উপার্জন বেশ ভালো হলেও ব্যয়বৃদ্ধি পাওয়ার কারণে সঞ্চয় তেমন একটা হবে না। শরীর খুব একটা ... বিশদ
ওয়াকিবহাল মহলের মতে, বিতর্ক এড়াতেই এবার দিলীপবাবুর শিক্ষাগত যোগ্যতা ‘কমে গিয়েছে’। এব্যাপারে তিনি অবশ্য বলেন, গতবার তথ্য ভুল লেখা হয়েছিল। এবার ঠিক করে লেখা হয়েছে। সব নথিও দেওয়া হয়েছে। তৃণমূলের জেলা সভাপতি অজিত মাইতি বলেন, এতেই প্রমাণ হয় দিলীপবাবু সত্যি বলেন না। আরএসএস বাজারে কেমন মানুষ উপহার দিচ্ছে, সবাই দেখতে পাচ্ছে।
আগামী ১২মে মেদিনীপুর লোকসভা কেন্দ্রে ভোট। নিয়ম অনুযায়ী, নির্বাচন কমিশনে সম্পত্তি, আয়ের হলফনামা দাখিল করছেন প্রার্থীরা। শনিবার হলফনামা দাখিল করেন মেদিনীপুরের বিজেপি প্রার্থী দিলীপবাবু। পাশাপাশি তাঁর সম্পত্তির বিস্তারিত তথ্য, শিক্ষাগত যোগ্যতার তথ্যও দেন। তাঁর নামে থাকা ফৌজদারি মামলার ব্যাপারেও বিস্তারিত জানাতে হয়েছে তাঁকে। ভারতীয় দণ্ডবিধির একাধিক ধারায় তাঁর নামে মামলা রয়েছে।
দিলীপবাবু ২০১৬ সালে বিধানসভা ভোটের আগে নির্বাচন কমিশনের কাছে নিজের শিক্ষাগত যোগ্যতা নিয়ে হলফনামা দিয়েছিলেন। নির্বাচন কমিশনকে দেওয়া সেই হলফনামায় বিজেপির রাজ্য সভাপতির শিক্ষাগত যোগ্যতা নিয়ে বিতর্ক তৈরি হয়। বিধানসভা ভোটের সময় দিলীপবাবু হলফনামায় জানিয়েছিলেন, ঝাড়গ্রাম পলিটেকনিক কলেজ থেকে তিনি ডিপ্লোমা করেছেন। কিন্তু ওই নামে কোনও কলেজ ঝাড়গ্রামে নেই। দিলীপবাবু বলেন, ঝাড়গ্রামের সেবায়তনে যে পলিটেকনিক কলেজ রয়েছে, তিনি সেটির কথাই বোঝাতে চেয়েছিলেন। তথ্যের অধিকার আইনে দিলীপবাবুর শিক্ষাগত যোগ্যতার তথ্য চান বিজেপি থেকে বহিষ্কৃত নেতা অশোক সরকার। সেবায়তনের ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর পলিটেকনিকের অধ্যক্ষ চিঠি দিয়ে তাঁকে জানান, ১৯৭৫ থেকে ১৯৯০ সালের মধ্যে সেখান থেকে দিলীপবাবু কোনও ডিপ্লোমা করেননি।
এবার তিনি আর ওই কলেজের কথাই উল্লেখ করেননি। যদিও নির্বাচন কমিশনের কাছে এমন ভুল তথ্য দেওয়া যায় কি না, তা নিয়েও শাসকদল আবারও প্রশ্ন তুলতে শুরু করেছে। এর আগে ২০১৮ সালে কোনও জনপ্রতিনিধি নির্বাচন কমিশনের কাছে মিথ্যা হলফনামা জমা দিতে পারেন কি না, সেই প্রশ্ন তুলেছিলেন কলকাতা হাইকোর্টের তৎকালীন প্রধান বিচারপতি জ্যোতির্ময় ভট্টাচার্য। রাজ্য বিজেপি-র সভাপতি দিলীপ ঘোষের শিক্ষাগত যোগ্যতা নিয়ে দায়ের হওয়া জনস্বার্থ মামলার শুনানিতেই প্রশ্ন তিনি তুলেছিলেন।
এদিকে, এফআইআরের সংখ্যায় ঘাটালের প্রার্থী ভারতী ঘোষকেও ছাড়িয়ে গিয়েছেন দিলীপবাবু। ভারতীর বিরুদ্ধে রয়েছে ১১টি এফআইআর, আর দিলীপবাবুর বিরুদ্ধে এফআইআর আছে ১৪টি। হাওড়া, উত্তর দিনাজপুর, কলকাতা, পুরুলিয়া, পশ্চিম বর্ধমান, পশ্চিম মেদিনীপুর, ঝাড়গ্রামের মতো একাধিক জেলায় একাধিক থানায় তাঁর নামে মামলা রয়েছে। জানা গিয়েছে, দিলীপবাবুর হাতে রয়েছে ২১ হাজার ৮৭০টাকা। স্থাবর সম্পত্তি রয়েছে ৩২ লক্ষ টাকার। অস্থাবর সম্পত্তির পরিমাণ ৪০ হাজার টাকা। তবে এসব ছাপিয়ে এখন একমাত্র আলোচ্য হয়ে উঠেছে তাঁর শিক্ষাগত যোগ্যতা।