উপার্জন বেশ ভালো হলেও ব্যয়বৃদ্ধি পাওয়ার কারণে সঞ্চয় তেমন একটা হবে না। শরীর খুব একটা ... বিশদ
এব্যাপারে পরিবহণমন্ত্রী তথা তৃণমূলের মুর্শিদাবাদ জেলা পর্যবেক্ষক শুভেন্দু অধিকারী সাংবাদিকদের কাছে বলেন, এসব করে কিছু হবে না। ওরা কমিশনের ভরসায় ভোটে লড়ছে। আমরা মানুষের ভরসায় এবং শক্তিশালী সংগঠনের উপর ভর করে নির্বাচনে লড়ছি। তাই পুলিস অফিসারদের সরিয়ে ওরা তৃণমূলের কিছুই করতে পারবে না।
আজ, মঙ্গলবার মুর্শিদাবাদ, জঙ্গিপুর ও মালদহ দক্ষিণ লোকসভা কেন্দ্রের ভোট। জঙ্গিপুর কেন্দ্র এলাকায় রঘুনাথগঞ্জ এবং মালদহ দক্ষিণ কেন্দ্র এলাকায় ফরাক্কা ও সামশেরগঞ্জ থানা অবস্থিত। সোমবার সংশ্লিষ্ট থানার তিন অফিসারকে সরিয়ে দিয়েছে নির্বাচন কমিশন। প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, সংশ্লিষ্ট অফিসারদের বিরুদ্ধে পক্ষপাতের অভিযোগ উঠেছে। অভিযোগ, ওই অফিসাররা বিরোধীদের গুরুত্ব না দিয়ে শাসকদল তৃণমূলের হয়ে কাজ করছিলেন। এদিন দুপুরে তাঁদেরকে থানা থেকে সরিয়ে পুলিস লাইনে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। ভোটের কোনও কাজে তাঁরা অংশগ্রহণ করতে পারবেন না বলে কমিশন নির্দেশ দিয়েছে। তবে, এদিন বিকেল পর্যন্ত সংশ্লিষ্ট দু’টি থানার দায়িত্বে কোনও অফিসারকে পাঠানো হয়নি। জঙ্গিপুর মহকুমা এসডিপিও প্রসেনজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায় সংশ্লিষ্ট থানাগুলির দায়িত্বভার গ্রহণ করেছেন বলে জানা গিয়েছে। সংশ্লিষ্ট অফিসাররা অবশ্য এব্যাপারে কোনও মন্তব্য করতে চাননি।
প্রসঙ্গত, ফরাক্কা থানার আইসি উদয়শঙ্করবাবুর ভাবমূর্তি এলাকায় যথেষ্ঠ প্রশংসনীয়। পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, আইন-শৃঙ্খলা রক্ষার ক্ষমতা, থানার পরিকাঠামো, পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা, সৌন্দর্যায়ন, ক্যুইক অ্যান্ড কোয়ালিটি সার্ভিস, জনগণের সঙ্গে পুলিসের সম্পর্ক, রেকর্ড রক্ষা, সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি রক্ষা, রাজনৈতিক হিংসা নিয়ন্ত্রণ প্রভৃতি বিষয়ে দেশের তিনটি সেরা থানার মধ্যে ফরাক্কা থানাকে বেছে নিয়েছিল কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক। গত ২০ ডিসেম্বর গুজরাতে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের একটি অনুষ্ঠানে থানার আইসি উদয়শঙ্করবাবুকে পুরষ্কার দেওয়া হয়। এবার সেই থানার আইসিকে সরিয়ে দেওয়ায় বিভিন্ন মহলে আলোড়ন পড়েছে।
স্থানীয় বাসিন্দাদের একাংশ বলেন, উদয়শঙ্করবাবু দায়িত্ব নেওয়ার পর ফরাক্কা থানা সক্রিয় হয়েছে। থানার পরিবেশ ভালো হয়েছে। তিনি রাস্তায় নেমে মানুষের সঙ্গে মিশে কাজ করেন। বর্তমানে থানার সঙ্গে বাসিন্দাদের সম্পর্কও ভালো। জালনোট, হেরোইন, গাঁজা, আগ্নেয়াস্ত্র প্রভৃতির কারবার রোখার ব্যাপারেও সক্রিয় ভূমিকা নিয়েছেন তিনি। ভোটের একদিন আগে থানার দায়িত্ব নিয়ে নতুন অফিসার কীভাবে পরিস্থিতি সামাল দেবেন, তা বোঝা মুশকিল। কারণ, তিনি এলাকার অবস্থাই বুঝে ওঠার সময় পাবেন না। পুলিসের কয়েকজন অফিসার বলেন, ভালো কাজ করার পরও ওই দক্ষ অফিসারের বিরুদ্ধে এমন ব্যবস্থা নেওয়া হবে, তা অকল্পনীয়। এতে পুলিস অফিসারদের মনোবল ভেঙে পড়বে।
পুলিস অফিসার অপসারণের ঘটনা নিয়ে রাজনৈতিক মহলেও ব্যাপক শোরগোল পড়েছে। জেলা তৃণমূলের সহ সভাপতি অশোক দাস বলেন, নির্বাচন কমিশন বিজেপির কথামতো চলছে। এর আগে ভোটের একদিন আগে কোচবিহারের পুলিস সুপারকে বদলি করেছে। এবার এই জেলার তিন অফিসারকে সরানো হল। বিজেপির এবং বিজেপির দালাল এক কংগ্রেস নেতার কথামতো ওরা এসব করছে। এসব করে ওরা তৃণমূলকে রুখতে পারবে না।