রাজ্য

হাল ফেরাতে ব্যর্থ ভর্তি-পোর্টালও, কলেজ থেকে মুখ ফিরিয়ে পড়ুয়ারা, এবারও ৪০ শতাংশ আসন খালি থাকার শঙ্কা

সৌম্যজিৎ সাহা, দক্ষিণ ২৪ পরগনা: গত তিন-চার বছর ধরে আশঙ্কাটা দানা বাঁধছিল। বছর বছর কমছিল কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ে স্নাতক স্তরে পড়ুয়া ভর্তির সংখ্যা। পূরণ হচ্ছিল না সব আসন। উচ্চশিক্ষায় রাজ্যের ছাত্রছাত্রীদের অনীহা নাকি অন্য কোনও কারণে এই অবস্থা, তা নিয়ে বিস্তর চর্চাও শুরু হয় শিক্ষাজগতে। এই আবহে আশা জাগিয়ে রাজ্য শিক্ষাদপ্তর জানিয়েছিল, কলেজে ভর্তির জন্য এবার থেকে চালু হবে অভিন্ন পোর্টাল। এর মাধ্যমে পড়ুয়ারা অনলাইনে পছন্দের কলেজ বা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হতে পারবেন। দীর্ঘ টালবাহানার পর চালু হয়েছে সেই পোর্টাল। রবিবার ছিল পোর্টালের মাধ্যমে স্নাতক স্তরে ভর্তির আবেদনের শেষ দিন। প্রক্রিয়ার একেবারে শেষ লগ্নে একটি আশঙ্কাই ফিরে এসেছে! আর তা হল, স্নাতকে এবারও প্রায় ৪০ শতাংশ আসন ফাঁকা থেকে যেতে পারে। গত বছর এই হার ছিল ৪১ শতাংশ। 
কেন এই আশঙ্কা? উচ্চশিক্ষা দপ্তরের পর্যালোচনায় উঠে এসেছে, এবার স্নাতক স্তরের একটি আসন পিছু গড়ে তিনজন পড়ুয়া আবেদন করেছেন। কলেজের অধ্যক্ষ থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের আধিকারিকদের মতে, এই তথ্য একেবারেই আশাব্যঞ্জক নয়। কারণ, সার্বিকভাবে একটি আসন পিছু ছয় থেকে সাতজন আবেদনকারী থাকলে অধিকাংশ আসন পূর্ণ হওয়ার নিশ্চয়তা থাকে। এখন যা পরিস্থিতি, তাতে এবারও শেষ পর্যন্ত ৪০ শতাংশ আসন খালি থেকে গেলে অবাক হওয়ার কিছু নেই। সূত্রের খবর, বেশ কিছু কলেজে যতগুলি আসন রয়েছে, আবেদনও পড়েছে প্রায় সমসংখ্যক। তবে কিছু নামকরা কলেজে আবেদনের হার বেশি। বেথুন, আশুতোষ, সিটি, জয়পুরিয়া সহ কলকাতার বেশ কিছু কলেজে একটি আসন পিছু ১০ জনের বেশি আবেদন করেছেন। কলকাতার মধ্যে সবচেয়ে বেশি আবেদন জমা পড়েছে গোয়েঙ্কা কলেজ অব কমার্স এন্ড বিজনেস অ্যাডমিনিস্ট্রেশনে ভর্তির জন্য। সেখানে মোট আসন সংখ্যার প্রায় ১৯ গুণ আবেদন পড়েছে। 
এখনও পর্যন্ত যা হিসেব দপ্তরের কাছে এসেছে, তাতে দেখা যাচ্ছে, রাজ্যের প্রায় সাড়ে ন’লক্ষ আসনের জন্য জমা পড়েছে প্রায় ৩০ লক্ষ আবেদন। একজন পড়ুয়া একাধিক আবেদন করেছেন। শিক্ষামহলের ধারণা, সব মিলিয়ে প্রায় পাঁচ লক্ষ ছাত্রছাত্রী ভর্তির জন্য আবেদন করেছেন। এই তথ্যেই স্পষ্ট, বহু আসন ফাঁকা পড়ে থাকবে। অধ্যাপক ও শিক্ষামহলের আরও বক্তব্য, সংরক্ষিত আসনগুলির জন্য পর্যাপ্ত আবেদন এমনিতেই পাওয়া যায় না। তাছাড়া, আর্থিকভাবে পিছিয়ে পড়া শ্রেণির জন্য যে ১০ শতাংশ আসন সংরক্ষিত রয়েছে, সেখানেও পড়ুয়া ভর্তি নিয়ে সংশয় থাকছে।  কারণ, এই সংরক্ষণের জন্য প্রয়োজনীয় শংসাপত্র দেওয়া শুরুই করেনি রাজ্য। অল বেঙ্গল প্রিন্সিপাল কাউন্সিলের সভাপতি পূর্ণচন্দ্র মাইতি বলেন, ‘ভর্তির পোর্টাল আরও আগে খুলে দিলে আবেদনের সংখ্যা বাড়তে পারত। এবারও সব আসন ভরা নিয়ে সংশয় থাকছেই। ভালো কলেজগুলিতে হয়তো এই সমস্যা হবে না। তার বাইরে কলেজগুলিতে আসন পূরণের সমস্যা আগের মতোই থেকে যাবে।’ 
3Months ago
কলকাতা
দেশ
বিদেশ
খেলা
বিনোদন
ব্ল্যাকবোর্ড
শরীর ও স্বাস্থ্য
বিশেষ নিবন্ধ
সিনেমা
প্রচ্ছদ নিবন্ধ
আজকের দিনে
রাশিফল ও প্রতিকার
ভাস্কর বন্দ্যোপাধ্যায়
mesh

ব্যবসায় বেচাকেনা বেশ ভালো হবে। কাজকর্মে কোনও প্রভাবশালী ব্যক্তির আনুকূল্য লাভ ও ভাগ্যোন্নতি।...

বিশদ...

এখনকার দর
ক্রয়মূল্যবিক্রয়মূল্য
ডলার৮৩.১৩ টাকা৮৪.৮৭ টাকা
পাউন্ড১০৮.৫০ টাকা১১২.০৬ টাকা
ইউরো৯১.০৪ টাকা৯৪.২২ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
*১০ লক্ষ টাকা কম লেনদেনের ক্ষেত্রে
5th     October,   2024
দিন পঞ্জিকা