Bartaman Patrika
প্রচ্ছদ নিবন্ধ
 

রাজীব ৭৫
মণিশঙ্কর আইয়ার

ছিয়াশি সালের ডিসেম্বর। অঝোরে তুষারপাত হচ্ছে। আমরা যাচ্ছি কাশ্মীর। কিন্তু একটা সময় আর্মি জানাল, আর যাওয়া সম্ভব নয়। এত তুষারপাতে হেলিকপ্টার ওড়ানো যাবে না। তাহলে? যাব কী করে? বাকিরাও বলল, দিল্লি ফিরে চলুন। কিন্তু প্রধাননমন্ত্রী বললেন, তা হয় না। যাব যখন বলেছি যেতে হবে। লোকেরা অপেক্ষা করে থাকবে যে! ঠিক হল, যাওয়া হবে অন রোড। প্রধানমন্ত্রীই ঠিক করলেন। সেই মতো উধমপুর থেকে গাড়িতে শ্রীনগর। প্রধানমন্ত্রী একটা গাড়িতে, আমি একটায়। পিছনে আমাদের লাগেজ। কাগজপত্র। কিন্তু কিছু দূর যাওয়ার পরেই বিরাট ধস। পাহাড় ধসে নেমে এল রাস্তায়। আমরা এগিয়ে গেলেও মালপত্রের গাড়ি রয়ে গেল ধসের ওপারে। পিছনে। কিন্তু আমরা এগিয়ে চললাম। শ্রীনগর পৌঁছতেই প্রধানমন্ত্রীর মুখ প্রসন্ন। শ্রীনগরও তখন খ্রিস্টমাসের পিকচার পোস্টকার্ড! তুষারে ঢেকে গিয়েছে চারপাশ। তার মধ্যে কাশ্মীরি ছেলেমেয়েরা অপেক্ষা করছে। কিন্তু ওই অবস্থায় কী করে যে ওদের মুখে হাসি লেগেছিল, ভেবে আশ্চর্য হয়েছিলাম। একে কনকনে ঠান্ডা। তায় পায়ে জুতো নেই। যা দেখে প্রধানমন্ত্রী অবাক হয়ে গিয়েছিলেন। তবে আমাকে বললেন, ‘মুখে হাসি রাখবে সব সময়। কাশ্মীর যেমন সুন্দর, তেমনই সেখানকার মানুষজন।’ ওদের চাওয়া পাওয়া মন দিয়ে শুনেছিলেন প্রধানমন্ত্রী। পরে দিল্লি ফিরে কাশ্মীরের মানুষের জন্য কী করা যায়, তার পরিকল্পনা করেছিলেন। মানুষের সঙ্গে মিশে তাদের জানা, বোঝার চেষ্টা করতেন রাজীব গান্ধী। এমনই প্রধানমন্ত্রী ছিলেন তিনি। বলতেন, যেখানকার মানুষের জন্য কিছু করবে বলে সরকার ভাবে, সবার আগে সেখানকার মানুষের মন বুঝতে হবে। তাদের রায় নিতে হবে। তবেই তাদের ভারত সম্পর্কে ভালোবাসা বাড়বে। এমনই ছিলেন সেদিনের প্রধানমন্ত্রী... রাজীব গান্ধী। অথচ আজকের সময়ে যা ঘটছে, তা নিয়ে আর বাড়তি বলার কিছু নেই। সবাই দেখছেন। বুঝছেন। এই সময়ের প্রেক্ষাপটে দাঁড়িয়ে রাজীব সম্পর্কে লিখতে গিয়ে তা‌ই সবার আগে এটাই মনে পড়ছে!
এরকম আরও অনেক ঘটনা আছে। স্রেফ মানুষের মন বোঝার চেষ্টাই নয়। ভারতের সীমান্ত সম্পর্কে কেবল মানচিত্রের রেখায় নয়, প্রান্তিক নাগরি঩কের কাছে পৌঁছেছিলেন প্রধানমন্ত্রী। রাজীব গান্ধী ছিলেন অ্যাথলিট মানসিকতার মানুষ। কিছুদিন আগেই প্রধানমন্ত্রী হয়েছেন। ঠিক হল, যাওয়া হবে মিজোরামের এক্কেবারে শেষ প্রান্ত। টিলাবোঙ্গ। প্লেটোর উপর হেলিকপ্টার দাঁড়িয়ে। আর রাজীব গান্ধী হেঁটে উঠে যাচ্ছেন আরও উঁচুতে। আমি চলেছি ধীরে, কিছুটা পিছনে। সঙ্গে এক মিজো মানুষ। রাজীবকে ওভাবে উঠে যেতে দেখে সেই মিজো মানুষটি জিজ্ঞেস করল, কে ওই ভদ্রলোক? উত্তর দিলাম, প্রাইম মিনিস্টার। বিশ্বাস হল না তাঁর। বললেন, না। উনি কী করে প্রধানমন্ত্রী হবেন। প্রধানমন্ত্রীর তো গোঁফ দেখেছি টিভিতে। এঁর তো নেই!
কথাটা শুনে আমি হাসছি। পরে শুনে হাসছেন রাজীব গান্ধীও। কিন্তু মনে মনে ঠিক করছেন অন্য কিছু। যা জানলাম ফিরতিপথে। হেলিকপ্টারে। বললেন, ওই মিজো মানুষটার কোনও দোষ নেই। উনি তো বাংলাদেশ টিভি দেখেন। তাই (তৎকালীন বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি) এরশাদকেই দেখেছেন। টিলাবোঙ্গ বাংলাদেশ সীমান্তে। তাই ওখানে বাংলা টিভি আসে। আমাদের নয়। দিল্লি ফিরেই তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রককে প্রধানমন্ত্রী অর্ডার দিলেন, মিজোরামে দূরদর্শনের টাওয়ার বসান। এবং সেটা টিলাবোঙ্গেই। ওরা যে ভারতীয়, ভারতের অংশে থাকেন মিজোরা, সেটা ওদের বোঝাতে হবে। হলও তাই। যা দেখে আমি বুঝলাম, কেবল ট্যুরিজম নয়। তারই মধ্যে দিয়ে কীভাবে মানুষের মনে পৌঁছানো যায়।
ভারতের মানুষ, সংস্কৃতি নিয়ে গোটা দেশের নাগরিকদের যুক্ত করায় প্রয়াসী ছিলেন প্রধানমন্ত্রী রাজীব গান্ধী। বিদেশ মন্ত্রকের আমলা থেকে প্রধানমন্ত্রী অফিসের জয়েন্ট সেক্রেটারি হিসেবে কাজ করার সূত্রে কাছ থেকে দেখেছি তাঁকে। পঞ্চায়েতস্তরে গ্রামের মানুষের কাছেও যাবতীয় অধিকার পূরণে উদ্যোগী। আধুনিক ভারত গড়ার কারিগর তো বটেই। কেবল নিত্য সরকারি কাজের সূত্রে যোগাযোগই নয়, একটা সময়ে আমি রাজীব গান্ধীর স্পিচও লিখতাম। আমার ড্রাফট পছন্দ করতেন। তাই এ ব্যাপারে প্রধানমন্ত্রীর দপ্তরের অনেকের আপত্তি উড়িয়ে আমার লেখাই পড়তেন। আসলে পাঞ্জাবের অপারেশন ব্লু-স্টারের সময় মিসেস গান্ধীকে (ইন্দিরা গান্ধী) যে গোপন রিপোর্ট লিখে দিতাম, স্পেশাল পাবলিসিটি গ্রুপের হয়ে কাজ করতাম, তার কপি উনি রাজীব গান্ধীকে দিতেন। আলোচনা করতেন। আমি যদিও তা জানতামই না। পরে রাজীব গান্ধী প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পরে জেনেছি।
তবে সেসব নিজের কথার বাইরে আজ ‘বর্তমান’ কাগজের পাঠকের জন্য অন্য কয়েকটা ঘটনার কথা বলব বলেই ঠিক করেছি। যেখানে অন্য রাজীব গান্ধী রয়েছে। দেশের মানুষই ছিল রাজীব গান্ধীর প্রায়োরিটি। রাজনীতি পরে।
মিজোরামের মুখ্যমন্ত্রী কংগ্রেসের লালথাং হাওলার শপথ গ্রহণে যাওয়া হবে। হঠাৎ রাজীব গান্ধী জানালেন, তিনি অরুণাচলেও যেতে চান। একইদিনে। আমি সঙ্গে সঙ্গে জর্জকে বললাম। ভিনসেন্ট জর্জ, প্রধানমন্ত্রীর ব্যক্তিগত সচিব। বললাম, কী হবে? জর্জ বলল, প্রধানমন্ত্রী চাইছেন। ব্যবস্থা করতেই হবে। হলও। ইটানগরে একটা জনসভার আয়োজন হল। প্রধানমন্ত্রী রাজীব গান্ধী মঞ্চে বক্তৃতা দিচ্ছেন। আমি সাধারণভাবে যেমন থাকতাম, তেমনই মঞ্চের নীচে একটা কোণে দাঁড়িয়ে শুনছি। কিন্তু এ কী শুনছি! রাজীব গান্ধী ঘোষণা করলেন, কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল থেকে অরুণাচল হবে সম্পূর্ণ রাজ্য। আমার বিশ্বাসই হচ্ছিল না। এমন ঘোষণা? তাও চীন সফরের আগে! তাই সভার পর ডিব্রুগড় থেকে দিল্লি ফেরার পথে প্রোটোকল ভেঙে আমি প্রধানমন্ত্রীর কেবিনে গেলাম। জানতে চাইলাম, যা স্বাধীনতা দিবসের বক্তৃতায় বলার কথা, তা আগেভাগেই কেন ঘোষণা করলেন প্রধানমন্ত্রী? তাও চীন যাওয়ার আগে? রাজীব গান্ধী হেসে জবাব দিলেন, মণি, আমরাই যদি নিজেদের না চিনি, বর্ডার না বুঝি, তাহলে চীনকে কী বোঝাব! সীমান্ত সম্পর্কে সাংঘাতিক ওই বোঝাপড়া এবং সঙ্গে কূটনৈতিক বার্তা দেওয়ার বিষয়টি শুনে আমি চুপ করে গিয়েছিলাম। বলেছিলাম, আই স্যালুট ইউ!
উত্তর-পূর্ব সহ সীমান্তের মানুষকে কীভাবে কাছে টানা যায়, কীভাবে মেনল্যান্ডের সঙ্গে নাগরিকদের জোড়া যায়, প্রধানমন্ত্রী হিসেবে রাজীব গান্ধীকে তা বারবার দেখেছি। একের পর এক ঘটনায়। কেবল সরকারি প্রোটোকলে নয়। সেখানকার মানুষের আবেগকে ছুঁয়ে কীভাবে কাজ করতে হয়, তারও সাক্ষী আমি। লাদাখে একটা জায়গা আছে... জাংস্কার ভ্যালি। পদুম গ্রাম। রাজীব গান্ধী ঠিক করলেন সেখানে যাবেন। ব্যবস্থা হল। কিন্তু তুষারপাত হচ্ছে। বরফে ঢেকে গিয়েছে পদুম। বরফের উপর পাতা হয়েছে লোহার মোটা পাত। সেখানেই হেলিকপ্টার নামবে। কিন্তু নামবে কী? হেলিকপ্টারের রোটর ব্লেডের প্রচণ্ড গতির দাপটে সেই পাত উড়ে যাওয়ার উপক্রম। পাইলট জানিয়ে দিল, অসম্ভব। নামা যাবে না। তাই অগত্যা হেলিকপ্টার উড়ে গেল কার্গিলে। খানিকক্ষণ বাদে তুষারপাত কমলে প্রস্তাব দিলাম, ফের একবার চেষ্টা করে দেখি। আমি যাচ্ছি পদুম। তারপর সেখান থেকে পরিস্থিতি জানাব। ফিরে গিয়ে দেখি তখনও প্রধানমন্ত্রীকে দেখার জন্য ঠায় উপত্যকার মানুষ দাঁড়িয়ে। আমি এসপিজি নেটওয়ার্কের মাধ্যমে কার্গিলে খবর পাঠালাম। হেলিকপ্টার উড়ে গেল কার্গিল। অপেক্ষমান মানুষকে বললাম, আপনারা দাঁড়ান। ওয়াজিরে আজম অব আ রহে হ্যায়। কিছুক্ষণের মধ্যে কার্গিল থেকে হেলিকপ্টার আবার এল। প্রধানমন্ত্রী রাজীব গান্ধী। সঙ্গে ফারুক আবদুল্লা। কিন্তু ফের একই হাল হল। লোহার পাত উড়ে যাওয়ার উপক্রম। এদিকে প্রধানমন্ত্রীও জানিয়ে দিলেন, তিনি নামবেনই। পাইলট মানা করলেন। কিন্তু রাজীব গান্ধী অটল। নামবেন। শেষমেশ মাটি থেকে প্রায় এক ফুট ওপরে হেলিকপ্টার ভেসে রইল। চলন্ত অবস্থায় দরজা খুলে লাফিয়ে নামলেন রাজীব গান্ধী। অনুসরণ করলেন ফারুক। কেবল নেমে মানুষের সঙ্গে কথা বলাই নয়, একইরকম ঝুঁকি নিয়ে ভেসে থাকা হেলিকপ্টারে উঠেওছিলেন রাজীব গান্ধী। বলেছিলেন, দেশের মানুষের জন্য এই সামান্য ঝুঁকিও যদি না নিতে পারি, তাহলে আর কী!
একবার নয়। বারবার ঝুঁকি নিয়েছেন রাজীব গান্ধী। আন্দামান নিকোবরে গ্রেটার নিকোবরে পিগমেলিয়ান পয়েন্টে (এখন যা ইন্দিরা পয়েন্ট) যাবেন। মূল ভূখণ্ড থেকে জায়গাটা প্রায় ৮০ নটিক্যাল মাইল। জায়গাটা ভারতের মূল ভূখণ্ডের চেয়ে সুমাত্রার কাছে। ওখানে অবসরপ্রাপ্ত শিখ সেনাদের একাংশ থাকতেন। রাজীব গান্ধী বললেন, আমি যাব। এসপিজির আপত্তি। মিসেস গান্ধীর হত্যার স্মৃতি রয়েছে। তাই এসপিজি নারাজ। কিন্তু প্রধানমন্ত্রীও জানিয়ে দিলেন, ওরা আমাদেরই দেশের নাগরিক। আমাদের নিজেদের লোক। তাই ওদের কাছে যাবই। ভয় কী?
অথচ এই রাজীবকেই আমি চিনতাম না। রাজীব গান্ধী যে আমার হয়ে কেমব্রিজে ক্যাম্পেন করেছেন, তাও জেনেছি পরে। আমি ইউনিভার্সিটির ছাত্র নির্বাচনে লড়ছি। প্রেসিডেন্ট পদ। যদিও জিততে পারিনি। তবে সেক্রেটারি হয়েছিলাম। ভারতীয় ছাত্রছাত্রীদের কাছে গিয়ে রাজীবের প্রচার ছিল, ভারতীয় একজন প্রেসিডেন্টের পদে লড়ছেন। তাঁকে ভোট দেবেন না? অনেক পরে প্রধানমন্ত্রী রাজীব গান্ধীর সঙ্গে তাঁর জয়েন্ট সেক্রেটারি হিসেবে পিএমওতে কাজ করার সময় ওই ঘটনার কথা জেনেছিলাম। সেই থেকে আমি রাজীবের প্রতি কৃতজ্ঞ। মজার ব্যাপার হল, স্কুল এবং ইউনিভার্সিটিতে রাজীব আমার জুনিয়র থাকলেও পরে ও আমার কাছে হল ‘স্যার।’ প্রাইম মিনিস্টার। কোনওদিন নাম ধরে ডাকিনি। অলওয়েজ বলেছি স্যার। ও ডাকত মণি বলে। সেটাই স্বাভাবিক। পদ মর্যাদা এবং ব্যক্তিত্বই বড়। বয়স নয়। যদিও আমাদের সম্পর্ক ছিল আন্তরিক।
মনে পড়ছে দুন স্কুলের জুনিয়রকেও। আমার চেয়ে রাজীব ছিল তিন বছরের জুনিয়র। একটা লাজুক ছেলের মুখ ভেসে ওঠে। ঠান্ডা গলায় জিজ্ঞেস করেছিল, ‘আমি কি একটু সাঁতার কাটতে পারি?’ স্কুলে সব ক্লাসেই সাঁতারের সময় ভাগ করা ছিল। সেই সময়ের বাইরে হলে অনুমতি নিতে হতো। আমরা সিনিয়র। ওটা ছিল আমাদের সময়। কিন্তু একজন জুনিয়র এসে সাঁতার কাটতে চাইল। আমার অন্য ক্লাসমেটরা ততটা আগ্রহ দেখাল না। কিন্তু আমি বললাম, ওকে। যাও। অনুমতি আদায় করে সেই ছেলেটির মুখে কী আনন্দ। স্মিত হাসি। আজীবন সেদিনের সেই নিষ্পাপ হাসিটা অটুট ছিল রাজীবের। ৭৫ বছরের জন্মদিনে সংসদ ভবনের সেন্ট্রাল হলে রাজীব গান্ধীর ছবির দিকে তাকিয়েও দেখলাম, সেই হাসিটা এখনও একইরকম প্রাণবন্ত!
 অনুলিখন: সন্দীপ স্বর্ণকার
25th  August, 2019
প্র তি মা র বি ব র্ত ন
সোমনাথ দাস

বর্ষা আর শরৎ এখন মিলেমিশে একাকার। বিশ্ব উষ্ণায়নের কৃপাদৃষ্টিতে শহরবাসীর পক্ষে আর এই দু’টি ঋতুকে আলাদা করা সম্ভব নয়। তবে ভাদ্রের সমাপ্তি এবং আশ্বিনের সূচনা বাঙালির জীবনে নিয়ে আসে এক অনাবিল আনন্দ। মা দুর্গার আগমনবার্তায় আমাদের হৃদয় নেচে ওঠে।   বিশদ

29th  September, 2019
পুজোর ফুলের যন্ত্রণা
বিশ্বজিৎ মাইতি

 বিশ্বজিৎ মাইতি: হাওড়া‑খড়্গপুর রেলওয়ে শাখার বালিচক স্টেশন। মার্চ মাসের এক শুক্রবারের সকালে বেশ কয়েকজনকে ধরেছেন টিটি। বিনা টিকিটে ট্রেন সফর। তাঁদের মধ্যে এক যুবকের হাতে গোটা চারেক বস্তা। হাতে একগুচ্ছ ব্যাগ। গাল ভর্তি দাড়ি। উসকো-খুসকো চুল। পরনে নানান দাগে ভর্তি জামা ও হাফপ্যান্ট। করুণ চোখে আচমকাই নিজের মানিব্যাগ টিটির মুখের সামনে দেখিয়ে ধরা গলায় বলল, ‘স্যার একটা টাকাও নেই। পুরো শরীর চেক করে দেখুন...।
বিশদ

22nd  September, 2019
ভো-কাট্টা

বিশ্বকর্মা পুজোর সঙ্গে ঘুড়ি ওড়ানোটা সমার্থক হয়ে গিয়েছে। বিশ্বকর্মা পুজো মানেই আকাশজোড়া ঘুড়ির আলপনা। অসংখ্য ঘুড়ির ভেলায় যেন স্বপ্ন ভাসে। বহু কৈশোর আর যৌবনের মাঞ্জায় লেগে আছে ঘুড়ি ওড়ানোর স্মৃতি। যে ছেলেটা কোনওদিন সকাল দেখেনি, সেও বিশ্বকর্মা পুজোর দিনে সূর্য ওঠার আগেই ঘুড়ি-লাটাই নিয়ে ছাদে উঠে যায়।  
বিশদ

15th  September, 2019
নির্মাণশিল্পী বিশ্বকর্মা
সন্দীপন বিশ্বাস

জরাসন্ধ তখন প্রবল প্রতাপান্বিত। বারবার মথুরা আক্রমণ করছিলেন। কিন্তু সপ্তদশ প্রচেষ্টাতেও মথুরা জয় করা তাঁর পক্ষে সম্ভব হয়নি। তাই ফের তিনি মথুরা আক্রমণের প্রস্তুতি নিতে লাগলেন। কৃষ্ণ অবশ্য জানতেন জরাসন্ধ কিছুতেই মথুরা জয় করতে পারবেন না।
বিশদ

15th  September, 2019
আগুন বাজার
বীরেশ্বর বেরা

 ‘কেন? আপনি যে পটল বেচছেন, এমন পটল তো আমরা ৩০-৩২ টাকায় কিনছি!’ গ্রাম্য যুবক তাঁর আপাত-কাঠিন্যের খোলস ছেড়ে সহজ হয়ে গেলেন হঠাৎ। তেলের টিনের উপর চটের বস্তা বেঁধে টুলের মতো বসার জায়গাটা এগিয়ে দিয়ে বললেন, ‘বসুন তাহলে, বলি। বিশদ

08th  September, 2019
সমাপ্তি
সমৃদ্ধ দত্ত

মহাত্মা গান্ধীর প্রকাশিত রচনাবলীর খণ্ড সংখ্যা ৯০ ছাড়িয়ে গিয়েছে। এ পর্যন্ত জওহরলাল নেহরুর লেখা নিয়ে প্রকাশিত যত রচনা আছে, তা প্রায় ৫০ খণ্ড অতিক্রান্ত। বাবাসাহেব আম্বেদকরের সারা জীবনের যাবতীয় রচনা সমন্বিত করে এখনও পর্যন্ত ১৬টি খণ্ডসংবলিত রচনাবলী প্রকাশ পেয়েছে। 
বিশদ

01st  September, 2019
শতবর্ষে  সারাভাই
মৃন্ময় চন্দ

চন্দ্রযান-২’র সাফল্যে গর্বিত ভারত। অভিজাত মহাকাশ ক্লাবের সদস্যদেশগুলির সঙ্গে ভারত আজ এক পংক্তিতে। মহাকাশ গবেষণায় ভারতের ঈর্ষণীয় সাফল্যের রূপকার নিঃসন্দেহে ক্ষণজন্মা বিরল প্রতিভাধর মিতভাষী এক বিজ্ঞানী—বিক্রম সারাভাই। একার হাতে যিনি গড়ে দিয়ে গেছেন ভারতের বিপুলা মহাকাশ সাম্রাজ্য। ১২ই আগস্ট ছিল তাঁর জন্মশতবার্ষিকী। বিশদ

18th  August, 2019
জয় জওয়ান

ঝুঁকি শব্দটি যখনই উল্লেখ করা হয়, তখনই তার সঙ্গে আবশ্যিকভাবে যুদ্ধের বিষয়টি এসে পড়ে। কিন্তু শুধু যুদ্ধে নয়, ঝুঁকি রয়েছে প্রশিক্ষণ পর্বেও। একজন যুদ্ধবিমানের পাইলটকে নানাভাবে তৈরি হতে হয়। আকাশপথে সেই প্রশিক্ষণ যখন শুরু হয়, তখন প্রতিটি স্তরেই ঝুঁকি থাকে। সেগুলো অতিক্রম করে সাফল্য পাওয়াই একজন পাইলটের কাছে চ্যালেঞ্জ। বিশদ

11th  August, 2019
জাতীয়তাবাদ ও রবিঠাকুর 
সমৃদ্ধ দত্ত

জাতীয়তাবাদের সংজ্ঞা তাঁর কাছে আলাদা। বিশ্বাস করতেন, গ্রামই ভারতের চেতনা। সম্পদ। তাই শুধু ইংরেজ বিরোধিতা নয়, রবিঠাকুরের লক্ষ্য ছিল ভারতের উন্নয়ন। ভারতবাসীর উন্নয়ন। তাঁদের স্বনির্ভর করে তোলা। অন্যরকম তাঁর স্বদেশপ্রেম। আরও এক ২২ শ্রাবণের আগে স্মরণ এই অন্য রবীন্দ্রনাথকে। 
বিশদ

04th  August, 2019
গণহত্যার সাক্ষী
মৃণালকান্তি দাস

এ এক হিবাকুশার গল্প। পারমাণবিক বোমা হামলার পর হিরোশিমা ও নাগাসাকির যারা বেঁচে গিয়েছিলেন, তাদের বলা হয় হিবাকুশা। তাঁরা কেউই হিবাকুশা হতে চাননি, চেয়েছিলেন আর দশজন স্বাভাবিক মানুষের মতোই সুন্দর একটা জীবন কাটাতে। কিন্তু ‘ফ্যাট ম্যান’ ও ‘লিটল বয়’ নামে দুটি অভিশাপ তছনছ করে দিয়েছিল তাঁদের সাজানো সংসার, সাজানো স্বপ্ন সহ সবকিছু। তেমনই একজন হিবাকুশা সাচিকো ইয়াসুই। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ কেড়ে নিয়েছিল তার সর্বস্ব...।
বিশদ

28th  July, 2019
বদলের একুশ
জয়ন্ত চৌধুরী

 একুশে জুলাই। শহিদ স্মরণ। তৃণমূলের বাৎসরিক শহিদ তর্পণ। গত আড়াই দশকের বেশি সময় ধরে এটাই চল। ঝড়-জল-বৃষ্টি-বন্যা সবই অপ্রতিরোধ্য একুশের আবেগের কাছে। তাই কেন একুশ, এই প্রশ্নের চাইতে অনেক বেশি জায়গা দখল করে রয়েছে এই দিনকে ঘিরে বাঁধনহারা উচ্ছ্বাস।
বিশদ

21st  July, 2019
অচেনা কাশ্মীর
ফিরদৌস হাসান

 ২০১৪ সালের পর এই প্রথম এত তুষারপাত হয়েছে উপত্যকায়। সাদায় মুখ ঢেকেছিল ভূস্বর্গ। আর তার সঙ্গে তাল মিলিয়ে পাল্লা দিয়েছিল পর্যটনও। বরফঢাকা উপত্যকার নৈসর্গিক দৃশ্য উপভোগ করার সুযোগ কে-ই বা হাতছাড়া করতে চায়! তাই তো জানুয়ারিতে দেশি-বিদেশি পর্যটকদের কোলাহলে উপত্যকা গমগম করছিল।
বিশদ

14th  July, 2019
জল সঙ্কট 

কল্যাণ বসু: দুধ সাদা ধুতি পাঞ্জাবি, মাথায় নেহরু টুপি, গলায় মালা ঝুলিয়ে মন্ত্রী দু’হাত জোড় করে হাসিমুখে মঞ্চের দিকে যাচ্ছেন। চারদিকে জয়ধ্বনি, হাততালি। মঞ্চে উঠে মাইক্রোফোন হাতে নিয়ে মন্ত্রী বলতে শুরু করেছেন সবে।  বিশদ

07th  July, 2019
জগন্নাথের ভাণ্ডার
মৃন্ময় চন্দ

‘রথে চ বামনং দৃষ্ট, পুনর্জন্ম ন বিদ্যতে’। অর্থাৎ, রথের রশি একবার ছুঁতে পারলেই কেল্লা ফতে, পুনর্জন্ম থেকে মুক্তি। আসলে সর্বধর্মের সমন্বয়ে বিবিধের মাঝে মিলন মহানের এক মূর্ত প্রতিচ্ছবি এই রথযাত্রা। সেই কারণেই নিউজিল্যান্ডের হট প্যান্টের গা ঘেঁষে সাত হাত কাঞ্চীপূরমীয় ঘোমটা টানা অসূর্যমপশ্যা দ্রাবিড়ীয় গৃহবধূও শামিল হন রথের রশি ধরতে। অর্কক্ষেত্র, শঙ্খক্ষেত্র আর শৈবক্ষেত্রের সমাহারে সেই মিলন মহানের সুরটিই সতত প্রতিধ্বনিত নীলাচলে। তাই নীলাচলপতির দর্শনে অক্ষয় বৈকুণ্ঠ লাভের আশায় ভিড়ের ঠেলায় গুঁতো খেতে খেতে চলেন সংসার-বঞ্চিত বাল্যবিধবারা। একই মনোবাসনা নিয়ে চলেছেন অন্ধ, চলেছেন বধির, চলেছেন অথর্ব।
বিশদ

30th  June, 2019
একনজরে
সংবাদদাতা, কাঁথি: বুধবার দীঘায় সমুদ্রে মৎস্যজীবীদের জালে ধরা পড়ল বিশালাকৃতি ‘চিলমাছ’। এদিন মোহনার আড়তে মৃত এই মাছটি নিয়ে আসা হয়। অচেনা এই মাছ দেখতে উৎসুক মানুষজন ভিড় জমান। পাশাপাশি দীঘায় বেড়াতে আসা পর্যটকরাও ভিড় জমান।   ...

পুনে, ৯ অক্টোবর: ভারতের মাটিতে ‘টিম ইন্ডিয়া’কে হারানো কতটা কঠিন, তা বিলক্ষণ টের পেয়েছে দক্ষিণ আফ্রিকা। কারণ, প্রথম টেস্টের প্রথম ইনিংসে ভারতীয় দলের ৫০২ রানের ...

বিএনএ, জলপাইগুড়ি: জলপাইগুড়ি পান্ডাপাড়া সর্বজনীন দুর্গাপুজো কমিটির মণ্ডপে পাশাপাশি দেখা গিয়েছে দিদি-মোদির ফ্লেক্স। পুজো প্যান্ডেলে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, দেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ, বিজেপি’র রাজ্য সভাপতি দিলিপ ঘোষের অভিনন্দনজ্ঞাপক ফ্লেক্সের পাশে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও জলপারইগুড়ি পুরসভার চেয়ারম্যান মোহন ...

নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: পুজো যত এগিয়েছে, ততই কমেছে বিদ্যুতের সর্বোচ্চ চাহিদা। সিইএসসি সূত্রের খবর, মূলত বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে ছুটি থাকায় এবং মাঝে-মধ্যে বৃষ্টির জেরে বিদ্যুতের সর্বোচ্চ চাহিদা ক্রমশ কমেছে।  ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

বিদ্যার্থীদের বেশি শ্রম দিয়ে পঠন-পাঠন করা দরকার। কোনও সংস্থায় যুক্ত হলে বিদ্যায় বিস্তৃতি ঘটবে। কর্মপ্রার্থীরা ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

মানসিক স্বাস্থ্য দিবস
১৯৫৪: অভিনেত্রী রেখার জন্ম
১৯৬৪: অভিনেতা ও পরিচালক গুরু দত্তের মৃত্যু
২০১১: গজল গায়ক জগজিৎ সিংয়ের মৃত্যু  



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৭০.৩৪ টাকা ৭২.০৪ টাকা
পাউন্ড ৮৫.৩৯ টাকা ৮৮.৫৪ টাকা
ইউরো ৭৬.৬০ টাকা ৭৯.৫৩ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৩৮,৭৭৫ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৩৬,৭৯০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৩৭,৩৪০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৪৫,৮৫০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৪৫,৯৫০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

২৩ আশ্বিন ১৪২৬, ১০ অক্টোবর ২০১৯, বৃহস্পতিবার, দ্বাদশী ৩৫/৪৩ রাত্রি ৭/৫২। শতভিষা ৫১/৩৮ রাত্রি ২/১৪। সূ উ ৫/৩৪/৩৩, অ ৫/১৩/১৭, অমৃতযোগ দিবা ৭/৮ মধ্যে পুনঃ ১/২২ গতে ২/৫৪ মধ্যে। রাত্রি ৬/৩ গতে ৯/২১ মধ্যে পুনঃ ১১/৪৮ গতে ৩/৬ মধ্যে পুনঃ ৩/৫৫ গতে উদয়াবধি, বারবেলা ২/১৯ গতে অস্তাবধি, কালরাত্রি ১১/২৪ গতে ১২/৫৭ মধ্যে। 
২২ আশ্বিন ১৪২৬, ১০ অক্টোবর ২০১৯, বৃহস্পতিবার, দ্বাদশী ৩৫/৪৭/৪২ রাত্রি ৭/৫৩/৫২। শতভিষা ৫৪/১৮/১৬ রাত্রি ৩/১৮/৫, সূ উ ৫/৩৪/৪৭, অ ৫/১৪/৪৭, অমৃতযোগ দিবা ৭/১৩ মধ্যে ও ১/১৩ গতে ২/৪৪ মধ্যে এবং রাত্রি ৫/৫০ গতে ৯/১৩ মধ্যে ও ১১/৪৬ গতে ৩/১৫ মধ্যে ও ৪/১ গতে ৫/৩৫ মধ্যে, বারবেলা ৩/৪৭/১৭ গতে ৫/১৪/৪৭ মধ্যে, কালবেলা ২/১৯/৪৭ গতে ৩/৪৭/১৭ মধ্যে, কালরাত্রি ১১/২৪/৪৭ গতে ১২/৫৭/১৭ মধ্যে। 
মোসলেম: ১০ শফর 

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
আজকের রাশিফল  
মেষ: ব্যবসায় যুক্ত হলে ভালো। বৃষ: বিবাহের সম্ভাবনা আছে। মিথুন: ব্যবসায় বেশি বিনিয়োগ ...বিশদ

07:11:04 PM

ইতিহাসে আজকের দিনে 
মানসিক স্বাস্থ্য দিবস১৯৫৪: অভিনেত্রী রেখার জন্ম১৯৬৪: অভিনেতা ও পরিচালক গুরু ...বিশদ

07:03:20 PM

২০১৮ সালে সাহিত্যে নোবেল পাচ্ছেন পোল্যান্ডের ওলগা তোকারজুক এবং ২০১৯ সালে সাহিত্যে নোবেল পাবেন অস্ট্রিয়ার পিটার হ্যান্ডকা

05:15:00 PM

দ্বিতীয় টেস্ট, প্রথম দিন: ভারত ২৭৩/৩ 

04:43:00 PM

সিউড়ি বাজারপাড়ায় পরিত্যক্ত দোতলা বাড়ির একাংশ ভেঙে পড়ল, চাঞ্চল্য 

04:27:12 PM

মুর্শিদাবাদে গায়ে আগুন লাগিয়ে আত্মঘাতী বৃদ্ধ 
রোগ যন্ত্রণা সহ্য করতে না পেরে গায়ে আগুন লাগিয়ে ...বিশদ

03:34:00 PM