কলকাতা

মণ্ডপমুখী জনস্রোত, বৃষ্টি মাথায় নিয়েই শেষ শনিবার চুটিয়ে কেনাকাটা

নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: সকাল সকাল সোনারপুর থেকে বন্ধুদের নিয়ে বেরিয়ে পড়েছেন অরুণিমা ঘোষ। শনিবার তাঁদের ‘টার্গেট’ ছিল উত্তর কলকাতা। শিকদারবাগানে ঠাকুর দেখে এদিনের মতো শেষ হল তাঁদের ‘অভিযান’। অরুণিমা বলছিলেন, ‘এরপর আরও ভিড় হবে। তাছাড়া কখন বৃষ্টি এসে যায়, ঠিক নেই। তাই বেরিয়ে পড়েছি।’ শুধু তাঁরা নন, এই ভাবনা যে আরও অসংখ্য মানুষের, দিনভর প্যান্ডেলে প্যান্ডেলে জনতার ঢলে তা স্পষ্ট হয়েছে। বিকেল থেকেই আকাশের মুখভার। তাতে অবশ্য থোড়াই কেয়ার করেছে মানুষ। ছাতা মাথায় চলল বৃষ্টি-অসুরের সঙ্গে লড়াই। শেষ পর্যন্ত জিতলও খুশিতে মাতোয়ারা আম জনতা। প্যান্ডেল হপিংয়ের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে চলল শেষবেলার শপিং। কারণ, পুজোর আগে এটাই ছিল শেষ শনিবার। পঞ্জিকা মতে পুজো চারদিনের হলেও তা যে কার্যক্ষেত্রে এখন দিন দশেকের হয়ে দাঁড়িয়েছে, দ্বিতীয়ায় ঠাকুর দেখার ভিড়ে তা প্রমাণিত হল আরেকবার। 
এদিন দুপুরে একডালিয়ায় জনসমাগম দেখে বোঝার উপায় ছিল না যে পুজো শুরু হতে আরও কয়েকদিন বাকি। রাস্তার দু’ধারে জায়গা খুঁজে দাঁড়িয়ে পড়েছেন ভেঁপুওয়ালা, ফুচকাওয়ালারা। সপরিবার মা দুর্গাকে ব্যাকড্রপে রেখে চলছে ছবি তোলার ধুম। নতুন জামা গায়ে চড়িয়ে থেকে বন্ধুদের সঙ্গে একডালিয়ায় এসেছিলেন অহন-রূপাঞ্জনীরা। একাদশ শ্রেণির ছাত্র অহনের কথায়, ‘সকাল সাড়ে ১০টায় বেরিয়েছি। দক্ষিণের অনেকগুলো ঠাকুর দেখা হয়ে গিয়েছে। একডালিয়া দিয়ে শেষ করলাম। এবার খাওয়া-দাওয়া করে বাড়ি।’ পরিবারের সবাইকে নিয়ে পুজো পরিক্রমা শুরু করে দিয়েছেন বারাকপুরের সন্দীপ ভট্টাচার্য। তিনি বলছিলেন, ‘শ্রীভূমি গত রাতেই দেখা হয়ে গিয়েছে। আজ একডালিয়া, সিংহী পার্ক দেখলাম। তবে যতটা ফাঁকা থাকবে ভেবেছিলাম, তেমনটা নয়।’ তাঁর কথা যে ভুল নয়, প্রমাণ মিলল ভরদুপুরে একডালিয়া থেকে সিংহী পার্কে যাওয়ার পথে জনস্রোতের চেহারায়। সিংহী পার্কের মণ্ডপের বাইরে হঠাত্ দেখা ‘স্পাইডার ম্যান’-এর সঙ্গে! পাঠভবন স্কুলের চার ছাত্র শিবালিক দাস, সোহম বন্দ্যোপাধ্যায়, অর্ক দাস ও রুদ্রাক্ষ রায় ঠাকুর দেখতে বেরিয়েছে। পিকনিক গার্ডেন্সের শিবালিক পরে নিয়েছে স্পাইডার ম্যানের মুখোশ। তাকে দেখে পথচলতি অনেকেই তার সঙ্গে সেলফি তুলতে ব্যস্ত হয়ে পড়ছেন। সিংহী পার্ক থেকে আরও কিছুটা এগিয়ে গেলে ত্রিধারা সম্মিলনী। সেখানেও বিকেল থেকে ভিড় লেগেই থাকল। 
উত্তর কলকাতার টালা বারোয়ারি, বাগবাজার সর্বজনীনেও সকাল থেকে ব্যাপক ভিড় চোখে পড়ে। সন্ধ্যার দিকে ছাতা মাথায় দর্শনার্থীদের ভিড় বাড়ে। ঠাকুর দেখার পাশাপাশি আশপাশের দোকান থেকে কসমেটিক্স, পারফিউম কেনার জন্য ভিড় জমে যায়। হাওড়ার বাল্টিকুরি ইএসআই হাসপাতালের পাঁচজন স্বাস্থ্যকর্মী এদিন একসঙ্গে ঠাকুর দেখতে বেরিয়েছিলেন। হাওড়ার বাসিন্দা সুপর্ণা কুণ্ডু বলেন, ‘আসলে আমাদের তো নাইট ডিউটি রয়েছে। অন্যদিন ছুটি পাব কি না, জানি না। তাই আগেভাগে বেরিয়ে প‌঩ড়েছি।’ 
এক হাতে নতুন জামার ব্যাগ, আরেক হাতে আইসক্রিম। খাওয়া শেষ হতেই মুখে চলে গেল ভেঁপুতে। কেউ আবার মণ্ডপের পথে হাঁটতে হাঁটতে ‘পুজো এসে গিয়েছে’ বলে  চিৎকার করে উঠলেন। গড়িয়াহাট, নিউ মার্কেট থেকে হাতিবাগান—সর্বত্র চলল দেদার কেনাকাটা। বিকেলের দিকে ঝমঝমিয়ে বৃষ্টি নামলেও কেনাকাটার ভিড় খুব একটা পাতলা হয়নি। ছাতা মাথায় নিয়ে, কখনও কাকভেজা হয়ে মানুষ চেটেপুটে নিয়েছে পুজো শপিংয়ের সব মজা। ডিউটির আগে টুক করে ঠাকুর দেখে নেওয়া যেমন রয়েছে, তেমনই কারও নতুন সম্পর্কের পর প্রথম পুজো, কারও আবার সন্তানের প্রথম পুজো, কারও বিয়ের পর প্রথম পুজো এবার। এরকম নানা আবেগ আর উচ্ছ্বাসের মেলবন্ধনে বেজে উঠেছে উৎসবের সুর। সেই আবেগের মহোত্সবে ভেসে যাচ্ছে বাঙালি।
হাতিবাগানে জনতার ঢল। -নিজস্ব চিত্র
রাজ্য
দেশ
বিদেশ
খেলা
বিনোদন
ব্ল্যাকবোর্ড
শরীর ও স্বাস্থ্য
বিশেষ নিবন্ধ
সিনেমা
প্রচ্ছদ নিবন্ধ
আজকের দিনে
রাশিফল ও প্রতিকার
ভাস্কর বন্দ্যোপাধ্যায়
mesh

ব্যবসায় বেচাকেনা বেশ ভালো হবে। কাজকর্মে কোনও প্রভাবশালী ব্যক্তির আনুকূল্য লাভ ও ভাগ্যোন্নতি।...

বিশদ...

এখনকার দর
ক্রয়মূল্যবিক্রয়মূল্য
ডলার৮৩.১৩ টাকা৮৪.৮৭ টাকা
পাউন্ড১০৮.৫০ টাকা১১২.০৬ টাকা
ইউরো৯১.০৪ টাকা৯৪.২২ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
*১০ লক্ষ টাকা কম লেনদেনের ক্ষেত্রে
5th     October,   2024
দিন পঞ্জিকা