উপার্জন বেশ ভালো হলেও ব্যয়বৃদ্ধি পাওয়ার কারণে সঞ্চয় তেমন একটা হবে না। শরীর খুব একটা ... বিশদ
২০১১ সালের জনগণনা অনুযায়ী বীরভূম লোকসভা কেন্দ্রে প্রায় ৩৫ শতাংশ সংখ্যালঘু ভোট রয়েছে। এমনকী কয়েকটি ব্লকে তা পঞ্চাশ শতাংশ ছাপিয়ে গিয়েছে। তাই বীরভূম আসন জয়লাভের লক্ষ্যে সব দলই সংখ্যালঘু ভোটকেই টার্গেট করে ময়দানে নেমেছে। যদিও এই লক্ষ্যে বেশ কয়েক কদম এগিয়ে গিয়েছে তূণমূল। সংখ্যালঘু ভোট টানতে বেশ কয়েকটি তাস আগেই খেলেছে তারা। দীর্ঘদিনের কংগ্রেসের জেলা সভাপতি থাকা সৈয়দ সিরাজ জিম্মিকে ভোটের মুখে নিজেদের শিবিরে শামিল করে মাস্টার স্ট্রোক দিয়েছে তৃণমূল। এমনকী তাঁকে তৃণমূলের সংখ্যালঘু সেলের চেয়ারম্যানও করা হয়েছে। তাই তিনিও সংখ্যালঘু অধ্যুষিত এলাকায় কংগ্রেসের ভোটে ধস নামিয়ে তা জোড়াফুল শিবিরে টানতে মরিয়া হয়ে ময়দানে নেমেছেন। সদ্য তৃণমূলে আসা সৈয়দ সিরাজ জিম্মি বলেন, সংখ্যালঘুরা কোনওদিনই নিজেদের ভবিষ্যৎ অনিশ্চিত করে বিজেপিকে ভোট দেবে না। উল্টে বিজেপিকে ঠেকাতে কংগ্রেস, বাম শিবিরে থাকা সংখ্যালঘু ভোটও একচেটিয়া আমরা পাব। কোনও দলই এই ভোট ব্যাঙ্কে থাবা বসাতে পারবে না।
শুধু তাই নয়, সংখ্যালঘু অধ্যুষিত বীরভূমে তাদের জন্য যে বিপুল কর্মযজ্ঞ চলছে তা তুলে ধরে প্রচার চালাচ্ছে শাসকদল। সংখ্যালঘুদের সরকারি প্রকল্পে ঋণ, স্কলারশিপ দেওয়ার কথাও তারা প্রচারে তুলে ধরছে। ১৬-১৭ আর্থিক বছরে প্রি ম্যাট্রিক স্কলারশিপ পেয়েছে ১ লক্ষ ৩৮ হাজার জন। পোস্ট ম্যাট্রিক স্কলারশিপ পেয়েছে ২০ হাজারে বেশি। মাইক্রো ফিনান্স লোন হয়েছে ১২ হাজারের বেশি। স্টাইপেন্ড পেয়েছে ১০ হাজারে বেশি। সংখ্যলঘুদের জন্য ৪০টি হস্টেল তৈরি হয়েছে জেলায়। এছাড়া কন্যশ্রী, রূপশ্রী ইত্যাদি প্রকল্পতো আছেই।
সরকারি তথ্য অনুযায়ী ২০১১ সালের জনগণনায় দেখা গিয়েছে, মুরারই-১ ব্লকের ৫৬.৯শতাংশ, মুরারই-২ব্লকে ৭৩.৬৯, নলহাটি-২ ব্লকে ৬৮.২৫, নলহাটি-১ ব্লকে ৪৭.৪৯, রামপুরহাট-২ ব্লকে ৪৭.১২ শতাংশ সংখ্যালঘু মানুষ রয়েছেন। এছাড়াও আরও চারটি ব্লক এমন রয়েছে যেখানে সংখ্যালঘু ভোট ৩০ শতাংশের বেশি। তাই সংখ্যালঘু ভোট নিজেদের দিকে টানতে না পারলে এই কেন্দ্রে বাজিমাত করা সহজ হবে না কোনও দলেরই। তা উপলব্ধি করেছে সবদলই। তাই শাসকদল যেমন সংখ্যালঘু ভোট ব্যাঙ্ক বাড়াতে ঝাঁপিয়েছে তেমনই সিপিএমও মরিয়া তাদের ভোট ব্যাঙ্ক ধরে রাখতে। আবার বিজেপিও সংখ্যালঘুদের মধ্যে প্রভাব বাড়ানোর চেষ্টা করছে। তাই তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে আসা শান্তনু রায়ের মতো নেতাদের সংখ্যালঘু ভোট ভাঙাতে ময়দানে নামিয়েছে তারা। দলের জেলা সহ সভাপতি শুভাশিস চৌধুরী বলেন, মোদিজির নানা প্রকল্পে সব সম্প্রদায়ের মানুষই সুবিধা পেয়েছেন। সেগুলি সংখ্যালঘু পরিবারগুলির সামনে তুলে ধরা হচ্ছে। ভালো সাড়া পাচ্ছি।
এদিকে সিপিএমও চেষ্টা চালাচ্ছে তাদের সংখ্যালঘু ভোট ব্যাঙ্ক ধরে রাখতে। দলের জেলা সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য সঞ্জীব বর্মন বলেন, তৃণমূল সংখ্যালঘুদের নিয়ে সবচেয়ে বেশি ভাঁওতাবাজি দিচ্ছে। তা সংখ্যালঘু মানুষ ধরে ফেলেছে। তারা জানে, বামপন্থীরাই একমাত্র সংখ্যালঘুদের জন্য কাজ করে। তারা আমাদের পাশেই থাকবে।