কলকাতা

দূষণ আর খাবারের অভাবে সাঁতরাগাছি ঝিলে এবার দেখা নেই পরিযায়ী পাখির

নিজস্ব প্রতিনিধি, হাওড়া: আশঙ্কাই সত্যি হল! ক্রমবর্ধমান দূষণ ও পারিপার্শ্বিক পরিস্থিতি বদলে যাওয়ার কারণে এবার এখনও পর্যন্ত কোনও পরিযায়ী পাখিই আসেনি সাঁতরাগাছি ঝিলে। আশপাশের বাড়িঘর, বহুতল আবাসনের বর্জ্য ও নিকাশির নোংরা জল, ঝিলের পাশে উপচে পড়া ভ্যাট, বছরের নির্দিষ্ট সময় ঝিল সংস্কারে গাফিলতি, আশপাশের এলাকায় চাষের মাঠ কমে আসা—সব মিলিয়ে এবার শীতের সাঁতরাগাছি ঝিল পরিযায়ী পাখি শূন্য! বিশেষজ্ঞরা অবশ্য আবহাওয়ার খামখেয়ালিপনাকেও এর জন্য কিছুটা দায়ী করছেন। তবে জানুয়ারিতে অনেক পরিযায়ী পাখি আসবে বলে আশা করছেন কেউ কেউ। কিন্তু সার্বিকভাবে শীতের পরিযায়ীরা যে সাঁতরগাছি ঝিলে আগ্রহ হারাচ্ছে, ডিসেম্বরের মাঝামাঝি এসেও তাদের কারও দেখা না মেলায় তা স্পষ্ট হয়ে গিয়েছে। গত বছরেও চিত্রটা এতটা হতাশাজনক ছিল না। প্রায় ৩৩ বিঘাজুড়ে থাকা জলাশয়ে চরতে দেখা গিয়েছিল হাজারের বেশি লেসার হুইসলিং ডাক বা সরালকে। এগুলি মূলত দেশীয় পরিযায়ী পাখি। এবার তাদেরও দেখা নেই। গোটা ঝিল ঢেকেছে কচুরিপানায়। 
সাঁতরাগাছি স্টেশনের পাশেই এই  সুবিশাল জলাশয়। শীতের শুরুতে হিমালয়ের পাদদেশ, এমনকী হিমালয় টপকে ঝাঁকে ঝাঁকে পরিযায়ী পাখি আসত এখানে। ১৯৮৭ সালে রেলমন্ত্রক সাঁতরাগাছি ঝিলকে পাখিরালয়ের স্বীকৃতি দেয়। তার আগে রাজ্য সরকারের বনদপ্তর ঝিল রক্ষণাবেক্ষণ করত। বর্তমানে বায়োডায়ভারসিটি বোর্ডের নির্দেশে এক স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা ঝিল সাফাইয়ের দায়িত্বে রয়েছে। প্রতি বছর পুজোর পর কচুরিপানা পরিষ্কার করে ঝিলের মাঝে পাখিদের বসার জন্য ছোট ছোট ‘আইল্যান্ড’ তৈরি করে দেওয়া হয়। নভেম্বর থেকে মার্চ পর্যন্ত ঝিলে আনাগোনা চলে ৩০ থেকে ৩৩ প্রজাতির পরিযায়ী পাখির। এবছর সেই ছবি উধাও। ঝিল পরিষ্কারের দায়িত্বে থাকা নেচার মেট নেচার ক্লাবের সম্পাদক অর্জন বসু রায় বলেন, ‘এবছর বায়োডাইভারসিটি বোর্ড থেকে ঝিল পরিষ্কারের অনুমতি মিলেছে দেরিতে। তবে কাজ শুরু হয়েছে। পরিযায়ী পাখিদের এখনও আসার সম্ভাবনা রয়েছে।’ 
তাঁর দাবি, নলবন, পূর্বস্থলী সহ দক্ষিণবঙ্গ জুড়েই এবছর পরিযায়ী পাখির আনাগোনা কম। শীতের মুখে নিম্নচাপও পাখি না আসার অন্যতম একটি কারণ। উত্তর ভারতের দিকে ঠান্ডা বেশি থাকায় বহু পাখি সেদিকে চলে গিয়েছে। পক্ষী বিশারদদের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, সাঁতরাগাছি ঝিলে গাডওয়াল, নর্দার্ন পিনটেল, কমন টিলের মতো ‘ট্রান্স হিমালয়ান’ বহু পাখি আসত। এছাড়া, স্থানীয় পরিযায়ী পাখিদের মধ্যে দেখা মিলত লেসার হুইসলিং ডাক, কমন ইন্ডিয়ান মোরহেনের। 
গত বছরও সাঁতরাগাছি ঝিলে ৪ হাজার ৮০০ পাখি এসেছিল। এর মধ্যে ৪৬০০টি ছিল লেসার হুইসলিং ডাক। কম্ব ডাক, ফেরুজিনাস পোচার্ড, সুইনহো›স স্নাইপ, ফুলভাস হুইসলিং ডাকের মত পাখিরা মুখ ফিরিয়েছে বহু বছর আগে। সাঁতরাগাছি ঝিলে পাখিদের নিয়ে সমীক্ষা চালানো সংস্থা ‘প্রকৃতি সংসদ’-এর সম্পাদক সৌম্য রায় বলেন, ‘শুধু সাঁতরাগাছি ঝিলের পরিবেশই নষ্ট হচ্ছে, এমন নয়। আশেপাশে চাষের মাঠ উল্লেখযোগ্য হারে কমে আসায় পরিযায়ী পাখিদের খাবারের জায়গা কমে যাচ্ছে। তাই ওরা অন্যত্র যেতে বাধ্য হচ্ছে।’ তবে জানুয়ারিতে লেসার হুইসলিং ডাকের ঝাঁক নামবে বলে আশাবাদী তিনি। পরিবেশবিদ সুভাষ দত্ত বলেন, ‘ঝিল বাঁচাতে সরকারকে আরও উদ্যোগী হতে হবে। আশপাশের নিকাশির জল পরিশোধন জরুরি।’ 
রাজ্য
দেশ
বিদেশ
খেলা
বিনোদন
ব্ল্যাকবোর্ড
শরীর ও স্বাস্থ্য
বিশেষ নিবন্ধ
সিনেমা
প্রচ্ছদ নিবন্ধ
আজকের দিনে
রাশিফল ও প্রতিকার
ভাস্কর বন্দ্যোপাধ্যায়
mesh

অর্থকর্মের ক্ষেত্রে প্রগতি বজায় থাকবে। মরশুমি দ্রব্যের ব্যবসায় লাভ বাড়বে। শরীর-স্বাস্থ্য এক প্রকার থাকবে।...

বিশদ...

এখনকার দর
ক্রয়মূল্যবিক্রয়মূল্য
ডলার৮৪.০৯ টাকা৮৫.৮৩ টাকা
পাউন্ড১০৬.০৫ টাকা১০৯.৭৯ টাকা
ইউরো৮৭.৫৬ টাকা৯০.৯২ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
*১০ লক্ষ টাকা কম লেনদেনের ক্ষেত্রে
দিন পঞ্জিকা