বিদ্যার্থীদের বেশি শ্রম দিয়ে পঠন-পাঠন করা দরকার। কোনও সংস্থায় যুক্ত হলে বিদ্যায় বিস্তৃতি ঘটবে। কর্মপ্রার্থীরা ... বিশদ
লোকসভা নির্বাচন ইস্তক রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে গেরুয়া শিবিরে গা ভাসিয়ে দেওয়া প্রাক্তন বাম আর ডানপন্থীরা এখন সরব হয়েছে কাটমানি ইস্যুতে। বিভিন্ন এলাকায় শুধুমাত্র অভিযোগ সম্বলিত পোস্টার সেঁটেই ঘেরাও করা হচ্ছে শাসকদলের নেতাদের ঘরবাড়ি। বিষয়টি নিয়ে বিজেপি শিবির যে অহেতুক জলঘোলা করছে, এদিন সেই অভিযোগ তুলে কাটমানি শব্দের ব্যবহারিক সংজ্ঞাও দিয়েছেন তৃণমূল সুপ্রিমো। তিনি বলেন, সরকারের নানা প্রকল্প। ছোট ছোট এই কাজগুলির সুবিধা যাতে মানুষ পায়, তার জন্য বলেছিলাম, দেখবেন কেউ যেন ভাগ (পড়ুন কাটমানি) না বসায়। একটা মহৎ উদ্দেশ্যে বলেছিলাম। আর সেটাকে বিকৃত করে বিজেপি নেতারা বাড়ি বাড়ি গিয়ে বলছেন, টাকা ফিরিয়ে দাও। গলার স্বর সপ্তমে চড়িয়ে মমতার প্রশ্ন, ৩৪ বছর ধরে পুরসভা, পঞ্চায়েত চালিয়েছিল সিপিএম। এমপি, এমএলএ সব ওদের। ক’টাকা ফিরিয়েছে সিপিএম? ব্ল্যাকমানির হিসেব দাও বিজেপি। ফিরিয়ে দাও ১৫ লক্ষ টাকা করে ব্ল্যাকমানি। তারপর গেরুয়া ঝান্ডা কাঁধে নিয়ে ঘোরো। তৃণমূল সুপ্রিমোর অভিযোগ, লক্ষ-লক্ষ, কোটি-কোটি টাকা খরচ করে নির্বাচন। ফাইভ স্টার পার্টি অফিস! কোথা থেকে পেলে এত টাকা? জনগণের টাকা ফিরিয়ে দাও, ফিরিয়ে দাও, ফিরিয়ে দাও।
বিজেপি বিরোধী ঝাঁঝ ছিল জমায়েতের মুডেও। সেটা উপলব্ধি করে ফের গেরুয়া শিবিরকে ‘কাটমানি’ বাণে বিঁধলেন তিনি। তাঁর কথায়, গামছা কাঁধে নিয়ে একজন বিজেপি নেতা জ্ঞান দিয়ে বেড়াচ্ছেন। আগে উজালা কাটমানির হিসেব দাও। এলপিজি আর পেট্রল পাম্পের নামে কত টাকা কাটমানি তোলা হয়েছে? এখানে মুর্শিদাবাদের যাঁরা আছেন, তাঁরা তো জানেন, কী হয়েছে সেখানে। গ্যাস আর পেট্রল পাম্প পাইয়ে দেওয়ার নামে সেখানে কত টাকা লেনদেন হয়েছে গামছাবাবু? এসব যে তাঁর কথা নয়, বিজেপি শিবিরকে সে কথা স্মরণ করিয়ে দিয়ে মমতা বলেন, এসব তো আপনাদের কর্মীদের কাছ থেকেই পাওয়া তথ্য। কী দেব নাকি সব বের করে! অনেক অভিযোগ এসেছে, এবার উজালা নিয়ে তদন্ত হোক। তৃণমূল সুপ্রিমোর অভিযোগ, ওদের (বিজেপি) কাছে আনঅ্যাকাউন্টেড টাকা রয়েছে। ফরেনমানি কত টাকা পেয়েছ? অন্যের ক্ষেত্রে দোষ, নিজের জন্য ছাড়! ফরেনমানি নিয়ে আইন করে ছাড়পত্র জুটিয়ে নিয়েছ। এসবের জবাব চাই, জবাব দাও।
রোজভ্যালিকাণ্ডে জেরার জন্য ফের টলিপাড়ার একঝাঁক তারকাকে ডাকাডাকি শুরু করেছে ইডি। সেই প্রসঙ্গ উত্থাপন করে মমতা বলেন, শতাব্দী আমায় জানাল, ওকে ডাকা হয়েছে। প্রসেনজিৎকে ডেকেছে, ঋতুপর্ণাকেও ডেকেছে। শ্লেষের সুর মমতার গলায়— এঁকে ওঁকে ডেকে বলা হচ্ছে, বিজেপি নেতাদের সঙ্গে যোগাযোগ করুন। না করলে কী হবে! সুদীপ আর তাপস! তাঁর হুঙ্কার— তিল তিল করে তৃণমূল গড়েছি। আমাকে ইডি বা সিবিআই অ্যারেস্ট করলেও, তৃণমূল ছেড়ে কোথাও যাব না। ফের করতালি সভাস্থলে।