বিদ্যার্থীদের বেশি শ্রম দিয়ে পঠন-পাঠন করা দরকার। কোনও সংস্থায় যুক্ত হলে বিদ্যায় বিস্তৃতি ঘটবে। কর্মপ্রার্থীরা ... বিশদ
এদিন সকালে দু’টি বাইকে চারজন অজ্ঞাত পরিচয় দুষ্কৃতী এসে কোটলা সইদান চেকপোস্টে কর্তব্যরত দুই পুলিসকর্মীকে লক্ষ্য করে এলোপাথাড়ি গুলি চালায়। ঘটনাস্থলেই পুলিসকর্মীদের মৃত্যু হয়। তাঁদের মৃতদেহ জেলা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে আগে থেকেই বোরখা পরা এক মহিলা বসেছিলেন। মৃত পুলিসকর্মীদের দেহ নিয়ে আসা অ্যাম্বুলেন্স ঘিরে থাকা ভিড়ের মধ্যে ঢুকে আত্মঘাতী বিস্ফোরণ ঘটায় সে। বিস্ফোরণের জেরে সেখানে উপস্থিত চার পুলিসকর্মী সহ সাতজনের মৃত্যু হয়। গুরুতর আহতদের কম্বাইন মিলিটারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। মৃত জঙ্গির চুল, পায়ের অংশ উদ্ধার করে ফরেনসিক তদন্তে পাঠিয়েছে পুলিস। মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা।
জেলা পুলিস প্রধান সালিম রিয়াজ জানিয়েছেন, হামলায় প্রায় সাত থেকে আট কেজি বিস্ফোরক ব্যবহার করা হয়েছে। ওই এলাকায় এই প্রথম কোনও মহিলা আত্মঘাতী হামলা চালাল। বিষয়টি একেবারেই অপ্রত্যাশিত। হাসপাতালে ঢোকার মুখে পুলিস আগতদের তল্লাশি করে। কিন্তু এলাকার প্রথা এবং সংস্কৃতি অনুযায়ী মহিলাদের তল্লাশি করা হয় না। সেই সুযোগই নিয়েছে জঙ্গিরা। উল্লেখ্য, ডেরা ইসমাইল খান উত্তর ও দক্ষিণ ওয়াজিরিস্তান জেলার ‘গেটওয়ে’ বলে পরিচিত। দুই জেলাকে একসময় জঙ্গিদের মুক্তাঞ্চল হিসেবে ধরা হতো।