বিদ্যার্থীদের বেশি শ্রম দিয়ে পঠন-পাঠন করা দরকার। কোনও সংস্থায় যুক্ত হলে বিদ্যায় বিস্তৃতি ঘটবে। কর্মপ্রার্থীরা ... বিশদ
পূর্ব মহারাষ্ট্রের বালাপুর শহরে একটি জনসভায় পাওয়ার বলেন, বিজেপি নেতৃত্বাধীন মহারাষ্ট্র সরকার কৃষকদের অবস্থা নিয়ে বিন্দুমাত্র উদ্বিগ্ন নয়। আগামী ২১ অক্টোবরের নির্বাচনে শাসক দলকে পরাজিত করার আহ্বান জানান তিনি। কারণ, মহারাষ্ট্রজুড়ে পরিবর্তনের আওয়াজ উঠেছে। একইসঙ্গে বর্ষীয়ান এনসিপি নেতা ফেব্রুয়ারি মাসে পুলওয়ামায় জঙ্গি হামলায় ৪০ জন সিআরপিএফ জওয়ানের মৃত্যু নিয়ে বিজেপির বিরুদ্ধে রাজনীতি করার অভিযোগ তোলেন। শারদ পাওয়ার বলেন, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ভোট প্রচারে দেশের নিরাপত্তাকে ইস্যু করেছেন। পুলওয়ামার জবাব পাকিস্তানকে বায়ুসেনা ভালোভাবেই দিয়েছে। কিন্তু প্রধানমন্ত্রী লোকসভা ভোটে সেটাই ইস্যু হিসেবে তুলে ধরে ভোট চেয়েছেন। ১৯৭১ সালের ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধে জয়ের পরও তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধী সেনাবাহিনীর নামে ভোট চাননি। ইন্দিরা গান্ধী শুধু যুদ্ধে জয় পাননি। তিনি ইতিহাস সৃষ্টি করেছিলেন। পাওয়ার আরও বলেন, ‘ইন্দিরা গান্ধী জানতেন, যুদ্ধে সারা দেশের সমর্থন পেয়েছে সেনাবাহিনী। তাই রাজনীতি করা মানে মানুষের আবেগে আঘাত করা। বরং সেনাবাহিনীর পিঠ চাপড়ে দিয়েছিলেন তিনি। বায়ুসেনা পুলওয়ামার পর দেশের জন্য লড়াই করেছিল। কিন্তু মোদি সাহেব বলেন, ‘আমরা করেছি।’ অন্য একটি জায়গায় তিনি বলেন, ‘ঘরে ঢুকে মেরেছি।’ প্রায় পাঁচ দশক ধরে মহারাষ্ট্রের রাজনীতিতে প্রভাব বিস্তার করেছেন শারদ পাওয়ার। কয়েক দিন আগে তাঁর অবসর নিয়ে বিস্তর জল্পনা তৈরি হলেও এদিন এনসিপি প্রধান বলেন, ‘আমি এখনও যুবক।’
এনসিপি প্রধানের সমালোচনার জবাবে বিজেপি তাঁকে রাজনৈতিক সন্ন্যাসে পাঠানোর হুঁশিয়ারি দিয়েছে। মহারাষ্ট্র বিজেপির সভাপতি চন্দ্রকান্ত পাতিল এদিন বলেন, ২১ অক্টোবর বিধানসভা নির্বাচনের পর শারদ পাওয়ারকে ‘স্থায়ী অবসরে’ পাঠিয়ে দেওয়া হবে। কোলাপুর জেলার রাধানগরী তহসিলে শিবসেনা প্রার্থী প্রকাশ অবিতকারের হয়ে প্রচারে গিয়ে বিজেপি নেতা বলেন, ‘ভোটের ফল প্রকাশের পর শুধু রাজনৈতিক নয়, সামাজিকভাবেও এনসিপি প্রধান অবসর নেবেন।’