পিতার স্বাস্থ্যহানী হতে পারে। আর্থিক ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় অর্থের অভাব হবে না। পঠন-পাঠনে পরিশ্রমী হলে সফলতা ... বিশদ
স্বৈরাচারের নিয়মই হল, গুরুত্বপূর্ণ পদে ইয়েসম্যানদের বসানো। এখানে নির্মলার ভূমিকাটা ইয়েস উওম্যানের বলেই অভিযোগ করতে শুরু করেছে বিরোধীরা। যেখানে গোটা দেশ দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির আগুনে দগ্ধ হচ্ছে, পেঁয়াজের দাম পর্যন্ত আকাশছোঁয়া, সেখানে অর্থমন্ত্রী সংসদে দাঁড়িয়ে বলছেন, তিনি পেঁয়াজের দাম নিয়ে খুব একটা কিছু জানেন না। কারণ, তিনি পেঁয়াজ খাওয়া পরিবার থেকে আসেননি। দেশের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রকের কর্ত্রী যদি এমন মন্তব্য করেন, তাহলে প্রাক্তন অর্থমন্ত্রী পি চিদম্বরম তো বলতেই পারেন, ‘উনি বোধহয় অ্যাভোকাডো খান’। কেন? অত্যন্ত দামি একটি ফল অ্যাভোকাডো। এতটাই যে, সাধারণ মানুষ এই ফল খেতে পারেন না। চিদম্বরমের কটাক্ষ পরিষ্কার, বিত্তশালী সরকারের মন্ত্রিসভার সদস্য সাধারণের খোঁজ রাখেন না।
অথচ এমনটা মোটেও হওয়ার ছিল না। নরেন্দ্র মোদির হাত ধরে উন্নয়নের স্বপ্নই দেখেছিল ভারত। যাকে বলে ‘আচ্ছে দিন’। শুধু প্রথম ইনিংসে নয়, দ্বিতীয়টিতেও। জাতীয়, আঞ্চলিক সব বিরোধীকে অবিশ্বাস করে আস্থা রেখেছিল মোদি সরকারের উপর। অথচ আজ মূল্যবৃদ্ধির জাঁতাকলে পিষতে হচ্ছে মানুষকে। ভরসা ছিল তো নির্মলার উপরও। হয়তো অন্যরকম কিছু হবে, ভালো কিছু... এই আশাতেই তাঁকে অর্থমন্ত্রিত্বে বরণ করেছিল গোটা দেশ। যে দাপট তিনি প্রতিরক্ষামন্ত্রী হিসেবে দেখিয়েছিলেন, তেমনই হয়তো কিছু। যা হয়নি। হচ্ছে না।
‘বেটি বাঁচাও, বেটি পড়াও’ নরেন্দ্র মোদি সরকারের স্লোগান।
যার সবচেয়ে ভালো বিজ্ঞাপন হতে পারেন নির্মলা নিজেই। কিন্তু হয়তো আজ তাঁরও হাত-পা বাঁধা। তাই ফোর্বসের তালিকায় নাম ওঠার পরও কোথায় একটা খুঁত থেকে যাচ্ছে। নিজে যে কাজে সিদ্ধহস্ত, তা করতে পারলে সাধারণও অসাধারণ হয়ে ওঠে। যেখানে বয়সের কোনও বাধা থাকে না। যার শ্রেষ্ঠ উদাহরণ আজ গ্রেটা থুনবার্গ। ১৬ বছর বয়স। পরিবেশকে ভালোবাসেন তিনি। তাকে ভালো রাখার কাজটাই করেন। তাই এক্ষেত্রে তিনি আজ বিশ্বসেরা। ফোর্বসের তালিকায় সর্বকনিষ্ঠ। ভারতও এমন ‘স্বাধীন’ নারীরই অপেক্ষায়।