বিতর্ক বিবাদ এড়িয়ে চলা প্রয়োজন। প্রেম পরিণয়ে মানসিক স্থিরতা নষ্ট। নানা উপায়ে অর্থ উপার্জনের সুযোগ। ... বিশদ
ছোটবেলায় গ্রামে ঠাকুরমার বাড়িতেই যশ ও শবনমের আলাপ। দুর্গা পুজোর ছুটিতে গ্রামের বাড়িতে বেড়াতে গিয়েই আবার দু’জনের দেখা ও ভালোলাগার সূত্রপাত। এদিকে বাড়ি থেকে জোর করে বিয়ে দেওয়ার চেষ্টা হয় শবনমের। সেই বিয়ে থেকে পালানোর পর যশই বিয়ে করে রক্ষা করে শবনমকে। এই বিয়ের কথা গোপন করেই শবনমকে কলকাতায় নিজের বাড়িতে নিয়ে আসে যশ। এদিকে দীর্ঘদিনের সহপাঠী রোহিনীর সঙ্গে যশের বিয়ের পাকা কথা হয়ে রয়েছে। রোহিনীর মনে সন্দেহ দানা বাঁধে। এখন শেষ হাসি কে হাসবে? শবনম নাকি রোহিনী? স্বাভাবিকভাবেই বাকি তথ্য এখনই জানাতে চান না নির্মতারা।
শবনমের হাত ধরেই দীর্ঘদিন পর ধারাবাহিকে ফিরলেন মানালি দে। তবে ‘নাকশি কাঁথা’কে কামব্যাক বলতে নারাজ মানালির বক্তব্য ‘পরপর কাজ চলছেই। ছবির জন্যই ধারাবাহিক থেকে দূরে ছিলাম। আর এই কয়েকদিনেই মানুষ যেভাবে শবনমকে আপন করে নিয়েছেন তাতে আমি আপ্লুত।’ এই প্রথম কোনও মুসলিম চরিত্রে অভিনয় করলেন মানালি। তবে প্রস্তুতির জন্য তাঁর অন্ধ ভরসা লীনা গঙ্গোপাধ্যায়। যশের চরিত্রে রয়েছেন সুমন দে। ‘গুরুদক্ষিণা’র পর আবার ধারাবাহিকে ফিরে আপ্লুত তিনি। বলছিলেন, ‘বর্তমান সময়ে এই ধরনের গল্প আরও বেশি করে লেখা উচিত। অল্প দিনের মধ্যেই দর্শকদের মনে জায়গা করে নিয়েছে তিনটি চরিত্র।’ রোহিনীর ভূমিকায় রয়েছেন স্নেহা চট্টোপাধ্যায়। এতদিন তাঁকে নেগেটিভ চরিত্রে বেশি দেখা গেলেও রোহিনীর মধ্যে অনেকগুলো শেডশ রয়েছে, দাবি স্নেহার। ‘শবনম-যশের মধ্যে আমার অবস্থান থেকে আমি যে ঠিক, সেটা কিন্তু অফস্ক্রিন আমার পরিচিত মহলের প্রতিক্রিয়া থেকেই বুঝতে পেরেছি’ বললেন তিনি। অন্যান্য চরিত্রে রয়েছেন মাধবী মুখোপাধ্যায়, চিত্রা সেন, সন্তু মুখোপাধ্যায়, লাবণী সরকার, জয়জিৎ বন্দোপাধ্যায় প্রমুখ। ম্যাজিক মোমেন্টস-এর প্রযোজনায় জি বাংলায় দেখা যাচ্ছে এই ধারাবাহিক।
অভিনন্দন দত্ত
ছবি: ভাস্কর মুখোপাধ্যায়