উচ্চবিদ্যার ক্ষেত্রে বাধার মধ্য দিয়ে অগ্রসর হতে হবে। কর্মপ্রার্থীদের ক্ষেত্রে শুভ যোগ। ব্যবসায় যুক্ত হলে ... বিশদ
হোটেলের তরফে জেনারেল ম্যানেজার গৌরব সিং জানালেন যে অতিথিদের স্বাস্থ্যবিধি ও সুরক্ষার কথা মাথায় রেখে চূড়ান্ত সর্তকতা অবলম্বন করা হয়েছে। ক্রমশ অতিথিদের ভিড়ও বাড়ছে। প্রথমেই অতিথির থার্মাল স্ক্রিনিং করা হয়। এছাড়া অতিথিদের মাস্ক, গ্লাভস পরে হোটেলে প্রবেশ করা বাধ্যতামূলক। লাগেজ স্ক্যানারে দেওয়ার আগে তা জীবাণুমুক্ত করে নেওয়া হয়। হোটেলের সর্বত্র স্যানিটাইজ করা হয়। হোটেলের কর্মীদের থেকে অতিথিদের এক মিটার দূরত্ব রাখা বাঞ্ছনীয়। ডিজিটাল মেনু চালু করা হয়েছে। চেক ইন, চেক আউট মোবাইলের সাহায্যে করা হয়। হাইজিন ম্যানেজারের তত্ত্বাবধানে হোটেলের প্রতিটি জায়গা থেকে অতিথি পরিষেবার পরিবহণের গাড়ি পর্যন্ত স্যানিটাইজ করা হয়। অতিথিদের ঘরে ডিজিটাল খবরের কাগজ রাখার ব্যবস্থা রয়েছে। এখানে এখন শুধুই আ-লা-কার্ট মেনুর ব্যবস্থা করা হয়েছে। এখানে কর্মীদের জন্য যে পরিবহণের ব্যবস্থা রয়েছে, সেখানে চালক, গাড়ি সবই স্যানিটাইজ করা হয়। হোটেলের সময়সীমা বেলা ১১টা থেকে রাত ৮.৩০ পর্যন্ত।
দ্য ললিত গ্রেট ইস্টার্ন কলকাতা
সরকারি বিধি-নিষেধের পাশাপাশি হু-এর নিরাপত্তা পরিমাপের যা যা নির্দেশিকা রয়েছে, সেই অনুযায়ী এখানে অতিথি পরিষেবার ব্যবস্থা করা হয়েছে। হোটেলের কর্মী থেকে অতিথি, সবার থার্মাল স্ক্রিনিং হয়। অতিথিদের মাস্ক পরা আবশ্যক। ছয় ফুট দূরত্ব বজায় রেখে অতিথির মালপত্র থেকে গাড়ি স্যানিটাইজ করা হয়। হোটেলে চেক ইন এবং চেক আউটের সময় পরিবর্তন হয়নি। চেক আউটের পরে আটচল্লিশ ঘণ্টা ঘর স্যানিটাইজ করে রাখা হয়। খাবার পরিবেশন করা হয় জীবাণুমুক্ত পাত্রে। এঁদের অল ডে ডিনার রেস্তরাঁ আলফ্রেসকোতে বসে খাওয়ার এবং হোম ডেলিভারির ব্যবস্থা চালু রয়েছে। আ-লা-কার্ট মেনুও চালু আছে। রেস্তরাঁয় রাত ন’টায় শেষ অর্ডার নেওয়া হয়। এখন বেকারি খোলা। এঁদের হেলদি তুলসী ব্রেডের এখন ভীষণ চাহিদা, জানালেন জেনারেল ম্যানেজার দিলীপ মিশ্র।
হলিডে ইন কলকাতা এয়ারপোর্ট
হোটেলের তরফ থেকে জানা গেল যে ফুড প্রোডাকশনের এফএসএসএআই -এর গাইডলাইন এবং সরকারি নির্দেশিকা অনুযায়ী হোটেলের সর্তকতা অবলম্বন করা হয়েছে। এখানে প্রতিটি ঘর স্যানিটাইজ করা হয়। অতিথিকে এখানে থার্মাল স্ক্রিনিং করা হয়। রেস্তরাঁর ভিতরে প্রবেশের মুখেই দ্বিতীয়বার আবার হাত স্যানিটাইজ করা হয়। সেই সঙ্গে অতিথিদের ব্যাগও স্যানিটাইজ করা হয়। রুম সার্ভিসের ক্ষেত্রে ডিসপোজেবল প্লেট ব্যবহার করা হয়। এখানে টেলিভিশনে কিউআর কোডের মাধ্যমে মেনু এখন চালু করা হয়েছে। কোনও স্পর্শ পরিষেবা নেই।
হোটেলের প্রত্যেক কর্মী গ্লাভস -মাস্ক পরা অবস্থায় অতিথিদের পরিষেবা দিচ্ছেন। সেই সঙ্গে যাঁরা পাবলিক এরিয়াতে দেখভালের দায়িত্বে রয়েছেন তাঁরা মাস্ক, গ্লাভস ও ফেস শিল্ড ব্যবহার করছেন। এখন এঁদের অল ডে ডাইনিং রেস্তরাঁর কিচেন চালু হয়েছে। এখানে নতুন মেনু লঞ্চ করেছে— কম্বো মেনু, ওয়েলকাম অফার মেনু, পিৎজা অ্যান্ড পাস্তা মেনু ইত্যাদি। পাশাপাশি নিয়মিত এঁদের আ-লা-কার্ট মেনু চালু রয়েছে। রেস্তরাঁ থেকে রুম সার্ভিস সর্বত্রই ডিজিটাল মেনু ও পেমেন্টের ব্যবস্থা করা হয়েছে। প্রতিদিন এঁদের রেস্তরাঁ সকাল ৬.৩০-রাত ৯.৩০ মিনিট পর্যন্ত খোলা থাকে। লকডাউনের পর এখন এঁদের অতিথি সংখ্যা প্রায় পঞ্চাশ-ষাট শতাংশ কমে গিয়েছে। আপাতত আরবান কিচেন কাম বার বন্ধ আছে।
চাউম্যান রেস্তরাঁ
এই রেস্তরাঁয় জ্বর,সর্দি, কাশি ছাড়াও কোনও বড় ব্যাগ বা হেলমেট নিয়ে অতিথিদের প্রবেশ নিষেধ। রেস্তরাঁর বাইরেই হ্যান্ড স্যানিটাইজার দিয়ে হাত স্যানিটাইজ করার পর ব্যাগ ও জুতোর নীচ স্যানিটাইজ করা হয়। এরপর থার্মাল স্ক্রিনিং। মেনু কার্ড হোয়াটসঅ্যাপে পাঠিয়ে দেওয়া হয়। এরপর অতিথিকে একটি ফোন নম্বর দেওয়া হয়। টেবিলে বসে ওই নম্বরের মাধ্যমে খাবার অর্ডার দিতে হয়। এখানে শেফ ও ওয়েটার সকলেই টুপি, মাস্ক, ফেস শিল্ড, গ্লাভস পড়ে অতিথিদের খাবার পরিবেশন করেন। ডিসপোজেবল বাসনপত্রে খাবার পরিবেশন করা হয়। এরপর ডিজিটালে বিল পেমেন্ট করা হয়। তবে কিছু ক্ষেত্রে ক্যাশ ও কার্ডের চলন রয়েছে। এঁদের স্পেশাল ডিশ চাউম্যান স্পেশাল স্যুপ, কুংপাও চিকেন, জাম্বো লবস্টার, রোস্টেড চিলি পর্ক ইত্যাদি মিলবে। দুপুর ১২ থেকে রাত ৯ টা পর্যন্ত রেস্তরাঁ খোলা।