পিতার স্বাস্থ্যহানী হতে পারে। আর্থিক ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় অর্থের অভাব হবে না। পঠন-পাঠনে পরিশ্রমী হলে সফলতা ... বিশদ
আমার সবচেয়ে প্রিয় খেলা হল নিঃসন্দেহে ক্রিকেট। শীতের সময় ক্রিকেট খেলার মধ্যে যে এক অন্যরকম আমেজ থাকে, এটা সবারই জানা। আমি স্কুলের মাঠে তো ক্রিকেট খেলিই। আমার বাড়ির পাশে ছোট্ট খেলার মাঠ আছে। স্কুল থেকে যাওয়ার পর সেখানেও বন্ধুদের সঙ্গে নিয়মিত ক্রিকেট খেলি। ছোট্ট থেকেই ক্রিকেটের প্রতি আমার খুবই আগ্রহ। আমি একবার স্কুলের টিমের হয়ে ইন্টার-স্কুল টুর্নামেন্টে অংশগ্রহণ করেছিলাম। সেই খেলায় আমরা জিতেওছিলাম। তারপর থেকে ক্রিকেটের প্রতি সম্মান, শ্রদ্ধা,ভালোবাসা সবটাই অনেকগুণ বেড়ে যায়। এভাবেই আগামীদিনে চালিয়ে যেতে চাই। আমি বড় হয়ে ভবিষ্যতে জীবনে যে কোনও পেশা বেছে নিই না কেন, ক্রিকেট সবসময়ের জন্য আমার জীবনের অবিচ্ছেদ্য অঙ্গ হয়েই থাকবে। সর্বদা ক্রিকেটের জয়গানই গাইব।
অনীক খাঁড়া, অষ্টম শ্রেণী
আমার পছন্দ ব্যাডমিন্টন
শীতের সময় মূলত স্কুলে ব্যাডমিন্টন খেলতে পছন্দ করি। গেমস ক্লাসে আমি এই খেলাটাই খেলি। শীতের সময় ব্যাডমিন্টন ছাড়া অন্য কোনও খেলার কথা ভাবতেই পারি না। ব্যাডমিন্টন সাধারণত দুই থেকে চারজন মিলে খেলা হয়। খেলাটা আমার এই কারণেই ভালো লাগে যে, এটা যেমন পারস্পরিক বন্ধুত্বের বন্ধন গড়ে তোলে, তেমনি শারীরিক ও মানসিকভাবে সুস্থ থাকতে সাহায্য করে। আমি ব্যাডমিন্টনে ততটা পারদর্শী না হলেও ভীষণভাবে উপভোগ করি। আজ পর্যন্ত ব্যাডমিন্টনে কোনও পুরস্কার না পেলেও খেলতে খুবই পছন্দ করি। টুর্নামেন্টে খেলার জন্যও আগ্রহী। সুযোগ পেলে নিশ্চয়ই তার সদব্যবহার করব। বড় হয়ে ব্যাডমিন্টন খেলোয়াড় হতে পারলে খুবই ভালো লাগবে। ব্যাডমিন্টনকে আমি জীবন থেকে কখনও আলাদা করব না।
অদ্রীশ পতি, সপ্তম শ্রেণী
ফুটবল খেলে পুরস্কার পেয়েছি
শীতকাল হল আমার প্রিয় ঋতু,আর প্রিয় খেলা হল ফুটবল। ফুটবল খেলা একতার প্রতীক বলে আমি মনে করি। ফুটবল হল একটি টিমওয়ার্ক, যা দলবদ্ধ প্রয়াসের মধ্য দিয়ে সাফল্যের স্বাদ এনে দেয়। আমি স্কুলে যেমন ফুটবল খেলি, তেমনি বাড়ি সংলগ্ন মাঠেও খেলি। এর আগে স্কুলে খেলে আমি স্কুলস্তরের প্রতিযোগিতায় একাধিক জায়গায় সুযোগও পেয়েছিলাম। পুরস্কারও পেয়েছি। এখন পড়াশোনার পাশাপাশি আমার নিয়মিত ফুটবলের চর্চা চলতেই থাকে। যদি কোনওদিন সুযোগ পাই, নিজের দেশের হয়ে প্রতিনিধিত্ব করতে চাই। গোলকিপিংই আমার প্রথম পছন্দ। আমি আশাবাদী, আমার স্বপ্ন পূরণ হবে। এই স্বপ্নও রয়েছে, ফুটবল খেলার ক্ষেত্রে শিশুদের প্রতিভা বিকাশ ও সাফল্য পাওয়ার ক্ষেত্রে যে বাধা আসবে, তা আমি পূরণ করতে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেব।
অর্কজ্যোতি দাস, দশম শ্রেণী
নিয়মিত ক্রিকেট খেলি
ক্রিকেট আমার খুব প্রিয় এবং পছন্দের খেলা। সেই ছোট্ট থেকেই টিভিতে ক্রিকেট দেখতে দেখতে এই খেলাটির প্রতি আমার গভীর আগ্রহ তৈরি হয়ে গিয়েছে। আর শীতের সময় অন্যান্য খেলার চেয়ে ক্রিকেট খেলার মজাটাই যে আলাদা, সেটা সকলেরই জানা। স্কুলে আমি নিয়মিত ক্রিকেট খেলি। আর ভারতীয় দলের কোনও ম্যাচ হলে তা মিস করি না। অন্যান্য অনেক খেলা রয়েছে। তার মধ্যে আমি ক্রিকেটকেই বেছে নিয়েছি। সুযোগ পেলে ক্রিকেট খেলা চালিয়ে যেতে চাই। অনেকেরই ক্রিকেট খেলার মধ্য দিয়ে কেরিয়ার গড়ার স্বপ্ন থাকে। আমারও আছে। তাই ক্রিকেটকে সবসময়ের জন্য ধরে রাখতে চাই। কোনও সুযোগ এলে তা মিস করব না। স্কুলে তো বটেই, স্কুলের বাইরেও ক্রিকেট খেলি।
ঋষভ দত্ত, যষ্ঠ শ্রেণী
আমার প্রিয় জুডো খেলা
শীতকাল তো খেলারই সময়। শীতের মিঠে রোদ গায়ে মেখে খেলার মজাটাই আলাদা। বিদ্যালয়ের অনেক ধরনের খেলাধূলো আছে। কিন্তু আমার প্রথম পছন্দ জুডো খেলা। জুডো শারীরিক শক্তি ও মানসিক দক্ষতা বাড়াতে সহায্য করে। শুধু তাই নয়, শরীর ও মনকে তাজা রাখতে সাহায্য করে। আগে আমি রাজ্যস্তরে প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করে ব্রোঞ্জ পদক জিতেছিলাম। জীবনে যে পেশায় যুক্ত হই না কেন, জুডো আমার জীবনের একটি অবিচ্ছেদ্য অঙ্গ হয়ে থাকবে। আমি অন্যদেরও জুডো খেলায় উৎসাহিত করি। সেইসঙ্গে জুডো খেলার হারিয়ে যাওয়া ঐতিহ্যকে ধরে রাখার প্রচেষ্টা চালিয়ে যাবো।
এলিনা দাস, নবম শ্রেণী
যোগাসনে চতুর্থ হয়েছিলাম
আমার প্রিয় খেলা হল যোগাসন। স্কুলে তো বটেই, বাড়িতেও নিয়মিত আমার যোগার অনুশীলন চলে। শীতকাল হোক বা গরমকাল, যোগাসনের কোনও তুলনাই হয় না বলেই আমি মনে করি। এর আগে দিল্লির নয়ডা এবং ছত্তিশগড়ে অনুষ্ঠিত জাতীয় যোগাসন প্রতিযোগিতায় আমি চতুর্থ স্থান লাভ করে পুরস্কার জিতেছিলাম। এছাড়াও নেপালে অনুষ্ঠিত আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করেছিলাম। যোগাসন মানুষকে সারা জীবন ফিট, রোগমুক্ত ও স্বাস্থ্যবান থাকতে সাহায্য করে। মন ও আত্মার সুদৃঢ় সম্পর্ক বজায় রাখে। মনসংযোগ বাড়াতেও সাহায্য করে। আমি যোগাসন সারাজীবন ধরেই চালিয়ে যেতে চাই। যোগাকে সামনে রেখে আগামীদিনে দেশের জন্য কিছু করতে চাই।
গীতিকা আগরওয়াল, সপ্তম শ্রেণী
জুডো’য় ব্রোঞ্জ পেয়েছিলাম
জুডো খেলাটাকে আমি খুব পছন্দ করি। শুধু তাই নয়,এই খেলাটাকে খুবই উপভোগ করি। জুডো তো বটেই, অন্যান্য খেলাও খেলতে ভালো লাগে। তবে আমার ‘বেস্ট চয়েস’ জুডোই। শীতের সময়টা জুডো খেলা কিংবা প্রতিযোগিতায় অংশ নেওয়ার মধ্যে এক আলাদা আমেজ কাজ করে। আমি আগে ছত্তিশগড়ে জাতীয় স্তরের জুডো প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়েছিলাম এবং তৃতীয় স্থান লাভ করে ব্রোঞ্জ পদক পেয়েছিলাম। আমি আগামী দিনে একজন জুডো খেলোয়াড় হতে চাই। তাই স্কুলে নিয়মিত জুডো অনুশীলন করি। জুডো শিক্ষকরা আমাদের সকলকেই খুবই উৎসাহ দেন। জুডো একজন মানুষকে শারীরিকভাবে সক্ষম করে তুলতে বিশেষভাবে সাহায্য করে।
তিতলি পণ্ডা, পঞ্চম শ্রেণী
নিয়মিত অনুশীলন করি
একটা সময় জুডো খেলাটা সম্পর্কে আমার কোনও ধারণাই ছিল না। কিন্তু আমার স্কুলের কোচ আমাকে একপ্রকার জোর করেই প্র্যাকটিস করাতে শুরু করেন। ধীরে ধীরে আমার জুডো খেলার প্রতি আগ্রহ জন্মাতে শুরু করে। জুডো খেলাটাকে রীতিমতো ভালোবাসতে শুরু করি। এখন জুডোর প্রতি আমার অন্যরকম আবেগ রয়েছে। শীতকাল হোক বা গরমকাল হোক,আমি কখনও অনুশীলনে ছেদ দিই না। স্কুলে প্রশিক্ষকের তত্ত্বাবধানে নিয়মিত অনুশীলন চলে। গত বছর অক্টোবর মাসে সিবিএসই-র ইস্ট জোন ক্লাস্টার প্রতিযোগিতায় একটি বিভাগে তৃতীয় স্থান লাভ করেছিলাম। অনূর্ধ্ব ৪৫ কেজির ওই বিভাগে পদক পেয়ে আমি আনন্দে আত্মহারা হয়ে গিয়েছিলাম। আগামীদিনে যদি জুডোকে জীবনের অঙ্গ হিসেবে গ্রহণ করতে পারি,তাহলে আমার স্বপ্ন পূরণ হবে।
ঋষিকা বর্মন, নবম শ্রেণী
মাউন্ট লিটেরা জি স্কুল
যোগেশ মাহেশ্বরী, অধ্যক্ষ
‘বিদ্যালয় শিক্ষার্থীর দ্বিতীয় গৃহ’—এই থিমকে সামনে রেখে ২০১৩ সালে কাঁথিতে পথচলা শুরু মাউন্ট লিটেরা জি স্কুলের। কাঁথি শহরের উপকণ্ঠে গিমাগেড়িয়া এলাকায় স্কুলটি রয়েছে। আমাদের প্রাথমিক উদ্দেশ্য, রেজাল্টের ইঁদুরদৌড়ে শামিল না হয়ে নতুনভাবে শিক্ষা-ব্যবস্থার সার্থকতাকে তুলে ধরা। ছাত্রছাত্রীদের স্বাভাবিক প্রতিভা বিকাশের সুযোগ করে দেওয়া। ছাত্রছাত্রীর সংখ্যা ৬৮০।
বিদ্যালয়কেন্দ্রিক প্রচলিত পুঁথিগত শিক্ষা ছাড়াও খেলাধূলো, সঙ্গীতচর্চার দিকে বিশেষভাবে নজর দেওয়া হয়েছে। সেজন্য রয়েছে উপযুক্ত পরিকাঠামো এবং যোগ্য শিক্ষক-শিক্ষিকা। শিক্ষক-শিক্ষিকা, ছাত্রছাত্রী,অভিভাবকদের নিজস্ব মতামত দানের অধিকার দেওয়ার মধ্য দিয়ে স্কুলের সুস্থ-সুন্দর পরিবেশ গড়ে তোলার দিকে নজর দেওয়া হয়েছে। বোর্ডের পরীক্ষায় নজরকাড়া সাফল্য পেয়ে থাকে ছাত্রছাত্রীরা। জেলা, রাজ্য ও জাতীয় স্তরের প্রতিযোগিতায় নিয়মিত অংশগ্রহণ করে তারা। দশম শ্রেণীর ছাত্র অর্কজিৎ দাস রসায়নের উপর জেলাভিত্তিক প্রতিযোগিতায় প্রথম স্থান অধিকার করেছে। ‘কনফেডারেশন অব ইন্ডিয়ান ইন্ডাস্ট্রিজ’ আয়োজিত প্রতিযোগিতায় প্রথম স্থান অধিকার করেছে নবম শ্রেণীর ছাত্রী সৃজা দাস। জুডোতে অঞ্চল ভিত্তিক প্রতিযোগিতায় ব্রোঞ্জ পদক জিতেছে ছাত্রী এলিনা দাস ও তিতলি পণ্ডা। স্কুলের নিজস্ব সুইমিং পুল ও বাস্কেটবলের মাঠ রয়েছে। আগামীদিনে নিজস্ব অডিটোরিয়াম গড়ে তোলার পরিকল্পনা রয়েছে। আরও বেশকিছু পরিকল্পনা রয়েছে। সমস্ত বাধা-বিপত্তিকে সরিয়ে ছেলেমেয়েদের আধুনিক শিক্ষা-ব্যবস্থার সুযোগ করে দেওয়ার মাধ্যমে স্কুলকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়াই একমাত্র লক্ষ্য।