কলকাতা

সাজা থেকে বাঁচতে শিশুকে ‘ঢাল’ দম্পতির, হল না শেষরক্ষা, দোষী সাব্যস্ত আদালতে, আজ রায়

নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: অভিযুক্ত মহিলা বুঝতে পেরেছিল, স্বামী সহ তার শাস্তি অবধারিত। সেই কারণে বুধবার রায়দানের দিন সহানুভূতি আদায় করতে ছলচাতুরির আশ্রয় নিয়েছিল প্রতিমা সামন্ত। এক বছরের শিশুপুত্রকে কোলে নিয়ে কলকাতা নগর দায়রার বিশেষ পকসো আদালতে হাজির হয় সে। তার আগে শিশুটি ছিল কোর্টের বাইরে এক আত্মীয়ের কোলে। শুনানি শুরু হলে সে কোলে করে শিশুকে নিয়ে নানাভাবে বার বার বিচারকের দৃষ্টি আকর্ষণ করছিল। শিশুটি কাঁদলে তাকে সান্ত্বনাও দিচ্ছিল অভিযুক্ত মহিলা। আদালত সূত্রের খবর, এক সময় প্রতিমা বলে ওঠে, ‘আমাকে মামলা থেকে ‘মুক্তি’ দেওয়া হোক। নাহলে ওকে কে দেখবে? বাচ্চাটির মুখে দিকে তাকিয়ে আমাকে ছেড়ে দেওয়া হোক।’ কিন্তু তাতে কাজ কিছু হয়নি। আদালত প্রতিমাকে জানিয়ে দেয়, তার বিরুদ্ধে নাবালিকা কিশোরীকে অপহরণ করে নিষিদ্ধ পল্লিতে বিক্রির চেষ্টা ও যৌন নির্যাতন চালানোর মতো ঘটনায় মদত দেওয়ার অভিযোগ প্রমাণিত হয়েছে। তাই তাকে দোষী সাব্যস্ত করা হল। ওই কাজে যুক্ত থাকার ঘটনায় তার স্বামী শেখর সামন্তও দোষী প্রমাণিত হয়েছে। আদালত দোষী সাব্যস্ত করার পরই কান্নায় ভেঙে পড়ে ওই মহিলা। সরকারি কৌঁসুলি সৈকত পান্ডে বলেন, ‘জেলে শিশুটি যাতে তার মায়ের কাছে সম্পূর্ণ সুরক্ষিত থাকে, সেই বিষয়ে আদালত প্রয়োজনীয় নির্দেশ দিয়েছে।’ আজ, বৃহস্পতিবার বিচারক সাজা ঘোষণা করবেন।
এই মামলায় কী অভিযোগ ছিল? আদালত সূত্রে জানা গিয়েছে, ২০১৪ সালে দক্ষিণ ২৪ পরগনার সোনারপুর থানা এলাকা থেকে ১৬ বছরের এক কিশোরীকে ভালো কাজের টোপ দিয়ে দালাল মারফত কলকাতায় নিয়ে আসা হয়। এরপর শিয়ালদহ, হাওড়া সহ বিভিন্ন জায়গায় ঘোরানোর পর তাকে মোটা টাকার বিনিময়ে বড়তলার এলাকার নিষিদ্ধ পল্লিতে বিক্রির চেষ্টা করা হয়। কিন্তু গোপন সূত্রে খবর পেয়ে কলকাতা গোয়েন্দা পুলিস ওই এলাকা থেকে কিশোরীকে উদ্ধার করে। সে ঘটনার বিষয়ে ব্যাঙ্কশাল কোর্টের একজন বিচারকের কাছে গোপন জবানবন্দি পেশ করেছে। এই ঘটনার সঙ্গে যুক্ত থাকার ঘটনায় পুলিস গ্রেপ্তার করে  প্রতিমা সামন্ত ও তার স্বামী শেখর সামন্তকে। 
পুলিস তদন্তে জানতে পারে,  কিশোরীর ওপর একাধিকবার যৌন নির্যাতন চালানো হয়েছিল। কলকাতা নগর দায়রা আদালতের মুখ্য সরকারি কৌঁসুলি দীপঙ্কর কুণ্ডু জানান, পুলিস তদন্ত শেষ করে আদালতে চার্জশিট পেশ করে ধৃতদের বিরুদ্ধে। দ্রুত চার্জ গঠন করে শুরু হয় মূল মামলার শুনানি। সাক্ষ্য দেন মোট ১২ জন। দীর্ঘ শুনানির শেষে এদিন আদালত অভিযুক্ত ওই দম্পতিকে একাধিক ধারায় দোষী সাব্যস্ত করে। যদিও ধৃতদের তরফে বার বার দাবি করা হয়েছে, তাদের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ ভিত্তিহীন।
রাজ্য
দেশ
বিদেশ
খেলা
বিনোদন
ব্ল্যাকবোর্ড
শরীর ও স্বাস্থ্য
বিশেষ নিবন্ধ
সিনেমা
প্রচ্ছদ নিবন্ধ
আজকের দিনে
রাশিফল ও প্রতিকার
ভাস্কর বন্দ্যোপাধ্যায়
mesh

অর্থকর্মের ক্ষেত্রে প্রগতি বজায় থাকবে। মরশুমি দ্রব্যের ব্যবসায় লাভ বাড়বে। শরীর-স্বাস্থ্য এক প্রকার থাকবে।...

বিশদ...

এখনকার দর
ক্রয়মূল্যবিক্রয়মূল্য
ডলার৮৪.০৯ টাকা৮৫.৮৩ টাকা
পাউন্ড১০৬.০৫ টাকা১০৯.৭৯ টাকা
ইউরো৮৭.৫৬ টাকা৯০.৯২ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
*১০ লক্ষ টাকা কম লেনদেনের ক্ষেত্রে
দিন পঞ্জিকা