ব্যবসায় অগ্রগতি ও শুভত্ব বৃদ্ধি। ব্যয়ের চাপ থাকায় সঞ্চয়ে বাধা থাকবে। গলা ও বাতের সমস্যায় ... বিশদ
দুগ্গা দুগ্গা বলে শারদ উৎসবে ইতি টেনেছি আমরা। হ্যাঁ, বাঙালির বারো মাসের তেরো পার্বণের শ্রেষ্ঠটি সবেমাত্র শেষ হয়েছে। কিন্তু তারপরেই কপালে চিন্তার ভাঁজ! পুজোর সময় দেদার খাওয়াদাওয়া আর অনিয়ম হয়েছে যে! ফলে খানিকটা ‘গালফোলা গোবিন্দর মা’-র রূপ নিয়েছে মুখখানি। তাই চিন্তায় মগ্ন আমরা। কীভাবে ঝরানো যাবে মুখের বাড়তি মেদ? হোলিস্টক থেরাপি এক্সপার্ট বন্দনা গুপ্তা সমাধানের উপায় জানালেন।
উঃ আর আঃ
পিঠ টানটান করে যে কোনও সুখাসনে বসুন। এবার হাত দুটো হাঁটুর ওপর রাখুন। তারপর জোরে শ্বাস টেনে নিন। এবার ঠোঁট দুটো গোল করে উঃ বলতে বলতে শ্বাসের খানিকটা ছাড়ুন। তারপর হাঁ করে আঃ আওয়াজ করতে করতে বাকি শ্বাসটা ছাড়বেন। এই আঃ আওয়াজ করার সময় ঠোঁট দুটো খুলে ছড়িয়ে দেবেন। এবং খেয়াল রাখবেন গলার পেশি যেন টানটান হয়ে যায়। চোয়ালের পেশিতেও টান পড়বে। এইভাবে তিনবার করে উঃ এবং তিনবার করে আঃ বলবেন। তারপর তা ক্রমশ বাড়িয়ে পাঁচ থেকে দশ থেকে পনেরোবার অভ্যাস করবেন। উঃ উচ্চারণের সময় চোখ থাকবে মাটির দিকে। আর আঃ উচ্চরণের সময় তা থাকবে সামনের দিকে।
আকাশে হাসি
দ্বিতীয় ব্যায়ামের ক্ষেত্রে মুখে থাকবে ছড়ানো হাসি। হাতের আঙুল একে অপরের সঙ্গে গলিয়ে নিয়ে তা চিবুকের নীচে রাখুন। তারপর জোরে শ্বাস টেনে নিন। এবার হাতের চাপে ক্রমশ মুখটা উপর দিকে, আকাশের দিকে তুলুন এবং আস্তে শ্বাস ছাড়ুন। এক্ষেত্রে নাক দিয়ে শ্বাস টেনে তা নাক দিয়েই ছাড়বেন। কিন্তু ঠোঁট যেন ছড়ানো থাকে। দাঁত বেরিয়ে থাকে। মুখ থাকে হাসি হাসি। এই ব্যায়ামটা পরপর পাঁচবার করুন। ক্রমশ বাড়িয়ে পনেরোবার করবেন।
পাউটি ফেস
সেলফি তোলার সময় অনেকেই পাউট করেন। অর্থাৎ ঠোঁট ফোলান। এবার সেই পাউটটাকেই এক্সারসাইজে বদল করুন। প্রথমত, ঠোঁট ফুলিয়ে তা উপর দিকে ঠেলে তুলে নাকের ডগা ছোঁয়ার চেষ্টা করুন। যতটা যাবে ততই ভালো। এরপর আবারও স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরুন। তারপর সেই পাউট মুখ বেঁকানোর ভঙ্গিতে একবার ডানদিকে এবং একবার বাঁদিকে ঘোরান। আবারও স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরুন। তারপর তা ক্লকওয়াইজ ও অ্যান্টিক্লকওয়াইজ দু’বার করে ঘোরান। প্রতিবারই খেয়াল করে দেখবেন এই এক্সারসাইজ করার সময় চোয়ালের নীচের অংশ থেকে চিবুক পর্যন্ত মাসলে টান পড়ছে।
ফোলা গাল
মুখের এই ব্যায়ামটির জন্য গাল দুটো হাওয়ায় ফুলিয়ে নিন। তারপর তা এক গাল থেকে অন্য গালে নিয়ে যান আবারও অন্য গাল থেকে আগের গালে ফিরিয়ে আনুন। যখন এক গাল হাওয়ায় ফুলে উঠবে তখন অন্য গালটি ফ্ল্যাট হয়ে যাবে। এইভাবে বার দশেক গালে হাওয়া চালাচালি করার পর তা আপার লিপে নিয়ে আসুন। তারপর চিবুকে নিয়ে যান এবং ওপর নীচে হাওয়া ঘোরাতে থাকুন। বেশ কয়েকবার করার পর যখন দেখবেন গাল, চোয়াল ও চিবুক ব্যথা করছে তখন আস্তে করে মুখ দিয়ে হাওয়া বার করে দিন। এই ব্যায়ামটা করার সময় আঙুল দিয়ে হালকা চাপড় মারবেন ঠোঁটের চারপাশে এবং আপার লিপে। তাতে লাফ লাইন দূর হবে। অর্থাৎ নাক ও ঠোঁটের ধার বরাবর অবাঞ্ছিত রেখা দূর হবে।
সিংহাসন
মুখের সবচেয়ে ভালো ব্যায়াম এটি। এক্ষেত্রে আপনাকে নাক দিয়ে শ্বাস নিতে হবে। তারপর চোখ দুটো নাকের ডগার দিকে নিয়ে এসে মুখ খুলে জিভ বের করে ‘হ্যাঃ’ আওয়াজ করে শ্বাস ছাড়তে হবে। তারপর জিভ ততক্ষণ বের করে রাখতে হবে যতক্ষণ পর্যন্ত তাতে জল না আসে। জিভে জল এলে মুখ বন্ধ করে থুতু গিলে নিন। এইভাবে পাঁচবার অভ্যাস করুন। এতে চোয়ালের পেশি শক্ত হয়। গালের বাড়তি মেদ ঝরে যায় এবং স্বরতন্ত্রী পরিষ্কার হয়।