাক্কাটা লেগেছে মোটরগাড়ি এবং মোটরবাইকের বিক্রিতে।

বিনিয়োগ থমকে রয়েছে
এই কারণে বিনিয়োগ ছেড়ে যাচ্ছে। অর্থনৈতিক সমীক্ষা আস্থা রাখে বিনিয়োগের শক্তির উপর এবং ব্যক্তিগত উপভোগের উপরে কিছুটা কম। একটি অর্থনীতিতে বিনিয়োগের সাধারণ পরিমাপটি হল গ্রস ফিক্সড ক্যাপিটাল ফর্মেশন (জিএফসিএফ)।
নীচের সারণিতে স্পষ্ট হবে এই ব্যাপারে প্রথম মোদি সরকারের ভূমিকাটি:

জিএফসিএফ ৩২.৯-এর উচ্চতা থেকে ৫ শতাংশ পয়েন্ট কমে গিয়েছে। এটা তিন বছর যাবৎ ২৮ শতাংশের মধ্যে থমকে ছিল এবং ২০১৮-১৯ সালে সামান্য সংশোধিত হয়ে ২৯.৩ শতাংশে উন্নীত হয়েছে।
যদি সরকারি এবং ব্যক্তিগত বিনিয়োগ বিশেষভাবে বাড়ে তবেই জিএফসিএফ বাড়বে। সরকারের কর রাজস্ব সংগ্রহের দক্ষতার উপর সরকারি বিনিয়োগ নির্ভর করে, কিন্তু সরকারের সেই দক্ষতা নিয়ে সংশয়ের অবকাশ রয়েছে। ২০১৮-১৯ সালের সংশোধিত হিসাবের (রিভাইজড এস্টিমেট) নিট কর রাজস্বের পরিপ্রেক্ষিতে সরকার ১,৬৭,৪৫৫ কোটি টাকা খুইয়েছে। ২০১৯-২০ সালের জন্য কর রাজস্বের অনুমিত বৃদ্ধির হারটি বড্ড বাড়াবাড়ি রকমের (শকিংলি অ্যামবিশাস) ধরা হয়ে গিয়েছে। কেউ কি বিশ্বাস করেন আয়কর রাজস্ব ২৩.২৫ শতাংশ অথবা জিএসটি রাজস্ব ৪৪.৯৮ শতাংশ বাড়বে?
ব্যক্তিগত বিনিয়োগ বা প্রাইভেট ইনভেস্টমেন্ট নির্ভর করে কর্পোরেট সেভিংস এবং গৃহস্থের সঞ্চয়ের উপর। পাশাপাশি এটাও ভাবতে হবে যে বিনিয়োগ হল বিশ্বাসেরও ব্যাপার। যদি কর্পোরেটগণ পর্যাপ্ত মুনাফা করতে না-পারেন কিংবা সেইরূপ লাভের প্রত্যাশা না-রাখেন এবং মুনাফার অংশ পুনরায় বিনিয়োগ না-করেন অথবা গৃহস্থের সঞ্চয় থমকে যায় তবে ব্যক্তিগত বিনিয়োগ বাড়বে না।
কর্পোরেট মুনাফা এমন কতকগুলি বিষয়ের নির্ভরশীল যেগুলির উপর কর্পোরেটগণের কোনও নিয়ন্ত্রণ খাটে না। গৃহস্থদের সঞ্চয় প্রসঙ্গে বলি যে এই বাজেটে তাঁদের জন্য এমন কোনও উৎসাহ নজরে পড়েনি যে তাঁরা আরও বেশি সঞ্চয়ে উদ্বুব্ধ হবেন এবং সেগুলি বিনিয়োগে রূপান্তরিত হবে। গৃহস্থদের উপর, বিশেষ করে মধ্যবিত্ত শ্রেণীর উপর, বাড়তি চাপ বাড়িয়ে তাদের কাছ থেকে বিনিয়োগের সুরাহা প্রত্যাশা করা যায় না। তাদের উপর বাড়তি চাপ হয়ে যাচ্ছে পেট্রল ও ডিজেলের দামবৃদ্ধি, দীর্ঘমেয়াদি মূলধনী লাভ চালিয়ে যাওয়া, শেয়ারের ‘বাইব্যাক’-এর উপর কর আরোপ, নিউজপ্রিন্ট, বই, স্প্লিট এয়ার কন্ডিশনার, কয়েক প্রকার গাড়ির যন্ত্রাংশ, রুপো এবং সোনার উপর চড়া হারে আমদানি শুল্ক চাপানো। যদি জিএফসিএফ স্ট্যাগন্যান্ট বা থমকে থাকে এবং ধরে নেওয়া হয় যে উৎপাদনশীলতা অথবা দক্ষতায় কোনও নাটকীয় উন্নতি ঘটছে না, তাহলে জিডিপি বৃদ্ধির হারে তাৎপর্যপূর্ণ বৃদ্ধি ঘটবে না।
কাঠামোগত সংস্কার নেই
বাজেট ভাষণের দুই স্থানে ‘স্ট্রাকচারাল রিফর্মস’ (কাঠামোগত সংস্কার)-এর কথাটি উচ্চারিত হয়েছে কিন্তু গোটা ব্যবস্থার মধ্যে এমন কোনও ইঙ্গিত পাওয়া গেল না যাকে কাঠামোগত সংস্কার বলে মেনে নেওয়া যাবে। এই বাজেট ভাষণ আমার মতটিকেই বরং প্রতিষ্ঠা দিল যে মনমোহন সিংয়ের মতো সাহসী সংস্কারক নরেন্দ্র মোদি অন্তত নন। তিনি রক্ষণশীল, সংরক্ষণ নীতির পক্ষে, মুক্ত বাণিজ্যে তাঁর বিশ্বাস নেই এবং ট্যাক্স-অ্যান্ড-স্পেন্ড পলিসির উপাসক। করব্যবস্থার কথা বাদ দিলে, শাসক হিসেবে তাঁর অবস্থানটি তাৎপর্যপূর্ণভাবে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পদের মতো।
সরকারকে মনে হয় ৭ শতাংশের ভদ্রস্থ বৃদ্ধি (মডারেট গ্রোথ) নিয়েই তুষ্ট। সম্পদ সৃষ্টি অথবা জনকল্যাণ বৃদ্ধির পক্ষে ৭ শতাংশের বৃদ্ধি সত্যিই নগণ্য। ৭ শতাংশ বৃদ্ধি লাখো লাখো চাকরির ব্যবস্থা করতে নিতান্তই অক্ষম, অথচ আজ এটাই সবচেয়ে জরুরি। জনসংখ্যার সবচেয়ে নীচে যে ২০ শতাংশ মানুষ রয়েছেন তাঁদের মাথাপিছু আয় এই ৭ শতাংশ বৃদ্ধি দিয়ে বাড়ানোটা অসম্ভব। ৭ শতাংশ বৃদ্ধি দিয়ে ভারতকে হয়তো ‘সবচেয়ে দ্রুতগতির বৃহৎ অর্থনীতির একটি’ গোছের সার্টিফিকেট জুটিয়ে দেওয়া সম্ভব হতে পারে, কিন্তু সেটি অতি দরিদ্র, বেকার এবং উপেক্ষিত, দুর্বল ও শোষিত শ্রেণীর মানুষের জন্য কানাকড়িও মূল্য বহন করবে না।
15th  July, 2019
৫, ১০, ২০ ট্রিলিয়ন ডলার অর্থনীতির পথে
পি চিদম্বরম

রাজ্যসভায় ২০১৯-২০ বাজেট নিয়ে বক্তব্য রাখার সময় বলেছিলাম, ‘‘যদি জিডিপির স্বাভাবিক বৃদ্ধির হার ১২ শতাংশ হয় তবে প্রতি ছ’বছরে জিডিপির আকারটা দ্বিগুণ হয়ে যাবে। আর বৃদ্ধির হারটা যদি নমিনাল ১১ শতাংশ হয় তবে জিডিপি দ্বিগুণ হতে সময় নেবে সাত বছর।
বিশদ

২১ জুলাই সমাবেশ: মমতা কী বার্তা দেন জানতে উৎসুক বাংলা
শুভা দত্ত

ওই মর্মান্তিক ঘটনার পর থেকে প্রতিবছর মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এই দিনটিতে বড়সড় সমাবেশের আয়োজন করে তাঁর প্রয়াত সহযোদ্ধাদের প্রতি শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করেন।
বিশদ

21st  July, 2019
ছোটদের বড় করতে হলে আগে শুধরাতে হবে নিজেকে
পার্থজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়

সব থেকে ভালো হয়, যদি আপনার ‘বাছা’কে নিজের মতো বেড়ে উঠতে দেন। আনন্দে বেড়ে উঠুক। আলো চিনিয়ে দিন, অন্ধকার চিনিয়ে দিন। লক্ষ্য রাখুন, ঠিকঠাক এগচ্ছে কি না! সামনে পিছনে কত ফাঁদ, চোরাবালি। আপনিই ঈশ্বর, ওকে রক্ষা করুন। ছোটদের ‘বড়’ করতে হলে আগে শুধরাতে হবে নিজেকে। দয়া করে ওর উপর মাতব্বরি করবেন না, হ্যাঁ আমরা মাতব্বরিই করি।
বিশদ

20th  July, 2019
জন্ম এবং মৃত্যুর দ্বান্দ্বিক বস্তুবাদ
শুভময় মৈত্র

সম্প্রতি অকস্মাৎ আমার একটি বন্ধুর মৃত্যু হয়েছে। এই উপলক্ষে জগতে সকলের চেয়ে পরিচিত যে মৃত্যু তার সঙ্গে আর-একবার নূতন পরিচয় হল। জগৎটা গায়ের চামড়ার মতো আঁকড়ে ধরেছিল, মাঝখানে কোনো ফাঁক ছিল না। মৃত্যু যখন প্রত্যক্ষ হল তখন সেই জগৎটা যেন কিছু দূরে চলে গেল, আমার সঙ্গে আর যেন সে অত্যন্ত সংলগ্ন হয়ে রইল না।
——— রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
বিশদ

20th  July, 2019
অ্যাপোলো ৫০: গো ফর দ্য মুন
মৃণালকান্তি দাস

 মই বেয়ে লুনার মডিউল ঈগল থেকে চাঁদের বুকে নামতে নামতে নিল আর্মস্ট্রং বলেছিলেন, ‘একজন মানুষের এই একটি পদক্ষেপ হবে মানবজাতির জন্য এক বিরাট অগ্রযাত্রা।’ সেই ছিল চাঁদের বুকে মানুষের প্রথম পদচিহ্ন আর মানবজাতির সেদিনের প্রমিথিউস ছিলেন নিল আর্মস্ট্রং। চাঁদের বুকে নিলের পা ফেলার মাধ্যমে মানুষ চাঁদকে জয় করেছিল।
বিশদ

19th  July, 2019
বাঙালির যে সংস্কৃতি হারিয়ে গেল
জিষ্ণু বসু

ইদানীং রাজ্যে একটা গেল গেল রব শোনা যাচ্ছে। বাঙালি তার সংস্কৃতি হারাচ্ছে। বিজেপি ও আরএসএসের দৌরাত্ম্যে বাংলা যে চেহারা নিচ্ছে সেটা এ রাজ্যের সংস্কৃতির পরিপন্থী। বাঙালি বড়জোর ‘জয়দুর্গা’ বলতে পারে, কিন্তু ‘জয় শ্রীরাম’ বলার প্রশ্নই ওঠে না।
বিশদ

18th  July, 2019
পরিবারতান্ত্রিক সঙ্কট 
শান্তনু দত্তগুপ্ত

ছবিটা খুব পরিচিত। নিজের দলের বিরুদ্ধেই ধর্নায় বসেছেন ইন্দিরা গান্ধী। ভাঙতে চলেছে কংগ্রেস। আর তার নেপথ্যে ক্ষমতার ভারসাম্য বজায় রাখার সংঘাত। একদিকে স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা। অন্যদিকে কামরাজ, মোরারজি দেশাই, তৎকালীন কংগ্রেস সভাপতি নিজলিঙ্গাপ্পা। 
বিশদ

16th  July, 2019
মোদি সরকারের নতুন জাতীয় শিক্ষানীতি দেশকে কোন দিকে নিয়ে চলেছে
তরুণকান্তি নস্কর

নয়া শিক্ষানীতির কেন্দ্রবিন্দুই হল এই ভারতীয়ত্বের নাম করে মধ্যযুগীয় বাতিল চিন্তা ভাবনার জাবর কাটার প্রচেষ্টা। পঞ্চতন্ত্র, জাতক, হিতোপদেশের গল্পকে তাঁরা স্কুল পাঠ্য করতে চাইছেন, সংস্কৃত শিক্ষাকে গুরুত্ব দিচ্ছেন অথচ ইংরেজি ভাষা শিক্ষাকে গুরুত্বহীন করে দেখানোর চেষ্টা করেছেন। পাঠ্যতালিকায় বহু ব্যক্তির জীবনীচর্চার উল্লেখ আছে, কিন্তু সেই তালিকায় ভারতীয় নবজাগরণের পথিকৃৎ রামমোহন ও বিদ্যাসাগরের নাম সযত্নে বাদ দেওয়া হয়েছে। রামমোহন-বিদ্যাসাগরই যে এদেশে প্রথম ধর্মীয় কুসংস্কারাচ্ছন্ন শিক্ষা ব্যবস্থাকে বাতিল করে আধুনিক শিক্ষা প্রচলনের জন্য লড়াই করেছিলেন তা কারোর অজানা নয়। ভারতীয় নবজাগরণের এই মনীষীরা যে আরএসএস-বিজেপির চক্ষুশূল তা আজ জলের মতো পরিষ্কার।
বিশদ

15th  July, 2019
একটু ভাবুন
শুভা দত্ত

 বিশ্বের চারদিক থেকে পানীয় জল নিয়ে গুরুতর অশনিসংকেত আসার পরও আমাদের এই কলকাতা শহরে তো বটেই, গোটা রাজ্যেই প্রতিদিন বিশাল পরিমাণ জল অপচয় হয়। আপাতত বেশিরভাগ জায়গায় জলের জোগান স্বাভাবিক আছে বলে সেটা গায়ে লাগছে না। তাই এখনও আসন্ন মহাবিপদের কথাটা ভাবছেন খুব সামান্যজনই। বাদবাকিরা এখনও নির্বিকার, ভয়ডরহীন—দু’জনের সংসারে আড়াই-তিন হাজার লিটার শেষ করে দিচ্ছে দিনে, বাড়ি গাড়ি ধোয়া চালাচ্ছে কর্পোরেশনের পানীয় জলে! আহাম্মক আর কাকে বলে।
বিশদ

14th  July, 2019
বেনোজলের রাজনীতি
তন্ময় মল্লিক

জেলায় জেলায় নব্যদের নিয়ে বিজেপির আদিদের ক্ষোভ রয়েছে। আর এই ক্ষোভের অন্যতম কারণ যোগদানকারীদের বেশিরভাগই এক সময় হয় সিপিএমের হার্মাদ বাহিনীর সদস্য ছিলেন, অথবা তৃণমূলের ‘কাটমানি নেতা’। তাই এই সব নেতাকে নিয়ে স্বচ্ছ রাজনীতির স্লোগান মানুষ বিশ্বাস করবে না। উল্টে লোকসভা ভোটে যাঁরা নীরবে সমর্থন করেছিলেন, তাঁরা ফের নিঃশব্দেই মুখ ফিরিয়ে নেবেন।‘ফ্লোটিং ভোট’ যে মুখ ঘুরিয়ে নিতে পারে, সেটা বিজেপির পোড়খাওয়া নেতারা বুঝতে পারছেন। তাঁরা বলছেন, ভোটের ফল প্রকাশের পর যাঁরা আসছেন তাঁরা কেউই বিজেপির আদর্শের জন্য আসছেন না, আসছেন বাঁচার তাগিদে। কেউ কেউ লুটেপুটে খাওয়ার অভ্যাস বজায় রাখার আশায়।
বিশদ

13th  July, 2019
ঘোষণা ও বাস্তব
সমৃদ্ধ দত্ত

ভারত সরকারের অন্যতম প্রধান একটি প্রকল্পই হল নদী সংযোগ প্রকল্প। দেশের বিভিন্ন নদীকে পরস্পরের সঙ্গে যুক্ত করে দেওয়া হবে। যাতে উদ্বৃত্ত জলসম্পন্ন নদী থেকে বাড়তি জল শুকনো নদীতে যেতে পারে। প্রধানমন্ত্রী বারংবার এই প্রকল্পের প্রয়োজনীয়তার কথা বলেন। গোটা প্রকল্প রূপায়ণ করতে অন্তত ১ লক্ষ কোটি টাকা দরকার। এদিকে আবার বুলেট ট্রেন করতেও ১ লক্ষ ৮০ হাজার কোটি টাকা খরচ হচ্ছে! আধুনিক রাষ্ট্রে অবশ্যই দুটোই চাই। কিন্তু বাস্তব প্রয়োজনের ভিত্তিতে বিচার করলে? কোনটা বেশি জরুরি? বিশদ

12th  July, 2019
মোদি সরকারের নতুন জাতীয় শিক্ষানীতি দেশকে কোন দিকে নিয়ে চলেছে
তরুণকান্তি নস্কর

 কেন্দ্রীয় মানব সম্পদ উন্নয়ন দপ্তর থেকে সম্প্রতি জাতীয় শিক্ষানীতি-২০১৯-এর যে খসড়া প্রকাশিত হয়েছে তার যে অংশ নিয়ে সংবাদ মাধ্যমে হই চই পড়েছিল তা হল বিদ্যালয় স্তরে ত্রি-ভাষা নীতির মাধ্যমে অ-হিন্দিভাষী রাজ্যে জোর করে হিন্দি চাপানোর বিষয়টি। তামিলনাড়ুর মানুষের প্রবল আপত্তিতে তা কেন্দ্রীয় সরকার প্রত্যাহার করে নিয়েছে।
বিশদ

11th  July, 2019
একনজরে
 নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: রবিবার ছুটির দিন, রাস্তায় যানবাহনও কম। তাই ২১ জুলাইয়ে যান সামলাতে তেমন চ্যালেঞ্জের মুখে পড়তে হল না কলকাতা পুলিসকে। উত্তর থেকে দক্ষিণ, ...

 নয়াদিল্লি, ২১ জুলাই (পিটিআই): বাজেট বরাদ্দের ক্ষেত্রে সংবেদনশীল হওয়ার ইঙ্গিত দিয়েছিল স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক। সেই অনুযায়ী নজিরবিহীন সিদ্ধান্ত নিল তারা। এই প্রথম সিআরপিএফের মহিলাকর্মীদের জন্য কর্মক্ষেত্রে স্যানিটারি প্যাড ভেন্ডিং মেশিন বসতে চলেছে। ...

 ওয়াশিংটন, ২১ জুলাই (পিটিআই): ডোনাল্ড ট্রাম্প মার্কিন প্রেসিডেন্ট পদে আসার পর থেকেই ক্রমশ ইসলামাবাদের সঙ্গে সম্পর্কের অবনতি ঘটেছিল ওয়াশিংটনের। সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে পাকিস্তান কঠোর পদক্ষেপ নিচ্ছে না, মূলত এই অভিযোগে তাদের সামরিক সাহায্য করাও বন্ধ করে দেয় আমেরিকা। ...

সঞ্জয় গঙ্গোপাধ্যায়, কলকাতা: এবার ‘বুথে চলো’। ২০২১-এর বিধানসভা নির্বাচনকে সামনে রেখে বুথস্তর থেকে সংগঠন ঢেলে সাজার ডাক দিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। শুধু ডাক দিয়েই ক্ষান্ত হননি ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

বিদ্যার্থীদের বেশি শ্রম দিয়ে পঠন-পাঠন করা দরকার। কোনও সংস্থায় যুক্ত হলে বিদ্যায় বিস্তৃতি ঘটবে। কর্মপ্রার্থীরা ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

১৮১৪: সাহিত্যিক প্যারীচাঁদ মিত্রের জন্ম
১৮৪৭: সাহিত্যিক ত্রৈলোক্যনাথ মুখোপাধ্যায়ের জন্ম
১৯১৮: ভারতের প্রথম যুদ্ধবিমানের পাইলট ইন্দ্রলাল রায়ের মৃত্যু প্রথম বিশ্বযুদ্ধে
১৯২৩: সঙ্গীতশিল্পী মুকেশের জন্ম
১৯৪৮: চিত্রশিল্পী হেমেন্দ্র মজুমদারের মৃত্যু



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৬৭.৯৫ টাকা ৬৯.৬৪ টাকা
পাউন্ড ৮৪.৭৭ টাকা ৮৭.৯২ টাকা
ইউরো ৭৬.১০ টাকা ৭৯.০৪ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
20th  July, 2019
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৩৫,৫২৫ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৩৩,৭০৫ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৩৪,২১০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৪০,৫৫০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৪০,৬৫০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]
21st  July, 2019

দিন পঞ্জিকা

৫ শ্রাবণ ১৪২৬, ২২ জুলাই ২০১৯, সোমবার, পঞ্চমী ২২/২২ দিবা ২/৪। পূর্বভাদ্রপদ ১৩/১৩ দিবা ১০/২৪। সূ উ ৫/৭/১৮, অ ৬/১৮/৩৬, অমৃতযোগ দিবা ৬/৫৩ মধ্যে পুনঃ ১০/২৪ গতে ১/২ মধ্যে। রাত্রি ৭/১ গতে ৯/১১ মধ্যে পুনঃ ১১/২১ গতে ২/১৪ মধ্যে, বারবেলা ৬/৪৬ গতে ৮/২৫ মধ্যে পুনঃ ৩/১ গতে ৪/৪০ মধ্যে, কালরাত্রি ১০/২২ গতে ১১/৪৩ মধ্যে। 
৫ শ্রাবণ ১৪২৬, ২২ জুলাই ২০১৯, সোমবার, পঞ্চমী ১৪/২০/৫৯ দিবা ১০/৫০/২১। পূর্বভাদ্রপদনক্ষত্র ৮/২৮/৩৩ দিবা ৮/২৯/২২, সূ উ ৫/৫/৫৭, অ ৬/২১/৩৯, অমৃতযোগ দিবা ৬/৫৬ মধ্যে ও ১০/২৪ গতে ১/০ মধ্যে এবং রাত্রি ৬/৫৬ গতে ৯/৮ মধ্যে ও ১১/২০ গতে ২/১৬ মধ্যে, বারবেলা ৩/২/৪৩ গতে ৪/৪২/১১ মধ্যে, কালবেলা ৬/৪৫/২৫ গতে ৮/২৪/৫২ মধ্যে, কালরাত্রি ১০/২৩/১৬ গতে ১১/৪৩/৪৮ মধ্যে। 
১৮ জেল্কদ 

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
আজকের রাশিফল 
মেষ: কর্মপ্রার্থীরা কোনও শুভ সংবাদ পেতে পারেন। বৃষ: বিবাহের সম্ভাবনা আছে। মিথুন: ব্যবসায় ...বিশদ

07:11:04 PM

ইতিহাসে আজকের দিনে
১৮১৪: সাহিত্যিক প্যারীচাঁদ মিত্রের জন্ম১৮৪৭: সাহিত্যিক ত্রৈলোক্যনাথ মুখোপাধ্যায়ের জন্ম১৯১৮: ভারতের ...বিশদ

07:03:20 PM

  সল্টলেকের বিএসএনএল-এর অফিসে আগুন
সল্টলেকের ১৩ নম্বর ট্যাঙ্কের বিএসএন এল-এর নোভাল সেন্টারে আগুন লেগেছে। ...বিশদ

09:50:50 PM

বরানগর জুট মিলে আগুন, অকুস্থলে দমকলের ৪টি ইঞ্জিন 

07:18:32 PM

কালিকাপুরে সোনার গয়না চুরির অভিযোগে গ্রেপ্তার পরিচারিকা 

06:20:00 PM

মহেশতলায় দুটি গাড়ির সংঘর্ষ, আহত ৬ 
অটো এবং ৪০৭ গাড়ির মুখোমুখি সংঘর্ষে আহত ছ’জন। জানা গিয়েছে, ...বিশদ

06:18:00 PM