উপার্জন বেশ ভালো হলেও ব্যয়বৃদ্ধি পাওয়ার কারণে সঞ্চয় তেমন একটা হবে না। শরীর খুব একটা ... বিশদ
এদিন সন্ধ্যায় ওই এলাকায় ব্যাপকভাবে কালবৈশাখীর ঝড়-বৃষ্টি শুরু হয়। ঝড়ের দাপটে সভাস্থলে ক্ষয়ক্ষতিও হয়। যা দেখে উদ্যোক্তাদের কপালে ভাঁজ পড়ে। প্রায় ঘণ্টাখানেক কালবৈশাখীর দাপটের পর ঝড় থেমে যাওয়ায় তৃণমূল কর্মীদের চেষ্টায় সভাস্থল ঠিক করা হয়। রাত সাড়ে আটটা নাগাদ জনসভা শুরু হয়। মঞ্চে স্থানীয় নেতৃত্ব ছাড়াও হাজির ছিলেন জেলা পরিষদের পূর্ত কর্মাধ্যক্ষ রাজীব হোসেন, বহরমপুর কেন্দ্রের তৃণমূল প্রার্থী অপূর্ব সরকার প্রমুখ।
কালবৈশাখীর দাপট কমতেই সভাস্থলে কাতারে কাতারে তৃণমূল কর্মী-সমর্থক মিছিল করে হাজির হন। বাজনার দল নিয়েও মিছিল করে সভাস্থলে আসেন অনেকে। রাত সওয়া ন’টা নাগাদ মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম মঞ্চে আসেন। মন্ত্রী পৌঁছতেই সভাস্থলে আরও কর্মী-সমর্থক এসে হাজির হন। কানায় কানায় ভরে উঠে সভাস্থল। ফিরহাদ সাহেব আগাগোড়ায় অধীর চৌধুরীর উদ্দেশে আক্রমণ শানান। তিনি বলেন, অধীর চৌধুরী এখানকার চারবারের এমপি। অথচ এখানে কোনও উন্নয়ন করতে পারেননি। এই অপূর্ব সরকার একসময় অধীরবাবুর ছায়াসঙ্গী ছিলেন, ডান হাত ছিলেন। কিন্তু পরিস্থিতি তাঁকে অধীরবাবুর কাছে থেকে সরে আসতে বাধ্য করেছে। কারণ অধীরবাবু মানুষের সেবার পরিবর্তে নিজের সেবায় মগ্ন হয়ে পড়েছিলেন। গণতন্ত্রের আদর্শ থেকে বিচ্যুত হয়ে পড়েছিলেন।
তিনি আরও বলেন, অধীরবাবু রেলমন্ত্রী হয়েও জেলার মানুষের জন্য কিছুই করতে পারেননি। যেটা করে দেখিয়েছিলেন প্রয়াত রেলমন্ত্রী এবিএ গণিখান চৌধুরী। অধীরবাবুর ভোগের জীবনের প্রতি আকৃষ্ট হওয়ার কারণে জেলার মানুষের মন থেকে উনি মুছে গিয়েছেন। ওঁকে বিদায় দিয়েছেন জেলার মানুষ। তবে এতে অধীরবাবুর কিছু যায় আসে না। উনি আন্ডারস্ট্যান্ডিংয়ের রাজনীতি করেন। তাই যে সিপিএমের হাতে ৫০হাজার কংগ্রেস কর্মী খুন হয়েছে সেই সিপিএমের সঙ্গে হাত মিলিয়েছেন। উনি আরও একটি দলের সঙ্গে হাত মেলানোর অপেক্ষায় রয়েছেন। লোকসভা ভোটে যদি কংগ্রেস-তৃণমূল জোট হতো, তাহলে বিজেপিতে চলে যেতেন। এখনও তাঁর সামনে পথ খোলা আছে। উনি সময় হলেই বিজেপির লাইনে চলে যাবেন।
এদিন বিজেপিকে আক্রমণ করে ফিরহাদ বলেন, বাংলার মানুষ এনআরসি হতে দেবে না। বাংলার মানুষ ঠ্যাং ভেঙে দেবে ওদের। তাই অমিত শাহকে বলব, বাংলায় রাজনীতি করতে এসো না। বাংলায় হাতজোড় করে রাজনীতি হয়। এখন বিজেপি ভগবান রামকে ইলেকশন এজেন্ট বানিয়েছে। রামের নাম ভাঙিয়ে রাজনীতি করছে বিজেপি। তাই বাংলার নেত্রী দেবী দুর্গারূপে অসুর মোদিকে বধ করবেন এই লোকসভা ভোটে। আপনারা ভোটের মাধ্যমে সেই অস্ত্র তুলে দিন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাতে।
এদিকে এদিনের সভায় সালার এলাকাকে পুরসভার মর্যাদা দেওয়া প্রয়োজন বলে জানান মন্ত্রী। তিনি বলেন, সালারের বাসিন্দাদের পুরসভার দাবিকে আমি মর্যাদার সঙ্গে সম্মান জানাচ্ছি। এবিষয়ে প্রায় একই বক্তব্য রাখেন তৃণমূল প্রার্থী অপূর্ববাবুও।
কংগ্রেসের কান্দি মহকুমা সভাপতি সফিউল আলম খান বলেন, তৃণমূল নেতা-মন্ত্রীদের এখন কপালে চোখ উঠে গিয়েছে। তাই এবেলা ওবেলা করে দলের নেতা-মন্ত্রীদের সঙ্গে খোদ মুখ্যমন্ত্রীও অধীরবাবুর বিরুদ্ধে তোপ দেগে বেড়াচ্ছেন। কিন্তু এখানকার মানুষের কাছে অধীরবাবু যে মসিহা সেটা ওনারা বুঝতে পারছেন না। বিজেপির জেলা কমিটির সদস্য সুখেন বাগদি বলেন, বাংলায় তৃণমূলের জমানা শেষ হতে চলেছে। তাই পিঁপড়ের পাখা গজানোর মতো, দলের নেতারা আবোল তাবোল বকে বেড়াচ্ছেন।