বিদ্যার্থীদের বেশি শ্রম দিয়ে পঠন-পাঠন করা দরকার। কোনও সংস্থায় যুক্ত হলে বিদ্যায় বিস্তৃতি ঘটবে। কর্মপ্রার্থীরা ... বিশদ
এদিন প্রখর তাপপ্রবাহের মধ্যে ২১ জুলাইয়ের মঞ্চ থেকে বিজেপি’কে কড়া হাতে আক্রমণের পাশাপাশি দলীয় কর্মীদের কীভাবে আন্দোলন করতে হবে, মমতা তার সুর বেঁধে দেন। তিনি দলীয় কর্মীদের জন্য আগামী পুজো পর্যন্ত ঠাসা কর্মসূচি ঘোষণা করেন। তিনি জানিয়েছেন, আগামী তিনমাস ধরেই জনসংযোগ কর্মসূচি চলবে। ২৬ ও ২৭ জুলাই রাজ্যের প্রতিটি ব্লকে ব্ল্যাকমানি ফেরানোর দাবিতে মিটিং মিছিল করবেন দলীয় কর্মীরা। সেই সঙ্গে ২৭ জুলাই নানুর দিবস পালন করা হবে। বাম আমলে ওই দিন নানুরে গণহত্যা হয়েছিল। ওইদিন প্রতিবাদ দিবস পালন হবে বীরভূমের নানুরে। এরপর ২৯ জুলাই প্রতি বুথে জনসংযোগ কর্মসূচি পালন করবেন বুথের কর্মীরা।
দলীয় কর্মসূচি পালনের সঙ্গে সঙ্গে জেলাওয়ারি প্রশাসনিক বৈঠকও তিনি শুরু করবেন বলে জানিয়ে দিলেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি আগামী ২৬ জুলাই মধ্যমগ্রামে উত্তর ২৪ পরগনা জেলার প্রশাসনিক বৈঠক করবেন। সেদিন থেকেই তিনি জেলাস্তরের প্রশাসনিক বৈঠক ফের শুরু করবেন। এরপর একে একে প্রতিটি জেলাতেই হবে তাঁর প্রশাসনিক বৈঠক। গত সাত বছর ধরে গোটা নবান্ন নিয়ে জেলায় জেলায় হাজির হচ্ছেন মমতা, সেই জেলার সব কাজের অগ্রগতি নিয়ে আলোচনা করছেন। ইতিমধ্যে দেড়শোর বেশি প্রশাসনিক বৈঠক করেছেন মুখ্যমন্ত্রী।
ব্রিটিশদের বিরুদ্ধে ভারত ছাড় আন্দোলনের ডাক দিয়েছিলেন গান্ধীজি। সেই থেকে ৯ আগস্ট ওই আন্দোলন হয়। তার সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখেই এবার বিজেপি বাংলা ছাড়ো স্লোগান তুলে ৯ আগস্ট পালন হবে বলে জানিয়ে দিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন, ১৪ আগস্ট মধ্যরাতে স্বাধীনতা দিবস পালন করা হবে। ১৫ আগস্টও রাজ্য জুড়ে স্বাধীনতা দিবস পালন অনুষ্ঠান করবে তৃণমূল। ২৮শে আগস্ট তৃণমূল ছাত্র পরিষদের জন্মদিবস। মেয়ো রোডের অনুষ্ঠানে আমি থাকব। প্রতিবারের মতো রাখিবন্ধন উত্সবও পালন করা হবে। ৫ সেপ্টেম্বর পালিত হবে শিক্ষক দিবস। আমরা শিক্ষক-শিক্ষিকাদের সম্মান করি। সেদিন তাঁদের সম্বর্ধনা জানানো হবে। ২৬ সেপ্টেম্বর বিদ্যাসাগরের জন্মদিন। এবার তাঁর জন্মের দু’শো বছর। এর জন্য নানা অনুষ্ঠান হবে। আমি নিজে তাঁর জন্মস্থানে যাব। ২ অক্টোবর গান্ধীজির ১৫০ তম জন্মবার্ষিকী আমরা পালন করব। এর পর দুর্গাপুজো, কালীপুজো। আমরা প্রতিবারের মতো এবারও পুজো করব, পুজোয় থাকব।