১৯৫৪ সালের কথা। তখন তিনি লন্ডনে ছিলেন। ‘মেরা নাম জোকার’ ছবিটি তৈরি করার আগে রাশিয়ান সার্কাস কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলার প্রয়োজন ছিল। তিনি আগাম খবর না দিয়েই লন্ডন থেকে হাজির হয়েছিলেন মস্কোয়। রাজ কাপুর যে মস্কো বিমানবন্দরে এসেছেন, তা প্রথমে সেখানকার মানুষ তা বুঝতে পারেননি। তাঁর সঙ্গে ভিসা ছিল না। কিন্তু বিমানবন্দরের কর্মীরা যখন তাঁর পরিচয় পেলেন সঙ্গে সঙ্গেই তাঁকে সাদর আমন্ত্রণ জানালেন। এরপর রাজ কাপুরের মস্কো আসার খবর দাবানলের মতো ছড়িয়ে পড়ল শহরের চারদিকে। সাধারণ মানুষ ছুটলেন তাঁকে একবার সামনে থেকে দেখবেন বলে। বিমানবন্দর থেকে গন্তব্যে যাওয়ার জন্য সবে ট্যাক্সিতে উঠেছেন। জনতার ভিড়ে কার্যত অবরুদ্ধ হয়ে পড়লেন। গাড়ি আর এগতে চায় না। জনতা তখন ট্যাক্সিটি কাঁধে তুলে নেওয়ার চেষ্টা চালাচ্ছে। এমনই ছিল খ্যাতির বিড়ম্বনা। সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়নে রাজ কাপুরের এই জনপ্রিয়তার নেপথ্যে ছিল শ্রী ৪২০ চলচ্চিত্রের একটি গান। ওই ছবির গান ‘মেরা জুতা হ্যায় জাপানি, ইয়ে পাতলুন ইংলিশস্তানি, শর পে লাল টোপি রুশি, ফির ভি দিল হ্যায় হিন্দুস্তানি’। এই গানের কলি রাশিয়ার মানুষের মন ছুঁয়ে গিয়েছিল। এর কারণ সে সময় রাশিয়া ও জাপান দু’টি দেশ একে অপরকে সহ্য করতে পারত না। সেজন্য রাশিয়ার তৈরি টুপি মাথায় আর জাপানের জুতো পায়ে, এটা সেখানকার মানুষের মধ্যে একটা আনন্দের উদ্রেক করেছিল। গানের এই কলি রাশিয়া আর ভারতের মধ্যে মৈত্রীর বন্ধনকে আরও দৃঢ় করেছিল।
রাজ কাপুর খুবই প্রাণবন্ত মানুষ ছিলেন। গুরুগম্ভীর অবস্থাতেও তার পরিবর্তন হত না। ১৯৮২ সালে কুলি সিনেমার শ্যুটিং চলাকালীন ভয়ঙ্কর চোট পেয়ে অমিতাভ বচ্চন মুম্বইয়ে ব্রিচক্যান্ডি হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। খবর পেয়ে রাজ কাপুর একদিন সকালে তাঁকে দেখতে গেলেন। সঙ্গে নিয়ে গেলেন শ্যাম্পেনের বোতল। অমিতাভের বেডের পাশে সেই শ্যাম্পেনের বোতল রেখে বললেন, তাড়াতাড়ি সুস্থ হয়ে ওঠো। আবার নতুন করে কাজ শুরু করো। আমরা একসঙ্গে বসে এই শ্যাম্পেন খাব। অমিতাভের সঙ্গে রাজ কাপুরের এমনই বন্ধুত্বের বন্ধন ছিল।
১৯০৮ সালের ৩০ এপ্রিল। মুজফ্ফরপুরে ইউরোপিয়ান ক্লাবের প্রবেশদ্বারে ঘোড়ার গাড়িতে বোমা ছোঁড়েন দুই বাঙালি তরুণ—ক্ষুদিরাম বসু ও প্রফুল্ল চাকী। লক্ষ্য...
16th December, 2024‘শিব-শিবা বন্দি গাই ফুলেশ্বরী নদী।/ যার জলে তৃষ্ণা দূর করি নিরবধি।।/ বিধিমতে প্রণাম করি সকলের পায়।/ পিতার আদেশে চন্দ্রা রামায়ণ...
16th December, 2024পণ্ডিত রবিশঙ্কর। এই কৃতী বাঙালির সেতারের সুরঝঙ্কার আজও মোহিত করে গোটা বিশ্বকে। তাঁর হাত ধরেই আন্তর্জাতিক দরবারে পৌঁছে গিয়েছিল ভারতীয়...
16th December, 2024১৮৭১ সালের ১১ জুলাই। তৎকালীন বাংলার একটি সংবাদপত্র ‘এক্সচেঞ্জ গেজেট’-এ বেরোল একটি বিশেষ বিজ্ঞাপন। ‘বিবাহ’ শিরোনামের ওই বিজ্ঞাপনটি ছিল এইরকম—...
16th December, 2024ক্রয়মূল্য | বিক্রয়মূল্য | |
---|---|---|
ডলার | ৮৪.০৯ টাকা | ৮৫.৮৩ টাকা |
পাউন্ড | ১০৬.০৫ টাকা | ১০৯.৭৯ টাকা |
ইউরো | ৮৭.৫৬ টাকা | ৯০.৯২ টাকা |