উপার্জন বেশ ভালো হলেও ব্যয়বৃদ্ধি পাওয়ার কারণে সঞ্চয় তেমন একটা হবে না। শরীর খুব একটা ... বিশদ
অঞ্জন দত্ত পরিচালিত ‘ফাইনালি ভালবাসা’ তাড়াহুড়োয় তৈরি করা সিনেমা। তিনটি গল্পেই ধারাবাহিকতার অভাব রয়েছে। আলো আঁধারির খেলা, দার্জিলিংয়ের মনোরম পরিবেশ দুর্বল চিত্রনাট্যকে ঢাকতে পারেনি। ছবি প্রথম থেকেই বেশ প্রেডিক্টেবল। তিনটি গল্পকে একটি কেন্দ্রবিন্দুতে নিয়ে এসে জোর করে মেলানোর যে গতানুগতিক ছক রয়েছে তাতেই হেঁটেছেন পরিচালক। প্রথম থেকেই দর্শকরা বুঝতে পারবেন শেষে মিল কীভাবে হতে চলেছে। অভিনয়ে সকলেই নিজের সেরাটা দিয়েছেন। অনির্বাণ ভট্টাচার্যের অভিনয় বেশ চোখে পড়ার মতো। তিলে তিলে মৃত্যুর মুখে ঢলে পড়া এইচআইভি রোগীর বেঁচে থাকার আর্তিকে নিপুণ অভিনয় শৈলীর মাধ্যমে ফুটিয়ে তুলেছেন তিনি। জেনারেশন আমি, মাছের ঝোলের পর এই সিনেমাতেও নজর কেড়েছেন সৌরশেনী মৈত্র। চেনা ছন্দে অঞ্জন দত্ত। মদ্যপ, সুযোগ পেলে হাঁটুর বয়সি মেয়েদের সঙ্গে ফ্লার্ট। অথচ কড়া সিদ্ধান্ত নেওয়ার ব্যাপারে অবিচল। চরিত্রের এই বলিষ্ঠতার জোরে স্বাভাবিকভাবেই ছবির একাধিক দৃশ্যে ফোকাস নিজের দিকে ঘুরিয়ে নিয়েছেন তিনি। বদমেজাজি শিল্পপতি হিসাবে মোটের ওপর খারাপ নন অরিন্দম শীল। তবে রাইমা সেনকে হয়তো আরও কিছুটা ব্যবহার করা যেত। হিন্দিভাষী হিসাবে চেহারা মোটেই মানানসই নয় সৌরভ দাসের। উচ্চারণেও বাংলা টান স্পষ্ট। অন্যদিকে ইনসমনিয়া গল্পের ক্লাইম্যাক্সে রাতের ঘুটঘুটে অন্ধকারে অরিন্দম শীল এবং রাইমা সেন কেন সানগ্লাস পরে ঘুরছেন তা মোটেই বোধগম্য নয়। এই সিনেমায় তিনটি রোগের নামে তিনটি গল্প। সবকটিতেই অভিনেতা-অভিনেত্রীরা নিজেদের একশো শতাংশ দিয়েছেন। কিন্তু দুর্বল চিত্রনাট্যর ফলে জমেনি ছবি। অসুখী হয়েছে দর্শক।