পণ্ডিত রবিশঙ্কর। এই কৃতী বাঙালির সেতারের সুরঝঙ্কার আজও মোহিত করে গোটা বিশ্বকে। তাঁর হাত ধরেই আন্তর্জাতিক দরবারে পৌঁছে গিয়েছিল ভারতীয় শাস্ত্রীয় সঙ্গীত। যার অন্যতম উদাহরণ—‘আ চেয়ারি টেল’। ১৯৫৭ সালে মাত্র ১০ মিনিটের এই চলচ্চিত্রটি তৈরি করেছিলেন নরম্যান ম্যাকলারেন ও ক্লদ জু ত্রা। তত্ত্বাবধানে কানাডার ন্যাশনাল ফিল্ম বোর্ড। আবহ সঙ্গীতের দায়িত্বে ছিলেন রবিশঙ্কর ও চতুরলাল। অথচ মজার ব্যাপার হল, শুরুতে ছবিটিতে কোনও সঙ্গীত ছিল না। পর্দায় শুধুই ক্লদ জু ত্রা ও তাঁর অবাধ্য চেয়ার। পরে তাতে যুক্ত করা হয় সুরের মূর্ছনা।
কীভাবে তৈরি হল এই কালজয়ী সৃষ্টি? তা জানার জন্য চোখ রাখতে হবে ইতিহাসের পাতায়। একবার টেলিভিশনের একটি কাজের জন্য চতুরলালের সঙ্গে মন্ট্রিয়লে গিয়েছিলেন রবিশঙ্কর। ততদিনে ছবি নির্মাণ করে ফেলেছেন ম্যাকলারেন। দুই ভারতীয় শিল্পীকে চলচ্চিত্রটি দেখার আমন্ত্রণ জানান তিনি। দেখার পরেই ‘আ চেয়ারি টেল-এর সঙ্গীত পরিচালনার আগ্রহ প্রকাশ করেন রবিশঙ্কর। কিন্তু ছবি তো তৈরি হয়ে গিয়েছে। কীভাবে তাতে যুক্ত করা হবে আবহ সঙ্গীত? উপায় করলেন ম্যাকলারেন। ছবিটিকে প্রায় দশটি লুপে বিভক্ত করা হল। প্রত্যেকটি লুপের জন্য তৈরি করা হল আবহ সঙ্গীত। সঙ্গীতের সঙ্গে অভিনয় মেলাতে প্রত্যেকটি লুপে যোগ করা হয়েছিল ১০ সেকেন্ডের নীরবতা।
এক ব্যক্তির সঙ্গে তাঁর চেয়ারের মান-অভিমান। এই ছিল চলচ্চিত্রের ভাবনা। অ্যানিমেশনের মাধ্যমে চেয়ারটিকে জীবন্ত করে তুলেছিলেন ম্যাকলারেন। অবাধ্য চেয়ারটিকে অনেক কষ্টে বশীভূত করছেন ক্লদ জু ত্রা। প্রতি মুহূর্তে চেয়ারের গতি নিয়ন্ত্রণ করেছে রবিশঙ্করের সেতারের সুর। সঙ্গে চতুরলালের তবলার ছন্দ। এভাবেই দুই ভারতীয় সঙ্গীত শিল্পীর হাত ধরে জীবন্ত হয়ে উঠেছিল এই নির্বাক ছবিটি। গত ১১ ডিসেম্বর ছিল পণ্ডিত রবিশঙ্করের মৃত্যুবার্ষিকী।
১৯০৮ সালের ৩০ এপ্রিল। মুজফ্ফরপুরে ইউরোপিয়ান ক্লাবের প্রবেশদ্বারে ঘোড়ার গাড়িতে বোমা ছোঁড়েন দুই বাঙালি তরুণ—ক্ষুদিরাম বসু ও প্রফুল্ল চাকী। লক্ষ্য...
16th December, 2024‘শিব-শিবা বন্দি গাই ফুলেশ্বরী নদী।/ যার জলে তৃষ্ণা দূর করি নিরবধি।।/ বিধিমতে প্রণাম করি সকলের পায়।/ পিতার আদেশে চন্দ্রা রামায়ণ...
16th December, 2024১৯৫৪ সালের কথা। তখন তিনি লন্ডনে ছিলেন। ‘মেরা নাম জোকার’ ছবিটি তৈরি করার আগে রাশিয়ান সার্কাস কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলার...
16th December, 2024১৮৭১ সালের ১১ জুলাই। তৎকালীন বাংলার একটি সংবাদপত্র ‘এক্সচেঞ্জ গেজেট’-এ বেরোল একটি বিশেষ বিজ্ঞাপন। ‘বিবাহ’ শিরোনামের ওই বিজ্ঞাপনটি ছিল এইরকম—...
16th December, 2024ক্রয়মূল্য | বিক্রয়মূল্য | |
---|---|---|
ডলার | ৮৪.০৯ টাকা | ৮৫.৮৩ টাকা |
পাউন্ড | ১০৬.০৫ টাকা | ১০৯.৭৯ টাকা |
ইউরো | ৮৭.৫৬ টাকা | ৯০.৯২ টাকা |