রাজ্য

চলতি বছরে প্রথম দু’মাসে বাংলায় সাড়ে ১৮ হাজার কোটি টাকার লগ্নি

বাপ্পাদিত্য রায়চৌধুরী, কলকাতা: বাংলায় শিল্প গড়তে আগ্রহ দেখায় না বড় সংস্থা। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের জমানায় লগ্নিতে অরুচি শিল্পমহলের। এমন সমালোচনার জবাব কি এল খোদ নরেন্দ্র মোদির সরকারের কাছ থেকেই? কারণ, কেন্দ্রীয় বাণিজ্য মন্ত্রকের তথ্য বলছে, চলতি বছরের প্রথম দু’মাসে বাংলায় যত বিনিয়োগ এসেছে, তা এক কথায় নজিরবিহীন। কারণ, গত ১০ বছরে ১২ মাস জুড়ে যে লগ্নি এখানে এসেছে, তাকে ছাপিয়ে গিয়েছে ২০২৪ সালের জানুয়ারি-ফেব্রুয়ারি মাসের বিনিয়োগ। ওই দু’মাসে বিনিয়োগের পরিমাণ ১৮ হাজার ৫৩০ কোটি টাকা। কেন্দ্র বলছে, এই বিনিয়োগ এসেছে শুধুমাত্র বড় সংস্থার হাত ধরে। তা এমএসএমই বা ছোট শিল্পের লগ্নি নয়। 
বাণিজ্য মন্ত্রক বিনিয়োগ সংক্রান্ত যে তালিকা প্রকাশ করেছে, সেখানে চলতি বছরে ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত তথ্যই আছে। সেখানে তারা শুধু বিনিয়োগের হিসেব দিয়েই ক্ষান্ত হয়নি—কোথায় কত লগ্নি হয়েছে, তারও বর্ণনা দিয়েছে। কী বলছে তারা? জানুয়ারিতে এখানে লগ্নি হয়েছে ১৬ হাজার ২৬১ কোটি টাকার। প্রস্তাবিত শিল্পে কর্মসংস্থান হতে পারে ৪ হাজার ৮৯১ জনের। এখানে লগ্নির তালিকায় আছে স্টিল, অ্যালুমিনিয়াম, সালফার প্রভৃতি ক্ষেত্র। ফেব্রুয়ারিতে বিনিয়োগ এসেছে স্টিল কাস্টিং, ইন্ডাস্ট্রিয়াল ইনস্যুলেশন, স্টিল প্রসেসিং, পোশাক, ডাকটাইল আয়রন পাইপ, রেলের বগি সংক্রান্ত শিল্পে। লগ্নির অঙ্ক ২ হাজার ২৬৯ কোটি টাকা। প্রস্তাবিত কর্মসংস্থান হতে পারে ১১ হাজার ৫৮৫ জনের, দাবি করেছে কেন্দ্রীয় সরকার। বাণিজ্য মন্ত্রক জানাচ্ছে, এই দু’মাসে যেখানে লগ্নির অঙ্ক সাড়ে ১৮ হাজার কোটি টাকার বেশি, সেখানে ২০২৩ সালের জানুয়ারি ও ফেব্রুয়ারিতে বাংলায় লগ্নির অঙ্ক ছিল মাত্র ১ হাজার ২২৫ কোটি টাকা। 
বাংলার এই বিনিয়োগ প্রসঙ্গে কী বলছে শিল্পমহল? মার্চেন্টস চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির ডেপুটি ডিরেক্টর জেনারেল শুভাশিস রায় বলেন, লগ্নি কখনও রাতারাতি আসে না। তার জন্য জমি তৈরি করা দরকার। যে প্রশাসনের ভাবমূর্তি যত ভালো, শিল্পায়নের নীতি যত আকর্ষণীয়, লগ্নির গা থেকে লাল ফিতের ফাঁস আলগা করার তৎপরতা যত বেশি, বিনিয়োগও সেখানে তত বেশি। বিশ্ব ব্যাঙ্কের উদ্যোগে যে ‘ইজ অব ডুইং বিজনেস’ সংক্রান্ত প্রতিযোগিতা হয়, সেখানে গত কয়েক বছরে দফায় দফায় সামনের সারিতে এসেছে বাংলা। তা বিনিয়োগ টানতে সুবিধা করে দিয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব঩ন্দ্যোপাধ্যায় যেভাবে নিজে শিল্পমহলের সঙ্গে যোগাযোগ রেখে চলেন, যেভাবে কমিটি গড়ে শিল্পকে আলাদা গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে, তারই ডিভিডেন্ড এসেছে রাজ্যে। 
শিল্পমহলের দাবি, বড় শিল্পের সঙ্গে এমএসএমই’কে যোগ করলে লগ্নির অঙ্ক অনেক গুণ বাড়বে। পশ্চিমবঙ্গ মূলত ক্ষুদ্র, ছোট ও মাঝারি শিল্পনির্ভর রাজ্য। যেহেতু ছোট শিল্পে কর্মসংস্থানের সুযোগ অনেক বেশি, তাই তার সুফল পায় বাংলা। গত অর্থবর্ষে এরাজ্যে ছোট শিল্পে ঋণের অঙ্কই দাঁড়িয়েছে ১ লক্ষ ৪৫ হাজার কোটি টাকার। অর্থাৎ শুধু ব্যাঙ্ক থেকে ঋণ নিয়ে নতুন বশিল্প হয়েছে বা ব্যবসার সম্প্রসারণ হয়েছে। সেদিক থেকে দেখলে বিনিয়োগের সামগ্রিক চিত্র আরও বড়, বলছেন বিশেষজ্ঞরা।
3Months ago
কলকাতা
দেশ
বিদেশ
খেলা
বিনোদন
ব্ল্যাকবোর্ড
শরীর ও স্বাস্থ্য
বিশেষ নিবন্ধ
সিনেমা
প্রচ্ছদ নিবন্ধ
আজকের দিনে
রাশিফল ও প্রতিকার
ভাস্কর বন্দ্যোপাধ্যায়
mesh

ব্যবসায় বেচাকেনা বেশ ভালো হবে। কাজকর্মে কোনও প্রভাবশালী ব্যক্তির আনুকূল্য লাভ ও ভাগ্যোন্নতি।...

বিশদ...

এখনকার দর
ক্রয়মূল্যবিক্রয়মূল্য
ডলার৮৩.১৩ টাকা৮৪.৮৭ টাকা
পাউন্ড১০৮.৫০ টাকা১১২.০৬ টাকা
ইউরো৯১.০৪ টাকা৯৪.২২ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
*১০ লক্ষ টাকা কম লেনদেনের ক্ষেত্রে
5th     October,   2024
দিন পঞ্জিকা