বিদ্যার্থীদের বেশি শ্রম দিয়ে পঠন-পাঠন করা দরকার। কোনও সংস্থায় যুক্ত হলে বিদ্যায় বিস্তৃতি ঘটবে। কর্মপ্রার্থীরা ... বিশদ
ধর্মতলায় তৃণমূলের সমাবেশে ব্যাপক ভিড়ের আশঙ্কা করেই শহর কলকাতায় ট্রাফিক সামলাতে বিশেষ পরিকল্পনা তৈরি করা হয়। এই নিয়ে নগরপাল বৈঠকও করেন। সেই মতো রবিবার যে সমস্ত রাস্তা দ্বিমুখী থাকে সেগুলিকে একমুখী করে দেওয়া হয়। যাতে ওইসব রাস্তার একদিক দিয়ে মিছিল যেতে পারে, বাকি অংশ দিয়ে গাড়ি চালানো সম্ভব হয়। সেই সঙ্গে এদিন ভোর থেকেই রাস্তায় নামেন ট্রাফিক বিভাগের কয়েক হাজার পুলিসকর্মী। যে সমস্ত প্রান্ত থেকে মিছিল আসবে, সেইসব রাস্তায় অফিসারদের দায়িত্ব দেওয়া হয়। সঙ্গে ছিলেন পদস্থ কর্তারা।
আশঙ্কা করা হচ্ছিল, মিছিলের কারণে উত্তর কলকাতা, হাওড়া, শিয়ালদহে ট্রাফিকের গতি কমবে। আটকে থাকতে হবে ছোটবড় গাড়িগুলিকে। সেন্ট্রাল অ্যাভিনিউ, বিধান সরণী, মৌলালি মোড়, আচার্য জগদীশচন্দ্র বসু ও জওহরলাল নেহরু রোডের একাংশে সকাল থেকে যানজট হয়। এই সমস্ত রাস্তায় বাস ও লরি পার্কিং করা হয়। যে কারণে রাস্তা অনেকটা ছোট হয়ে পড়ে। ফলে গাড়ির গতি কমে যায়। বেশ কিছুক্ষণের জন্য গাড়ির লাইন পড়ে যায় এই রাস্তাগুলিতে। বেলায় মিছিল শুরু হওয়ার পর ধর্মতলাগামী গাড়ি সেন্ট্রাল অ্যাভিনিউ দিয়ে না পাঠিয়ে অন্য রাস্তা দিয়ে ঘুরিয়ে দেওয়া হয়। শ্যামবাজার থেকে আচার্য প্রফুল্লচন্দ্র রোড ধরে যে সমস্ত গাড়ি শিয়ালদহের দিকে গিয়েছে, তাদেরও তেমন যানজটে পড়তে হয়নি। মৌলালি মোড়ে মিছিলকারীদের বাস থাকায় ও শিয়ালদহ থেকে মিছিল আসার কারণে ওই এলাকায় যানজট হয় অনেকক্ষণ। এস এন ব্যানার্জি রোড গাড়ি চলাচলের জন্য বন্ধ করে দেওয়া হয়। ফলে এই এলাকায় গাড়ির গতি বেশ কিছুটা শ্লথ হয়ে পড়ে। বেলা গড়ানোর পর এই রাস্তা অবশ্য স্বাভাবিক হয়ে যায়। হাওড়া স্টেশন থেকে ব্রাবোর্ন রোড ধরে ডালহৌসি আসার রাস্তাও ছিল তুলনামূলকভাবে ফাঁকা। মিছিল চলে যাওয়ার পর ফাঁকা হয়ে গিয়েছে স্ট্র্যান্ড রোড ও ব্রাবোর্ন রোড। দক্ষিণ কলকাতার এস পি মুখার্জি রোড ও হরিশ মুখার্জি রোডে, মিন্টো পার্কে, শরৎ বোস রোডের মতো রাস্তায় গাড়ি চলেছে স্বাভাবিক গতিতে। বড় ধরনের কোনও যানজট দেখা যায়নি এই এলাকায়। এমনকী বাইপাসে সকালের দিকে মিছিলের গাড়ি আসার জন্য গাড়ির গতি কমে গেলেও বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গেই যানজট কমে যায়। শাসকদলের তরফে বিপুল সংখ্যায় বাস ভাড়া নেওয়া হয় এদিন। যে কারণে রাস্তায় বাসের সংখ্যা ছিল হাতেগোনা। তার উপর রবিবার ছিল অফিস আদালত বন্ধ। শহরে আসেনি বিপুল সংখ্যায় মানুষ। তাই যান সামলাতে বিশেষ বেগ পেতে হয়নি পুলিসকে।
যানশাসন দক্ষ হাতে করলেও এদিন শাসকদলের পতাকা নিয়ে হেলমেটহীন বাইক চালকদের দাপাদাপি ছিল চোখে পড়োর মতো। অধিকাংশ বাইকেই ছিলেন তিনজন। মেয়ো রোড, পার্ক স্ট্রিট, রবীন্দ্র সদন সহ কলকাতার বিভিন্ন জায়গায় তাঁরা বেপরোয়া গতিতে হেলমেট ছাড়া পুলিসের সামনে দিয়ে বাইক চালিয়ে গিয়েছেন। দেখেও কোনও ব্যবস্থা নেয়নি পুলিস। শাসকদলের ঝান্ডা থাকার সুবাদেই যে এই ছাড়, তা নিয়ে চর্চা শুরু হয়েছে বিভিন্ন মহলে।