ব্যবসায় অগ্রগতি ও শুভত্ব বৃদ্ধি। ব্যয়ের চাপ থাকায় সঞ্চয়ে বাধা থাকবে। গলা ও বাতের সমস্যায় ... বিশদ
সাজগোজের সময় একটু হল্টার, একটু স্লিভলেস পোশাক পরার শখ জাগে। অথবা হট প্যান্টস বা শর্টস পরতে ইচ্ছে হয়। তাহলে হাত ও পায়ের টোনিং এক্সারসাইজে মন দিন।
হাতের টোনিং
পা অল্প ফাঁক করে সোজা হয়ে দাঁড়ান। এবার হাত দুটো কাঁধ বরাবর সোজা করে ছড়িয়ে দিন। তারপর তা ক্লকওয়াইজ গোলাকারে ঘোরান। এইভাবে কুড়িবার করার পর তা আবারও অ্যান্টি ক্লকওয়াইজ কুড়িবার ঘোরাবেন।
দু’হাতে দুটো জলভর্তি হাফ লিটারের বোতল নিন। এবার হাত দুটো নীচ থেকে উপর দিকে ক্রমশ তুলুন। প্রথমে কনুই থেকে হাত ভাঁজ করে কাঁধের সঙ্গে লাগান তারপর কাঁধ থেকে সোজা করে কানের পাশ দিয়ে ওপরে তুলুন। এইভাবে কুড়িবার করুন।
পায়ের টোনিং
পায়ের টোনিংয়ের জন্য অনবদ্য এক্সারসাইজ জগিং। রোজ সকালে বেরিয়ে একপাক জগিং করতে পারলে তো কথাই নেই। না হলে অন্তত ঘরেই স্পট জগিং করুন। তিরিশ কাউন্ট নিয়ে শুরু করুন। কাউন্ট বাড়াতে বাড়াতে ১০০ পর্যন্ত নিয়ে যাবেন। তারচেয়েও বেশিবার পারলে আরও ভালো।
থাই মাসল টোনিংয়ের জন্য দ্বিতীয় উপযোগী ব্যায়ামটি স্কোয়াট। সোজা হয়ে দাঁড়ান। তারপর হাত দুটো সামনের দিকে ছড়িয়ে দিয়ে ওঠবসের কায়দায় হাঁটু ভাঁজ করে হাফ সিট অবস্থায় পৌঁছন। এবং উঠে দাঁড়ান। এইভাবে অন্তত দশবার অভ্যাস করুন।
একটা বয়সের পর আমাদের মধ্যপ্রদেশটি বড় হতে থাকে। তাই পেটের ব্যায়াম খুবই জরুরি। পেটের মেদ কমানোর জন্য সব বয়সের পক্ষে উপযোগী কয়েকটি ব্যায়ামের কথা বলি।
ক্রাঞ্চেস
চিত হয়ে শুয়ে পড়ুন। তারপর হাঁটু থেকে পা দুটো ভাঁজ করে নিন। হাতের আঙুল একে অপরের সঙ্গে গলিয়ে মাথার পিছনে নিয়ে যান। এবার হাতে চাপের সাহায্যে মাথা ও পিঠ উপরে তুলুন যতটা সম্ভব। যাতে পেটের পেশিগুলোয় টান ধরে। লক্ষ্য হবে শরীরের উপরের অংশ তুলে মাথা হাঁটুতে ঠেকানো। এক্সারসাইজটি তিরিশবার পর্যন্ত করুন।
লেগ লিফটিং
চিত হয়ে শুয়ে হাত দুটো পাশে রাখুন। এবার শ্বাস নিতে নিতে পা দুটো উপরের দিকে সোজা করে তুলতে থাকুন। পুরো নব্বই ডিগ্রি অ্যাঙ্গেলে পা তোলার পর শ্বাস বন্ধ করে কুড়ি গুনুন। তারপর শ্বাস ছাড়তে ছাড়তে পা নামিয়ে দিন। হাঁটু যেন একটুও ভাঁজ না হয়।
স্টম্যাক ভ্যাকুয়াম
পদ্মাসনে বসুন। না পারলে চেয়ারে বসুন। তারপর হাত দুটো হাঁটুর উপর রাখুন। নাক দিয়ে প্রথমে সব শ্বাস ছাড়ুন। তারপর শ্বাস টানতে টানতে পেটটাকে ভিতর দিকে টেনে নিয়ে যান। এমনভাবে করবেন যেন মনে হয় পেটের ভিতর একটা ভ্যাকুয়াম তৈরি হয়েছে। নাভি গিয়ে স্পাইনাল কর্ডে ঠেকলে বুঝবেন ব্যায়ামটি সঠিক হয়েছে। তবে সে পর্যায় পৌঁছতে প্রচুর অভ্যাসের প্রয়োজন।
এবার পুজো আসুক বা অন্য কোনও অনুষ্ঠান, খাওয়াদাওয়া করুন আর প্রয়োজনীয় এক্সারসাইজ করুন। মেদকে ভয় না পেয়ে বরং নিশ্চিন্তে বাঁচুন।