বিদ্যার্থীদের বেশি শ্রম দিয়ে পঠন-পাঠন করা দরকার। কোনও সংস্থায় যুক্ত হলে বিদ্যায় বিস্তৃতি ঘটবে। কর্মপ্রার্থীরা ... বিশদ
লন্ডন ও দ্য হেগ, ১৮ জুলাই (পিটিআই): পাকিস্তানের দিকে সর্বক্ষণ সজাগ দৃষ্টি রেখে চলেছে ভারত। আন্তর্জাতিক আদালতের নির্দেশ পালনে পাকিস্তান যদি কোনওরকম ‘প্রহসনমূলক’ পদক্ষেপ গ্রহণ করে, তবে ভারত ফের আন্তর্জাতিক আদালত অথবা রাষ্ট্রসঙ্ঘের নিরাপত্তা পরিষদের দ্বারস্থ হবে। বৃহস্পতিবার এভাবেই পরোক্ষে ইসলামাবাদকে হুঁশিয়ারি দিয়ে রাখল নয়াদিল্লি।
গত বুধবার আইসিজে’র প্রেসিডেন্ট আব্দুলকোয়াই আহমেদ ইউসুফের নেতৃত্বাধীন বেঞ্চের তরফে পাকিস্তানকে কুলভূষণ যাদবের সাজা ও মৃত্যুদণ্ড সংক্রান্ত রায় খতিয়ে দেখে পুনর্বিবেচনা করার নির্দেশ দেওয়া হয়। আদালতের সেই রায় প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে এই মামলায় ভারতের প্রতিনিধিত্ব করা প্রধান আইনজীবী হরিশ সালভে বলেন, ‘এটা আমাদের কাছে দারুণ মুহূর্ত। কুলভূষণ যাতে ন্যায্য শুনানির সুযোগ এবং সুবিচার পান, সে বিষয়ে আমরা তাঁকে সাহায্য করতে পারব।’ এই রায়ে তিনি ব্যক্তিগতভাবে সন্তুষ্ট বলেও জানান সালভে। সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে তিনি আরও জানান, পরবর্তী পদক্ষেপ হিসেবে নয়াদিল্লি এখন কুলভূষণের সঙ্গে ভারতীয় কূটনীতিকদের সাক্ষাৎ করানোর পরিকল্পনা করছে। যাতে পাক আদালতে শুনানি চলাকালীন কুলভূষণকে সম্পূর্ণ আইনি সহায়তা দেওয়া যায়। কিন্তু, পাকিস্তান যদি আইসিজে’র নির্দেশ মানতে অস্বীকার করে? এই প্রশ্নের উত্তরে নামজাদা ওই আইনজীবী বলেন, ‘যদি আদালতের নির্দেশ অমান্য করা হয়, তাহলে আমরা ফের আইসিজে’র দ্বারস্থ হতে পারি। যদি কোনও দেশ উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে আন্তর্জাতিক কোর্টের নির্দেশ অমান্য করে, তাহলে রাষ্ট্রসঙ্ঘের নিরাপত্তা পরিষদে নিষেধাজ্ঞার মতো অন্য রাস্তাও খোলা রয়েছে।’ এরপরই তাঁর সংযোজন, ‘আমি নিশ্চিত পাকিস্তান সে পথে হাঁটবে না। অন্তত পক্ষে এমনটাই আশা করছি আমি। ওদের গতিবিধির উপর আমাদের নজর রয়েছে। প্রহসনমূলক কোনও আচরণই আমাদের চোখ এড়াতে পারবে না। যদি কোনও দেশ গোপনে কাজকর্ম করে এবং সহযোগিতা করতে অস্বীকার করে, তাহলে তার জন্যও ব্যবস্থা রয়েছে।’
এদিকে, আইসিজে-তে কুলভূষণ মামলা লড়তে ভারত সরকারের কাছ থেকে মাত্র ১ টাকা পারিশ্রমিক নিয়েছেন হরিশ সালভে। যেখানে পাকিস্তান এখনও পর্যন্ত এই মামলায় কুলভূষণকে ভারতীয় চর প্রমাণ করতে ২০ কোটি টাকারও বেশি খরচ করে ফেলেছে। ২০১৭ সালের ১৫ মে ট্যুইট করে প্রথম হরিশ সালভের এই পারিশ্রমিকের কথা জানিয়েছিলেন তৎকালীন বিদেশমন্ত্রী সুষমা স্বরাজ। তিনি জানিয়েছিলেন, হেগে ভারতের প্রতিনিধিত্ব করতে মাত্র ১ টাকা পারিশ্রমিক চেয়েছেন সালভে। রিপোর্ট বলছে, এমনিতে মক্কেলদের কাছ থেকে দিনপ্রতি ৩০ লক্ষ টাকা পারিশ্রমিক নেন ভারতের এই পয়লা নম্বর আইনজীবী। অন্যদিকে, পাক সরকার গতবছর জাতীয় সংসদে বাজেট নথি পেশ করে জানিয়েছিল, এই মামলা লড়ার জন্য পারিশ্রমিক হিসেবে ব্রিটেন-নিবাসী ব্যারিস্টার খাওয়ার কুরেশিকে ২০ কোটি টাকা দিয়েছে ইসলামাবাদ। এর সঙ্গে মামলার আনুষঙ্গিক খরচ তো রয়েছেই।
গত বুধবার আইসিজে’র প্রেসিডেন্ট আব্দুলকোয়াই আহমেদ ইউসুফের নেতৃত্বাধীন বেঞ্চের তরফে পাকিস্তানকে কুলভূষণ যাদবের সাজা ও মৃত্যুদণ্ড সংক্রান্ত রায় খতিয়ে দেখে পুনর্বিবেচনা করার নির্দেশ দেওয়া হয়। আদালতের সেই রায় প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে এই মামলায় ভারতের প্রতিনিধিত্ব করা প্রধান আইনজীবী হরিশ সালভে বলেন, ‘এটা আমাদের কাছে দারুণ মুহূর্ত। কুলভূষণ যাতে ন্যায্য শুনানির সুযোগ এবং সুবিচার পান, সে বিষয়ে আমরা তাঁকে সাহায্য করতে পারব।’ এই রায়ে তিনি ব্যক্তিগতভাবে সন্তুষ্ট বলেও জানান সালভে। সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে তিনি আরও জানান, পরবর্তী পদক্ষেপ হিসেবে নয়াদিল্লি এখন কুলভূষণের সঙ্গে ভারতীয় কূটনীতিকদের সাক্ষাৎ করানোর পরিকল্পনা করছে। যাতে পাক আদালতে শুনানি চলাকালীন কুলভূষণকে সম্পূর্ণ আইনি সহায়তা দেওয়া যায়। কিন্তু, পাকিস্তান যদি আইসিজে’র নির্দেশ মানতে অস্বীকার করে? এই প্রশ্নের উত্তরে নামজাদা ওই আইনজীবী বলেন, ‘যদি আদালতের নির্দেশ অমান্য করা হয়, তাহলে আমরা ফের আইসিজে’র দ্বারস্থ হতে পারি। যদি কোনও দেশ উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে আন্তর্জাতিক কোর্টের নির্দেশ অমান্য করে, তাহলে রাষ্ট্রসঙ্ঘের নিরাপত্তা পরিষদে নিষেধাজ্ঞার মতো অন্য রাস্তাও খোলা রয়েছে।’ এরপরই তাঁর সংযোজন, ‘আমি নিশ্চিত পাকিস্তান সে পথে হাঁটবে না। অন্তত পক্ষে এমনটাই আশা করছি আমি। ওদের গতিবিধির উপর আমাদের নজর রয়েছে। প্রহসনমূলক কোনও আচরণই আমাদের চোখ এড়াতে পারবে না। যদি কোনও দেশ গোপনে কাজকর্ম করে এবং সহযোগিতা করতে অস্বীকার করে, তাহলে তার জন্যও ব্যবস্থা রয়েছে।’
এদিকে, আইসিজে-তে কুলভূষণ মামলা লড়তে ভারত সরকারের কাছ থেকে মাত্র ১ টাকা পারিশ্রমিক নিয়েছেন হরিশ সালভে। যেখানে পাকিস্তান এখনও পর্যন্ত এই মামলায় কুলভূষণকে ভারতীয় চর প্রমাণ করতে ২০ কোটি টাকারও বেশি খরচ করে ফেলেছে। ২০১৭ সালের ১৫ মে ট্যুইট করে প্রথম হরিশ সালভের এই পারিশ্রমিকের কথা জানিয়েছিলেন তৎকালীন বিদেশমন্ত্রী সুষমা স্বরাজ। তিনি জানিয়েছিলেন, হেগে ভারতের প্রতিনিধিত্ব করতে মাত্র ১ টাকা পারিশ্রমিক চেয়েছেন সালভে। রিপোর্ট বলছে, এমনিতে মক্কেলদের কাছ থেকে দিনপ্রতি ৩০ লক্ষ টাকা পারিশ্রমিক নেন ভারতের এই পয়লা নম্বর আইনজীবী। অন্যদিকে, পাক সরকার গতবছর জাতীয় সংসদে বাজেট নথি পেশ করে জানিয়েছিল, এই মামলা লড়ার জন্য পারিশ্রমিক হিসেবে ব্রিটেন-নিবাসী ব্যারিস্টার খাওয়ার কুরেশিকে ২০ কোটি টাকা দিয়েছে ইসলামাবাদ। এর সঙ্গে মামলার আনুষঙ্গিক খরচ তো রয়েছেই।
