রাজ্য

পুলিসি গাফিলতি! হম্বিতম্বি মুখেই, ফুটেজ কারচুপি নিয়ে আদালতে ‘চুপ’ সিবিআই

নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: আর জি কর হাসপাতাল এবং টালা থানার সিসি ক্যামেরার ফুটেজ বিকৃতির তত্ত্ব বারবার প্রতিষ্ঠা করার চেষ্টা চালিয়েছে সিবিআই। শুধু নিম্ন আদালতের সওয়াল নয়, সুপ্রিম কোর্টেও সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহতার বক্তব্যে উঠে এসেছে ফুটেজে ‘টেকনিক্যাল গ্লিচের’ প্রসঙ্গ। এই অনুমান থেকেই সিসি ক্যামেরার ফুটেজ পাঠানো হয় সেন্ট্রাল ফরেন্সিকে পরীক্ষার জন্য। রিপোর্ট এসেছে। কিন্তু তারপরও ফুটেজে ‘কারচুপি’ নিয়ে শুক্রবার শিয়ালদহ আদালতে টুঁ শব্দটিও করল না কেন্দ্রীয় এজেন্সি। কোর্টে পেশ করা তথ্যেও এই সংক্রান্ত কোনও ‘সাবমিশন’ নেই সিবিআইয়ের। প্রশ্ন উঠছে, তাহলে কি এতদিনের ঢক্কানিনাদই সার? যদিও সিবিআইয়ের সাফাই সবটা ‘পাবলিক ডোমেনে’ আনা যাবে না। 
জেল হেফাজত শেষে শুক্রবার অভিজিৎ মণ্ডল, সন্দীপ ঘোষ ও ধর্ষণ-খুনে গ্রেপ্তার হওয়া অভিযুক্ত সঞ্জয় রায়কে আদালতে ভার্চুয়ালি হাজির করানো হয়। সিবিআইয়ের আইনজীবী বলেন, দু’টি ঘটনার তদন্ত চলছে। একটি ধর্ষণ-খুন এবং অন্যটি আর্থিক দুর্নীতির। দুইয়ের মধ্যে কোনও যোগসূত্র রয়েছে কি না, সেটা তাঁরা খুঁজে দেখছেন। এই প্রেক্ষিতে একটি সিলবন্ধ খাম এদিন আদালতে জমা দিয়েছে এজেন্সি। তবে তাতে কী নথি রয়েছে, তা প্রকাশ্যে আনা হয়নি। কোর্টে তারা শুধু প্রত্যেক অভিযুক্তকেই ১৪ দিনের জেল হেফাজতে পাঠানোর আর্জি জানিয়েছে। সিবিআইয়ের জমা দেওয়া রিমান্ড লেটারে যে বিষয়গুলির কথা উল্লেখ রয়েছে, সেগুলি তুলে ধরে অভিজিৎ মণ্ডলের আইনজীবী বলেন, ‘সিবিআই এতদিনে মেনে নিচ্ছে, আমার মক্কেলকে জামিন যোগ্য ধারায় গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাই যে কোনও শর্তে জামিন দেওয়া হোক।’ যদিও আদালত সকলকেই ১৮ অক্টোবর পর্যন্ত জেল হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে।
আদালতে জমা দেওয়া রিমান্ড লেটারে সিবিআই এদিন জানিয়েছে, টালা থানার সিসি ক্যামেরা ফুটেজ, সন্দীপ ও অভিজিতের মোবাইল ফোন ফরেন্সিক পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছিল। রিপোর্ট আসার পর ভালো করে  যাচাই করা হয়েছে। সিডিআর ঘেঁটে একাধিক ফোনকল থেকে স্পষ্ট হচ্ছে, দুই অভিযুক্তই ঘটনা ধামাচাপা দিতে চেয়েছিলেন। এই বিষয়ে জেল হেফাজতে তাঁদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হলেও সহযোগিতা করেননি ও উত্তর এড়িয়ে গিয়েছেন। টেলিফোনে দুই অভিযুক্ত যাঁদের সঙ্গে কথা বলেছিলেন, সেই সব সাক্ষী ও গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের বারবার জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। ঘটনা চাপা দেওয়া সংক্রান্ত কি কোনও কথোপকথন হয়েছিল তাঁদের মধ্যে। তার খোঁজ সিবিআই চালাচ্ছে বলে আদালতে দাবি করেছে। এজেন্সির দাবি, জিজ্ঞাসাবাদ শেষ হলে সেখান থেকে উঠে আসা তথ্য জানতে ভবিষ্যতে দুই অভিযুক্তকেই আবার হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের প্রয়োজন হতে পারে। একইসঙ্গে সিবিআই রিমান্ড লেটারে জানিয়েছে, ধর্ষণ-খুনের ঘটনা চাপা দিয়ে আত্মহত্যার তত্ত্ব কেন খাড়া করা হল তার তদন্ত পুরোদমে চলছে। তদন্তকারী অফিসাররা নিশ্চিত হওয়ার চেষ্টা করছেন, সত্যিই তথ্য-প্রমাণ নষ্ট করা হয়েছে কি না। এখানেই শেষ নয়। ধর্ষণ-খুনে অভিযুক্ত সঞ্জয়ের সঙ্গে ষড়যন্ত্র, প্ররোচনা ও তাকে আশ্রয়দানে কারা রয়েছে, সে ব্যাপারে তথ্য-প্রমাণ জোগাড় করছে তারা। অর্থাৎ সঞ্জয় যে একা নয়, এই ফর্মুলাই এখনও আঁকড়ে রয়েছে সিবিআই। দুই অভিযুক্তকে প্রভাবশালী উল্লেখ করে এজেন্সির দাবি, তাঁদের জামিন দেওয়া হলে তদন্ত সম্পর্কিত গুরুত্বপূর্ণ নথি বিকৃত করার চেষ্টা করবেন। তারপরই জেল হেফাজতের নির্দেশ দেয় আদালত।
2h 2m ago
কলকাতা
দেশ
বিদেশ
খেলা
বিনোদন
ব্ল্যাকবোর্ড
শরীর ও স্বাস্থ্য
বিশেষ নিবন্ধ
সিনেমা
প্রচ্ছদ নিবন্ধ
আজকের দিনে
রাশিফল ও প্রতিকার
ভাস্কর বন্দ্যোপাধ্যায়
mesh

মৃৎশিল্পী, ব্যবসায়ী প্রমুখদের বিশেষ কর্মোন্নতি যোগ প্রবল। পেশাদারি কর্মে শুভ ফল প্রাপ্তি। মানসিক চাঞ্চল্য।...

বিশদ...

এখনকার দর
ক্রয়মূল্যবিক্রয়মূল্য
ডলার৮৩.১৩ টাকা৮৪.৮৭ টাকা
পাউন্ড১০৮.৫০ টাকা১১২.০৬ টাকা
ইউরো৯১.০৪ টাকা৯৪.২২ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
*১০ লক্ষ টাকা কম লেনদেনের ক্ষেত্রে
দিন পঞ্জিকা