বিদ্যার্থীদের বেশি শ্রম দিয়ে পঠন-পাঠন করা দরকার। কোনও সংস্থায় যুক্ত হলে বিদ্যায় বিস্তৃতি ঘটবে। কর্মপ্রার্থীরা ... বিশদ
পুলিস ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, তাহেরপুর থানার বাদকুল্লার বাপুজিনগর গ্রামে সুধাংশুর স্ত্রী বছর আটকের এক ছাত্রীকে নিজের বাড়িতে পড়াতেন। অভিযোগ, দিন কয়েক আগে এক সন্ধ্যায় ওই ছাত্রীকে পড়ানোর ফাঁকে সুধাংশুবাবুর স্ত্রী কিছু কিনতে দোকানে যান। তখনই সুধাংশু শেখর সরকার বাড়ি ফাঁকা থাকার সুবাদে ওই নাবালিকা ছাত্রীর সঙ্গে অশালীন আচরণ করে বলে অভিযোগ। এরপর মেয়েটি বাড়ি ফিরে ভয়ে কাউকে কিছু বলেনি। গত শনিবার ওই নাবালিকার মা স্নান করার সময় তার মেয়ের শরীরে কিছু ক্ষত দেখে মেয়েকে জিজ্ঞাসা করলে, মেয়ে সবকিছু খুলে বলে। নাবালিকার মুখে শিক্ষিকার স্বামীর এই আচরণ শুনে উত্তেজিত হয়ে পড়েন ওই পরিবারের লোকজন ও প্রতিবেশীরা। তাঁরা ওই রাতেই অভিযুক্ত সুধাংশু শেখর সরকারের বাড়িতে চড়াও হন। সে পালাতে গেলেও উত্তেজিত জনতার হাতে ধরা পড়ে যায়। তাকে ব্যাপক মারধর করা হয়। এরপর গুরুতর আহত অবস্থায় ওই তাকে হাসপাতালে নিয়ে গিয়ে ভর্তি করানো হয়। পরে পরিবারের পক্ষ থেকে নাবালিকার বাবা তাহেরপুর থানায় ওই গৃহশিক্ষিকার স্বামী সুধাংশু শেখর সরকারের নামে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। যদিও ঘটনার কথা অস্বীকার করেছেন সুধাংশু শেখর সরকার।
অভিযোগের ভিত্তিতে পকসো আইনে মামলা শুরু হয়েছে। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে তাহেরপুর থানার পুলিস। সুধাংশু শেখর সরকারের দাদা সুদেব সরকার বলেন, কেউ বা কারা রাতে বাড়িতে এসে ভাইকে মারধর করেছে। সেটা শুনেই আমি হাসপাতালে ছুটে যাই। কী কারণে এই ঘটনা ঘটেছে সেই ব্যাপারে আমি কিছুই বলতে পারব না।