উপার্জন বেশ ভালো হলেও ব্যয়বৃদ্ধি পাওয়ার কারণে সঞ্চয় তেমন একটা হবে না। শরীর খুব একটা ... বিশদ
স্থানীয় ও এনবিএসটিসি সূত্রে জানা গিয়েছে, এদিন সন্ধ্যা প্রায় ছ’টা নাগাদ কলকাতার ধর্মতলা বাসস্টপেজ থেকে ৩৫ জন যাত্রী নিয়ে শিলিগুড়ি যাচ্ছিল বাসটি। ঝড়বৃষ্টির কারণে রানাঘাট সংলগ্ন জাতীয় সড়কে যানজট ছিল। ফলে বাসটিকে বাদকুল্লা বাইপাস হয়ে কৃষ্ণনগর অভিমুখে ঘোরানো হয়। কামগাছি এলাকায় রাস্তায় একটি গাছের ভাঙা ডাল পড়ে থাকতে দেখে চালক বাসটিকে দাঁড় করান। পরে ডানদিকে ঘোরানোর চেষ্টা করেন। তখন একটি পুলিসের ছোট গাড়ি দ্রুতগতিতে এসে বাসের পেছনে সজোরে ধাক্কা মারে। যদিও পুলিসের গাড়ির তেমন ক্ষতি হয়নি। এরপরই পুলিসের গাড়ি যাত্রীবোঝাই বাসটিকে ওভারটেক করে পথ আটকে দাঁড়ায়। হাবিবুল পুলিসকর্মীদের বিষয়টি বোঝানোর জন্য বাস থেকে নামেন। তখনই কৃষ্ণনগরগামী অন্য একটি ছোট গাড়ি দ্রুতগতিতে এসে ধাক্কা মারে সরকারি বাসের চালককে। গুরুতর জখম অবস্থায় তড়িঘড়ি হাবিবুলকে রানাঘাট মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। কিন্তু শেষরক্ষা হয়নি। হাসপাতালে নিয়ে আসার পরে চিকিৎসকরা ওই বাস চালককে মৃত বলে ঘোষণা করেন।
সুভাষচন্দ্রবাবু বলেন, পুলিসের লোকজন আমাদের বাসটিকে থামায়। সেই সঙ্গে পুলিসের গাড়ির চালক আমার সহকর্মীকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করতে থাকে। পুলিস কর্মীদের বিষয়টি বোঝানোর জন্যই হাবিবুর বাস থেকে নেমেছিলেন। ঘটনার পর পুলিস আমাদের কোনওরকম সাহায্য না করে তড়িঘড়ি এলাকা থেকে চলে যায়। পুলিস আমাদের বাসটি না থামালে আমাদের সহকর্মীকে চোখের সামনে এভাবে হয়ত হারাতে হতো না। যে গাড়িটির ধাক্কায় হাবিবুরের মৃত্যু হয়েছে, সেই গাড়িটিকেও ধরার চেষ্টা করেনি পুলিস। এদিকে, রাত প্রায় দু’টো নাগাদ রানাঘাট ডিপোর উত্তরবঙ্গ রাষ্ট্রীয় পরিবহণ সংস্থার অন্য এক চালক বাসটি নিয়ে শিলিগুড়ির উদ্দেশে রওনা দেন। এনবিএসটিসি রানাঘাট ডিপোর দায়িত্বে থাকা আধিকারিক প্রসেনজিৎ সাহা বলেন, ২০১৪ সালে সরকারি বাস চালক হিসেবে কাজে যোগ দেন হাবিবুর। পুলিস জানিয়েছে, ঘাতক ওই গাড়িটির খোঁজ চলছে। বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।