উপার্জন বেশ ভালো হলেও ব্যয়বৃদ্ধি পাওয়ার কারণে সঞ্চয় তেমন একটা হবে না। শরীর খুব একটা ... বিশদ
খড়্গপুরের অতিরিক্ত পুলিস সুপার ওয়াই রঘুবংশী বলেন, দু’পক্ষই অভিযোগ দায়ের করেছে। দু’টি মামলা দায়ের করা হয়েছে। তবে গুলি চালানোর কোনও প্রমাণ পাওয়া যায়নি। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিস। অভিযুক্তদের গ্রেপ্তার করা হবে।
তৃণমূল কংগ্রেসের শহর সভাপতি রবিশঙ্কর পাণ্ডে অবশ্য দাবি করেন, যাদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে, তাদের সঙ্গে তৃণমূলের কোনও সম্পর্ক নেই। চেয়ারম্যান বলেন, ওরা সবাই তৃণমূলেরই কর্মী। কিন্তু ঘটনার সঙ্গে দলের কোনও যোগ নেই। স্থানীয় তৃণমূল কাউন্সিলার চন্দন সিং বলেন, এর সঙ্গে তৃণমূলের কোনও সম্পর্ক নেই। ব্যক্তিগত বিরোধের জেরে সংঘর্ষ হয়েছে।
প্রসঙ্গত, রেলের ঠিকাশ্রমিক নিয়োগ নিয়ে এই এলাকায় দুই গোষ্ঠীর মধ্যে বিরোধ দীর্ঘদিনের। এক পক্ষ কর্মী নিয়োগ করে। অপর পক্ষ কর্মী নিয়োগ করতে না পারায় তাদের মধ্যে ক্ষোভ আছে। হিজলি স্টেশনে একটি কাজে শ্রমিক নিয়োগ নিয়েই মূলত বিরোধের সূত্রপাত। মাঝেমধ্যেই সংঘর্ষ বাধে। অভিযোগ, এলাকায় বেশিরভাগ বাড়িতেই অস্ত্র আছে। ফলে সংঘর্ষে যখন তখন অস্ত্র ব্যবহার করা হয়। তবে রবিবারের সংঘর্ষে শ্রমিক নিয়োগের কোনও বিষয় ছিল না। খড়্গপুর পুরসভার চেয়ারম্যান প্রদীপ সরকার ওই দিন রাতে দু’পক্ষকেই তাঁর অফিসে ডেকেছিলেন। উদ্দেশ্য ছিল, দলের প্রার্থী মানস ভুঁইয়ার পক্ষে কাজ করানো। যাতে এলাকায় মানসবাবু লিড পান, সেকথা বলতেই তিনি দু’পক্ষকে ডাকেন। চেয়ারম্যানের সামনেই দু’পক্ষের মধ্যে কারা প্রকৃত তৃণমূল, তা নিয়ে একপ্রস্থ গণ্ডগোল বাধে। কোনওরকমে পরিস্থিতি সামাল দিয়ে চেয়ারম্যান তাদের এলাকায় পাঠিয়ে দেন। এলাকায় ফিরে গিয়েই শুরু হয়ে যায় সংঘর্ষ। এলাকা এতই উত্তপ্ত হয়ে ওঠে যে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে র্যা ফ নামাতে হয়।
অভিযোগ, সংঘর্ষে তলোয়ার সহ নানা অস্ত্র ব্যবহার করা হয়। একটি বাড়িতে চড়াও হয়ে ভাঙচুর চালানোর অভিযোগও উঠেছে। অভিযোগ, বাড়ির ফ্রিজ, টিভি, বাইক সহ একাধিক আসবাবপত্র ভাঙচুর করা হয়। তলোয়ারের কোপে তিনজন জখম হন। একজন গুলিবিদ্ধ হন। স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি, তাঁর পায়ে গুলি লেগেছে। এলাকার বাসিন্দা তথা একটি গোষ্ঠীর সদস্য শাহিল শঙ্কর বলেন, চেয়ারম্যান ডেকেছিলেন। তাঁর অফিস থেকে ফেরার পর আমার উপর হামলা হয়। বাড়িতে ঢুকে জিনিসপত্র ভাঙচুর করা হয়। তলোয়ারের কোপে জখম হেমন্ত শঙ্কর বলেন, আমি কিছুই জানি না। বাড়ি ফিরছিলাম। সেই সময় দেখি গণ্ডগোল হচ্ছে। আমাকে তলোয়ার দিয়ে আঘাত করা হয়। গুলিও ছোঁড়া হয়েছে। বেশ কয়েকজন জখম হন। পরে পুলিস এলে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়।
চেয়ারম্যান বলেন, ওখানে একটি ক্লাব আছে। এছাড়াও আরও একটি গোষ্ঠী আছে। সবাই তৃণমূল করে। স্থানীয় কাউন্সিলারের কথায় আমি এলাকার দু’পক্ষকে অফিসে ডেকেছিলাম। ওঁদের সঙ্গে বৈঠক হয়। আমি বলেছি, সবাইকে দলের প্রার্থীর হয়ে কাজ করতে হবে। ওই এলাকায় আমরা একটু দুর্বল আছি। তাই সবাই মিলে এলাকায় প্রার্থীকে লিড দিতে হবে। একথা বলতেই তাঁদের ডাকা হয়। এখানেই বৈঠক চলাকালীন মাঝে মধ্যেই দু’পক্ষের মধ্যে বচসা বেধে যায়। পরে অবশ্য তারা ফিরে যায়। তিনি বলেন, ওদের কোনও বিষয় নিয়ে আগে থেকেই বিরোধ আছে। আমি বলেছি, ওই বিরোধ নিয়ে কোনও ঘটনা ঘটলে তার সঙ্গে দল জড়াবে না। পরে শুনি, ওরা ফিরে গিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। বিষয়টি দেখা হচ্ছে।