উপার্জন বেশ ভালো হলেও ব্যয়বৃদ্ধি পাওয়ার কারণে সঞ্চয় তেমন একটা হবে না। শরীর খুব একটা ... বিশদ
জেলাশাসক পি মোহন গান্ধী বলেন, শোকজের জবাব সকলকেই দিতে হচ্ছে। আমরা সবটাই খতিয়ে দেখছি। যাঁদের সত্যিই সমস্যা আছে, তাঁদের জোর করে দায়িত্ব পালন করানো হচ্ছে না। তবে যাঁদের শোকজের জবাবে আমরা সন্তুষ্ট হইনি, তাঁদের রবিবার হাজির হতে বলেছিলাম। এর জন্য দুই অতিরিক্ত জেলাশাসককে নিয়ে একটি বোর্ডও গঠন করা হয়েছে।
জেলা প্রশাসন সূত্রে খবর, মাইক্রো অবজার্ভারের দায়িত্ব সাধারণত কেন্দ্রীয় সরকারের কর্মচারীদের দেওয়া হয়। সেই মতো খড়্গপুর আইআইটির কর্মী অরিজিৎ কুমারের কাছেও ভোটের দায়িত্ব পালনে চিঠি যায়। ১৩ এপ্রিল তাঁকে প্রথম প্রশিক্ষণের জন্য হাজির হতে বলা হয়েছিল। কিন্তু তিনি অনুপস্থিত ছিলেন। এরপর তাঁকে শো কজ করা হয়।
১৮ এপ্রিল তাঁর উত্তরে তিনি জানিয়েছেন, এবারের ভোটেও চারিদিকে হিংসা, হানাহানির ঘটনা ঘটছে, যাতে প্রাণহানি হচ্ছে। তিনি তাঁর পরিবারের একমাত্র আয়ের উৎস। তাঁর একটি একটি রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কের বিমা আছে। এধরনের ক্ষেত্রে তাঁর কিছু হয়ে গেলে তাঁর পরিবার সমস্ত সুযোগ সুবিধা থেকে বঞ্চিত হবেন। যদিও তাঁর এই যুক্তি জেলাপ্রশাসনের কর্তাদের কাছে সন্তোষজনক মনে হয়নি। জেলার পিপি সেলের এক কর্তা বলেন, এমন অনেক রকম অজুহাত শুনতে হয়। তবে মারা গেলে কী হবে, তা নিয়ে এখন থেকে আশঙ্কা প্রকাশ করে এমন উত্তর এই প্রথম। অরিজিৎবাবুকে এব্যাপারে ফোন করা হলে তিনি বলেন, আমার সমস্যা আছে। সেকথা জেলাপ্রশাসনকে জানিয়েছি। এর বেশি কিছু বলা যাবে না।
এদিন প্রায় ৩৭০জন ভোটকর্মীকে একটি বোর্ডের সামনে হাজির হতে হয়েছিল। যাঁদের শোকজের উত্তর সন্তোষজনক ছিল না। যদিও মাইক্রো অবজার্ভারদের এদিন ডাকা হয়নি। বোর্ডে ছিলেন অতিরিক্ত জেলাশাসক উত্তম অধিকারী, অরুন্ধতী ভৌমিক, ওসি পিপি বিশ্বজিৎ ভট্টাচার্য সহ অন্যানরা। এখানে অ্যাসিসটেন্ট প্রফেসর ছিলেন বেশ কয়েকজন, যাঁদের ভোটের দায়িত্ব দেওয়া হয়। তাঁরা নির্বাচনের কাজ করা নিয়ে বোর্ডের কাছে অসন্তোষ প্রকাশ করেন।