উপার্জন বেশ ভালো হলেও ব্যয়বৃদ্ধি পাওয়ার কারণে সঞ্চয় তেমন একটা হবে না। শরীর খুব একটা ... বিশদ
গত বছর গণতন্ত্র বাঁচাও যাত্রার নাম করে বাংলায় রথ যাত্রার ডাক দিয়েছিল বিজেপি। দলের সর্বভারতীয় সভাপতি অমিত শাহর হাত দিয়ে তারাপীঠ থেকে তার সূচনা হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু, অন্য রাজ্যে নির্বচনী প্রচারে ব্যস্ততা পরে শারীরিক অসুস্থতার কারণে তিনি এখানে কোনও রাজনৈতিক কর্মসূচিতে থাকতে পারেননি। এরপর রামপুরহাটে জনসভায় আসার কথা থাকলেও গরহাজির থেকেছেন এই নেতা। এবার লোকসভা ভোটেও সিউড়িতে মাঠের সমস্যার জন্য তাঁর নির্বাচনী জনসভা নিয়ে অনিশ্চয়তা দেখা যায়। অবশেষে সব জট কাটিয়ে মহম্মদবাজার ব্লকের গণপুরে অমিত শাহর সভা হতে চলেছে। এখানেই পঞ্চায়েত নির্বাচনে নিজেদের অস্তিত্ব জানিয়েছিল বিজেপি। স্থানীয় গণপুর পঞ্চায়েতও তারা দখল করেছে। রামপুর পঞ্চায়েতে তৃণমূলের সমসংখ্যক আসন বিজেপি দখল করায় সেখানে এখনও বোর্ড গঠন হয়নি। পঞ্চায়েত ভোটে শাসক দলকে প্রতিরোধে ফেলা মহম্মদবাজার থেকেই দলের সভাপতিকে দিয়ে আক্রমণ শানাতে চাইছে বিজেপি।
সভাস্থলের প্রস্তুতি প্রায় সারা। তবে হেলিপ্যাড নিয়ে কিছুটা জটিলতা সৃষ্টি হয়। প্রথমে অনেকে রামপুরহাটে হেলিপ্যাড করার কথা ভেবেছিলেন। পরে অবশ্য গণপুরেই অমিত শাহের জন্য হেলিপ্যাড প্রস্তুত করা হয়েছে। কাঠফাটা গরমে সভায় আসা কর্মী-সমর্থকদের মুখে পর্যাপ্ত পানীয় জল তুলে দেওয়ার ব্যবস্থাও করা হয়েছে। দলীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ট্যাঙ্কারের পাশাপাশি ২৫ হাজার জলের পাউচ সভার জন্য আনা হয়েছে।
সভার প্রস্তুতি শেষ হয়ে গেলেও মাঠে লোক আনতে গিয়ে গেরুয়া শিবির হিমশিম খাচ্ছে। বিজেপি জেলা নেতৃত্বর দাবি, জেলা থেকে কেউ বাস দিতে চাইছে না। তাই আসানসোলের পাশাপাশি পার্শ্ববর্তী ঝাড়খণ্ড থেকেও বাস আনা হবে। বীরভূম লোকসভার বিজেপি কনভেনার শুভ্রাংশু চৌধুরী বলেন, আমাদের বাস পেতে সমস্যা হচ্ছে। তাই কিছু মণ্ডল সভাপতি ঝাড়খণ্ড থেকেও বাস আনার প্রস্তুতি নিয়েছেন। সভার সব রকম প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে।
এদিকে মহম্মদবাজারের তৃণমূল ব্লক সভাপতি তাপস সিনহা কটাক্ষ করে বলেন, সংগঠন নেই, লোক নেই, সভা ভরাতে তো ঝাড়খণ্ডই ওদের ভরসা।
ইলামবাজারের তৃণমূল ব্লক সভাপতি ফজলুল রহমান বলেন, মোদির সভায় সারা রাজ্য এমনকী ঝাড়খণ্ড থেকেও লোক আনছে ওরা। আর আমরা অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যয়ের সভার মাঠ ব্লকের লোকদের নিয়েই ভরাব।
এদিনই ইলামবাজারে বোলপুরের দলীয় প্রার্থী অসিত মালের সমর্থনে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সভা রয়েছে। সেখানে নীলডাঙা ফুটবল মাঠেও সভার সব প্রস্তুতি সারা হয়ে গিয়েছে। প্রতিটি পঞ্চায়েতকে লোক আনার টার্গেট বেঁধে দিয়েছে শাসক শিবির। তারা চাইছে রেকর্ড লোকসমাগম করে বিরোধীদের বার্তা দিতে। এই বাড়তি উদ্যোগের অন্যতম কারণ এখানেই সভা করতে আসছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।
যদিও দু’দলকেই চিন্তায় রেখেছে আবহাওয়ার খাম খেয়ালিপনা। ঝড়-বৃষ্টির হাত থেকে কর্মী-সমর্থকদের বাঁচাতে মাথায় আচ্ছাদনের ব্যবস্থা করেছে তৃণমূল। এতে প্রখর রোদ হলেও মানুষের অস্বস্তি হবে না। তবে বাঁশের মণ্ডপ ভেঙে পড়ার আশঙ্কায় অবশ্য অমিত শাহর সভায় তেমন কোনও আচ্ছাদন থাকছে না। তাঁর সভা হবে খোলা মাঠেই।