উপার্জন বেশ ভালো হলেও ব্যয়বৃদ্ধি পাওয়ার কারণে সঞ্চয় তেমন একটা হবে না। শরীর খুব একটা ... বিশদ
এবিষয়ে খাতড়ার এসডিপিও বিবেক বর্মা বলেন, ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে। পারিবারিক অশান্তির জেরেই ওই ঘটনা ঘটেছে বলেই প্রাথমিক তদন্তে মনে করা হচ্ছে।
মৃতার পরিবার ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বছর পাঁচেক আগে বাঁকুড়ার ওন্দা থানার গোলকুণ্ডা গ্রামের বাসিন্দা মৌসুমির সঙ্গে সিমলাপাল থানার কড়াকানালি গ্রামের বরুণের বিয়ে হয়। কিন্তু, বিয়ের কিছুদিন পর থেকেই পরিবারিক অশান্তি শুরু হয় বলে স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে। জানা গিয়েছে, পারিবারিক অশান্তির কারণে মৌসুমি দীর্ঘদিন ধরে বাপের বাড়িতেই ছিলেন। গত মঙ্গলবার তিনি শ্বশুরবাড়িতে ফিরে আসেন। ওইদিন রাতে খাওয়া দাওয়া করে সকলেই ঘুমোতে যান। এদিন সকালে তাঁদের কেউ না ওঠায় এবং কোনও সাড়া শব্দ না পাওয়া যাওয়ায় পরিবারের অন্যান্য সদস্যরা পুলিসে খবর দেন। এমনকী তাঁরা মৌসুমির বাপের বাড়িতেও খবর দেন। মৃতার দাদা গৌতম ধুলিয়া বলেন, পাঁচ বছর আগে আমার বোনের বিয়ে হয়েছিল। কিন্তু, বিয়ের পর থেকে ওর শ্বশুরবাড়িতে অশান্তি লেগেই থাকত। দীর্ঘদিন ধরে ও আমাদের বাড়িতেই ছিল। কয়েকদিন আগে শ্বশুরবাড়িতে আসে। তবে এতবড় ঘটনা ঘটে যাবে তা ভাবতেই পারিনি। পুলিসকে লিখিত আকারে পুরো বিষয়টি জানিয়েছি।
গ্রামবাসীরা জানিয়েছেন, ওই পরিবারটির পারিবারিক অবস্থা ভালো ছিল না। বরুণ স্থানীয় একটি মিষ্টির দোকানে কাজ করত। তাঁর রোজগারেই কোনও রকমে সংসার চলত। তবে এরকম ঘটনা ঘটে যাবে তা বাসিন্দারা বুঝতে পারেননি। গোটা ঘটনায় এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে। সোমবার সকালে মৃতদেহগুলি পুলিস উদ্ধার করলেও রবিবার রাতেই ঘটনাটি ঘটেছে বলে পুলিস মনে করছে। ঘটনার খবর পাওয়ার পর মৃতার পরিবারের লোকজন এসে ওই গ্রামে বেশ কিছুক্ষণ বিক্ষোভ দেখান বলে জানা গিয়েছে। ক্ষোভের মুখে তাঁরা বরুণদের বাড়ির জিনিসপত্র ভাঙচুর করেন। ঘটনায় পুলিস মৃতার বাপেরবাড়ির কয়েকজনকে আটক করেছে।
কড়াকানালি গ্রামের বাসিন্দা বলাই মণ্ডল বলেন, সংসারে অভাব থাকলেও গ্রামের মধ্যে এতবড় একটা ঘটনা ঘটে যাবে তা আমরা ভাবতে পারিনি। গোটা গ্রামজুড়ে শোকের পরিবেশ তৈরি হয়েছে।