উপার্জন বেশ ভালো হলেও ব্যয়বৃদ্ধি পাওয়ার কারণে সঞ্চয় তেমন একটা হবে না। শরীর খুব একটা ... বিশদ
(হাসতে হাসতে) গায়ের রং, লম্বা নাক চুলের ছাঁট— এই বিষয়গুলো মানিয়েছে। একটা ইন্টারেস্টিং তথ্য জানাই। বীরেনবাবুর বাবা নাকি সুদর্শন পুরুষ পছন্দ করতেন। আর গায়ের রং একটা মাজা হলে ঘুরেও তাকাতেন না। বীরেনবাবুর সুন্দর দেখতে বন্ধুদের সঙ্গে ডেকে ডেকে তিনি কথা বলতেন। কিন্তু একটু কালো হলেই এড়িয়ে যেতেন (হাসি)।
চরিত্রের অফার পাওয়ার আগে আপনি এই সাদৃশ্যগুলো সম্পর্কে কতটা সচেতন ছিলেন?
কোনওদিন ভাবিনি! তাই আমাকে এই চরিত্রে ভাবার জন্য সৌমিক(সেন) ও প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়কে (ছবির প্রযোজক) ধন্যবাদ।
বীরেন্দ্রবাবুর সঙ্গে আপনার কখনও সাক্ষাৎ হয়েছিল?
দুর্ভাগ্যক্রমে হয়নি। (একটু চুপ থেকে) অথচ আমি উত্তর কলকাতার দর্জি পাড়ার ছেলে। আর আমাদের উল্টোদিকের পাড়াতেই থাকতেন বীরেনবাবু। বহুবার তাঁর বাড়ির সামনে দিয়ে আমার যাতায়াত ছিল। যেদিন থেকে জানতে পারলাম যে সেই বাড়িতে বীরেন্দ্রকৃষ্ণ ভদ্র থাকেন তারপর থেকেই ওঁর বাড়ির সামনে দিয়ে একটু ধীর গতিতে হাঁটতাম। ভাগ্যক্রমে একবার যদি দেখা পাই (হাসি)।
‘মহালয়া’র টিজার প্রকাশিত হয়েছে। আজকে বীরেন্দ্রকৃষ্ণ ভদ্র বেঁচে থাকলে আপনি তাঁকে কী বলতেন?
(একটু ভেবে) সাহসে বুক বেঁধে তাঁর বাড়িতে যেতে পারতাম কিনা সেটাই বুঝতে পারতাম না। আর বাড়িতে পৌঁছে গেলেও আমি তাঁকে অবশ্যই একটা প্রণাম করতাম এবং আশীর্বাদ চাইতাম।
ছবির টিজারে আপনার মুখে ‘আকাশবাণী আমাকে বাদ দিয়েছে বলে কি আমি আকাশকে বাদ দেওয়ার চেষ্টা করব!’— সংলাপ চর্চায়। ট্রেলার দেখে আপনার পরিচিতরা কী বলছেন?
পোস্টার বেরনোর পর থেকেই প্রতিক্রিয়া পাচ্ছি। অসংখ্য মেসেজ আর ফোন পেয়েছি। প্রত্যেকেই উচ্ছ্বসিত।
এই চরিত্রের জন্য আপনি কীভাবে প্রস্তুতি নিয়েছিলেন?
সত্যি বলছি প্রচুর খেটেছি। মানুষটাকে জানতে বীরেনবাবু সম্পর্কে প্রচুর লেখা পড়তে হয়েছে। ইন্টারনেট অনেকটাই সাহায্য করেছে। তাঁর সঙ্গে কাজ করেছেন এরকম কিছু মানুষের সঙ্গেও দেখা করেছি। যেমন অজিত মুখোপাধ্যায়, সমরেশ ঘোষ এবং জগন্নাথ বসু। এছাড়া আকাশবাণীর সিদ্ধার্থ মাইতি সাহায্য করেছেন। আমার এক কথায় তাঁরা আর্কাইভ থেকে বীরেনবাবুর একাধিক দুষ্প্রাপ্য রেকর্ড আমাকে শুনতে দিয়েছেন। এর পাশাপাশি ছিল সৌমিকের অসাধারণ চিত্রনাট্য।
‘হারবার্ট’ এর ১২ বছর পর আবার আপনি মুখ্য চরিত্রে।
এর মাঝে ‘মেঘে ঢাকা তারা’, ‘শিল্পান্তর’ বা ‘গোরস্থানে সাবধান’কে ভুলে গেলে চলবে না। মুখ্য না হলেও চরিত্রগুলো অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
তুখড় অভিনেতা। অথচ কম ডাক পান। দুঃখ হয় না?
না আমার কোনও দুঃখ নেই। কারণ এটা আমার হাতে নেই। আমি তো চ্যালেঞ্জ নিতে প্রস্তুত। বাকিটা পরিচালক ও প্রযোজকদের দায়িত্ব। কেউ কাজ দিতে না চাইলে আমি কী করতে পারি।
আপনি কি টলিউডের গোষ্ঠী রাজনীতি বা স্বজনপোষণের দিকে ইঙ্গিত করছেন?
দেখুন সবাই তো এই ‘লবি’ মেনে কাজ করেন না। যাঁরা করেন না তাঁরা ডাকলেই আমি খুশি।
যিশুর সঙ্গে আগেও কাজ করেছেন। কিন্তু এই ছবিটা অন্যধারার ছবি।
অনেকেই জানেন না যে যিশুর বাবা (উজ্জ্বল সেনগুপ্ত) আমাকে ইন্ডাস্ট্রিতে নিয়ে এসেছিলেন। ওঁর সুপারিশেই বেতার বিজ্ঞাপনের কাজ করতাম। সেইজন্য যিশুর প্রতি আমার অন্যরকমের দুর্বলতা কাজ করে। যিশু ওর কেরিয়ারের অন্যতম সেরা সময়ের মধ্যে রয়েছে। ছবিতে উত্তমকুমারের ভূমিকায় যিশু অসাধারণ। ওর সঙ্গে ছবিতে আমার একটা অসাধারণ দৃশ্য রয়েছে। শট ওকে হওয়ার পর আমরা দু’জনকে জড়িয়ে বেশকিছুক্ষণ চুপ করে দাঁড়িয়েছিলাম।
‘প্রফেসর শঙ্কু ও এলডোরাডো’র বাকি শ্যুটিং কবে থেকে শুরু করবেন?
এই ছবিটাও আমার কেরিয়ারের অন্যতম মাইলফলক হতে চলেছে। আগামী ১৬ ফেব্রুয়ারি আবার ব্রাজিলের উদ্দেশ্যে রওনা হচ্ছি। ব্রাজিল মানে একটাই নাম— পেলে! গতবার তো দর্শন পাইনি। দেখা যাক এবার ভাগ্য শিকেয় ছেঁড়ে কিনা (হাসি)।